মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ২০৩৩ সালে মঙ্গল গ্রহের পাথরের ৩০টি নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। এই মিশনে সহায়তার জন্য তারা দুটি ছোট হেলিকপ্টার পাঠাবে। সংস্থাটি বুধবার এ কথা জানিয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাসার পাঠানো প্রিজারভেন্স রোভার মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করে। মঙ্গলে প্রাণের প্রাচীন অস্তিত্বের প্রমাণ সংগ্রহের অংশ হিসেবে এই রোভার এ পর্যন্ত ১১টি নমুনা সংগ্রহ করেছে। কিন্তু পৃথিবীর ল্যাবে বিস্তারিত গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের জন্য এই নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল।
এ পর্যন্ত নাসার পরিকল্পনা ছিল প্রিজারভেন্স থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য আরেকটি রোভার পাঠানো। মার্স অ্যাসেন্ট ভেহিকেল নামের এই রোভারের সুসজ্জিত রোবোটিক ল্যান্ডারের নিজস্ব রকেটের মাধ্যমে প্রিজারভেন্স থেকে সংগৃহীত নমুনা মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে একটি ইউরোপিয়ান মহাকাশ যানের মাধ্যমে পৃথিবীতে নিয়ে আসার কথা রয়েছে।
নাসার প্রিজারভেন্স কোনো কারণে যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না করে, প্রিজারভেন্সের দ্বিতীয় ‘স্যাম্পল ফেচ রোভার’ বিকল হলে দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে প্রিজারভেন্স নিজেই সংগৃহীত নমুনার কার্গোটি সরাসরি ল্যান্ডারে পৌঁছে দেবে। এ জন্য প্রিজারভেন্স একটি রোবটিক হাত ব্যবহার করবে।
এ পরিকল্পনা সত্ত্বেও নাসা সব সময়ে আকস্মিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরিকল্পনা গ্রহণ করে। প্রিজারভেন্স অকার্যকর হলে এ ক্ষেত্রে ব্যাকআপ পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনায় নাসা ২০২৮ সালে মঙ্গলের উদ্দেশে ল্যান্ডার পাঠাবে। এটি ২০৩০ সালে মঙ্গলে অবতরণ করবে। এই ল্যান্ডার দুটি ছোট হেলিকপ্টার বহন করে নিয়ে যাবে।
প্রিজারভেন্স মঙ্গলে ইনজিনিউটি নামে একটি নিজস্ব হেলিকপ্টার বহন করে নিয়ে এসেছিল। এটি প্রথম পৃথিবীর বাইরে মঙ্গলের আকাশে স্বনিয়ন্ত্রিত ফ্লাইট পরিচালিত করে। এটি এখন পর্যন্ত ২৯ বার উড্ডয়ন করেছে।
নতুন পাঠানো হেলিকপ্টার দুটি কিছুটা ভারী হবে, চাকা সজ্জিত হেলিকপ্টার দুটি মাটিতে চলতে পারবে। পাশাপাশি রোবটিক হাত দিয়ে নমুনাগুলো পুনরুদ্ধার করতে পারবে।
এ পর্যায় প্রিজারভেন্স প্রথমে নমুনাগুলো মাটিতে ফেলে দেবে। হেলিকপ্টার সেগুলো তুলে নেবে। এরপর সেগুলো ফিরতি আরোহন যানে (মার্স অ্যাসেন্ট ভেহিকেল) তুলে দেবে। এই যানটি মঙ্গলের সংগৃহীত নমুনা নিয়ে ২০৩৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ মরুভূমিতে অবতরণ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।