মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আজ রাতে আকাশে উল্কা ঝড়-বৃষ্টি হবে। বিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে জেমিনিড বলা হয়। বিজ্ঞানীদের মতে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে উল্কা বৃষ্টি হয়। খুব অল্প সময়ের জন্য সক্রিয় থাকে এটি। আজ ১৪ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে।
উল্কাবৃষ্টির এই মহাজাগতিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে মিথুন তারামণ্ডলের দিকে তাকাতে হবে। এই কারণেই এই উল্কাবৃষ্টির নাম জেমিনিড।
তবে এবার জেমিনিদের এই অভূতপূর্ব দৃশ্যে হস্তক্ষেপ করবে চাঁদ। মাঝরাতে বা তার আগে চাঁদের আলো এই অভূতপূর্ব দৃশ্যকে মুছে ফেলতে পারে। উল্কাবৃষ্টির জন্য চাঁদের এমনতর প্রভাব প্রাণঘাতী হতে পারে। তবে জেমিনিডদেরও চাঁদের আলোর সঙ্গে লড়াই করার যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে।
উল্কা বা জেমিনিড কী
জেমিনিড হল পাথুরে ধূমকেতুর টুকরা, যা আমাদের সৌরজগতের ধ্বংসাবশেষে পরিপূর্ণ। এই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ধূমকেতু এবং পৃথিবীর কাছাকাছি একাধিক গ্রহাণু রয়েছে, যারা সূর্যের চারপাশের কক্ষপথ ধরে নিজেরাই পৃথিবীকে অতিক্রম করে। ধূমকেতু এবং গ্রহাণু উভয়ই আমাদের নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে এবং মহাকাশে ধুলা ও ধ্বংসাবশেষ তৈরি করে।
জেমিনিডস ৩২০০০ পাইথন নামের একটি গ্রহাণু থেকে উদ্ভূত হয়েছে এই জেমিনিড। এই শিলাগুলো প্রসারিত হয় এবং তাপের সংস্পর্শে আসে যা ভেঙে গিয়ে ধ্বংসাবশেষ তৈরি করে। হাজার হাজার বছর ধরে এই ধ্বংসাবশেষ ফেথনের কক্ষপথের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে, একটি বিশাল টিউব গঠন করেছে।
কখন দেখা যাবে?
উল্কা বৃষ্টি প্রত্যক্ষ করার উপযুক্ত সময় মধ্য রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত। তবে ভোর রাতে বেশি দৃশ্যমান হবে। আকাশে দূষণ ও কুয়াশা থাকলে উল্কা বৃষ্টি চাক্ষুষ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
নাসা জানিয়েছে, জেমিনিড মেটিওর শাওয়ার সারা আকাশজুড়ে আলো ছড়ায়। উত্তর পূর্ব আকাশের জেমিনি নক্ষত্র পুঞ্জের কাছ থেকে ছুটে আসে এই উল্কারা, তাই এর নাম ‘জেমিনিড’। গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৮ হাজার মাইল বা সেকেণ্ডে ৩৫ কিলোমিটার। দৃশ্যমানতা ভালো থাকলে, মেঘের বাধা না থাকলে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৬০টি উল্কাবৃষ্টি দেখা যেতে পারে।
এই উল্কাবৃষ্টি চলবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই বৃষ্টি খুব স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে যদি টেলিস্কোপ বা দূরবীন ব্যবহার করা যায়।
সৌরমণ্ডলের বাইরে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত কুইপার বেল্ট। যেখানে ধুলা আর গ্যাসের ঘনত্ব খুব কম। পাথর আর বরফের টুকরোয় ভরা এই কুইপার বেল্টের মধ্যেই ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকে ধূমকেতুরা। বছরে একবার সূর্যকে সেলাম জানাতে আসে তারা। তখনই সূর্যের তেজে এদের শরীরের কিছু অংশ উল্কা হয়ে পৃথিবীতে ঝরে পড়ে।
গত মাসেই পৃথিবীর অতিথি হয়ে এসেছিলো ‘ লিওনেড’। সে ‘টেম্পল টাটল’ নামে ধূমকেতুর অংশ। যে আবার ওই সুদূর ‘কুইপার বেল্টের’ বাসিন্দা। প্রতি ৩৩ বছরে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে যায়। আর সূর্যকে প্রদক্ষিণের সময় প্রচণ্ড উত্তাপে ধূমকেতুর মাথার খানিকটা অংশ ছিটকে বেরিয়ে উল্কা হয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।