নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নেইমারের নৈপুন্যে গতবার নিজেদের মাঠে অলিম্পিকে সোনা জিতেছিল ব্রাজিল। এবার নেইমার ছিলেন না। কিন্তু ছিলেন দানি আলভেস-রিচার্লিসনরা। ভক্ত-সমর্থকদের নিরাশ করেননি তারা। তাদের হাত ধরেই সেলেসাওরা এগিয়ে গেছে দুরন্তগতিতে। গতকাল স্পেনকে হারিয়ে টোকিও অলিম্পিকেও সোনার হাসি হাসলো ব্রাজিল। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনালে স্প্যানিশদের ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফুটবলে সোনা জিতলো লাতিন দেশটি।
অলিম্পিক ফুটবলে এ নিয়ে দ্বিতীয় সোনা জিতল ব্রাজিল। নিজেদের আঙিনায় ২০১৬ সালে রিও দে জেনেইরোর আসরে প্রথম সেরা হয়েছিল তারা। ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা অলিম্পিকসে প্রথম ও সবশেষ ফুটবলের সোনা জয়ের পর স্পেনের অপেক্ষা আরও বাড়ল। ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকসে রুপা পাওয়ার ২১ বছর পর আরেকটি ফাইনালে এসে সঙ্গী হলো সোনা না পাওয়ার হতাশাই।
এবার কোপা আমেরিকা জিততে না পারার বেদনা অলিম্পিক সাফল্য দিয়ে কিছুটা হলেও ভুলতে পারবেন ব্রাজিলিয়ানরা। গতকাল টোকিওর নিশান স্টেডিয়ামে ম্যাথিয়াস কুনহার গোলে ব্রাজিল প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকে। বিরতির পর স্পেনও কম যায়নি। গোল শোধে মরিয়া হয়ে সফলও হয়েছে। ওয়ারজাবাল ম্যাচে সমতা ফেরান। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের ম্যাচে স্কোরলাইন থাকে ১-১। অতিরিক্ত সময়ে এসে বদলি ম্যালকম হলেন ত্রাতা। তারই দেওয়া গোলে জয়ের ভেলাতে পৌঁছে যায় ব্রাজিল। ১০৮ মিনিটে ম্যালকম বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারকে টপকে গোলকিপার উনাই সিমনের পাশ দিয়ে জয়সূচক গোলটি করেন। অ্যাসিস্ট অ্যান্থনির।
এর আগে ম্যাচ ঘড়ির ১৬ মিনিটে প্রথম আক্রমণ শানিয়েছে অবশ্য স্পেন। দানি ওলমোর হেড বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়াতে বসেছিলেন ডিয়েগো কার্লোস। শেষ পর্যন্ত ছুটে গিয়ে গোললাইন থেকে ব্যাক ভলিতে বিপদমুক্ত করেন ব্রাজিলের এই ডিফেন্ডার।
তিন মিনিট পর ব্রাজিল গোলের সুযোগ পেয়েছিল। বক্সের প্রান্ত থেকে দগলাস লুইসের শট গোলকিপার উনাই সিমন ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন। ২৫ মিনিটে লুইসের পাসে রিচার্লিসন ৬ গজ দূরত্ব থেকে বাঁ পায়ের শট বাইরের জাল কাঁপালে গোল পাওয়া হয়নি।
৩৪ মিনিটে ম্যাথিউস কুনহাকে ফাউল করেন সিমনকে। ভিএআরের মাধ্যমে পাওয়া পেনাল্টি থেকে রিচার্লিসন গোল করতে ব্যর্থ হলে হতাশা বাড়ে ব্রাজিলের। প্রতিযোগিতায় ৫ গোল করা এই ফরোয়ার্ডের নেওয়া ডান পায়ের শট ওপর দিয়ে যায়।
চার মিনিট পর স্পেন সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি। ওয়ারজাবালের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আবারও ব্রাজিলের আধিপত্য। প্রথম মিনিটে রিচার্লিসনের শট রক্ষণে এসে বাধাপ্রাপ্ত হয়। দ্বিতীয় মিনিটে ব্রাজিল এগিয়ে যায়। অধিনায়ক আলভসের অ্যাসিস্টে কুনহার গোল। বক্সের প্রান্ত থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল। বিরতি থেকে ঘুরে এসে দুই দলই গোলের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছে শুধু স্পেন। ৬১ মিনিটে কার্লোস সোলেরের ডানপ্রান্তের ক্রসে ওয়ারজাবাল বক্সে ঢুকে চলতি বলে বাঁ পায়ের জোরালো ভলিতে স্কোরলাইন ১-১ করেন।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটেও স্কোরলাইন ছিল একই। এরপর খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে সেখানে গোল করে সোনার হাসি হেসেছে ব্রাজিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।