নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল সেটা প্রমাণিত হলে তার কমপক্ষে দুই বছরের জেল হতে পারতো। সঙ্গে মোটা অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও। কাতার বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে এমন একটি বিষয় নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন নেইমার ও ব্রাজিল। কারণ, জেল জরিমানা হলে তিনি যে তিনি বিশ্বকাপই খেলতে পারতেন না।
তবে শুক্রবার ব্রাজিল ও নেইমার স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়েছে। স্প্যানিশ আদালত নেইমারের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দিয়েছেন। কেবল নেইমার একা নন, এই মামলায় অন্যান্য যারা জড়িত ছিলেন, তারাও মুক্তি পেয়েছেন।
শুনানি চলাকালীন নেইমার স্পেনের আদালতকে জানিয়েছেন, ২০১১ সালে যখন তার চুক্তি হয়েছিল, সেটাতে তিনি জড়িত ছিলেন না। এই চুক্তি নিয়ে কোনো কিছু ঘটে থাকলেও সে ব্যাপারে তিনি অবহিত ছিলেন না। তাকে এবং তার বাবাকে যেখানে স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছিল, তারা দুজন কেবল সেখানেই স্বাক্ষর করেছিলেন।
নেইমারের বাবাও একই কথা বলেন। তিনি জানান, চুক্তিতে কি ছিল না ছিল সেটা তারা জানতেন না। পুরো কাজটি তাদের হয়ে করে দিয়েছে সান্তোস। যদি কোনো জালিয়াতি কিংবা মারপ্যাচ থাকে তাহলে সেটা সান্তোস জানে। তারা কিছু জানেন না।
শুনানি শেষে স্পেনের আদালত নাটকীয় রায় দেয়। সেই রায়ে নেইমারসহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ ছিল তার সবগুলো থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মূলত নেইমারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিল ব্রাজিলিয়ান সংস্থা ডিআইএস। তাদের দাবি ছিল ২০১৩ সালে নেইমারকে দলে ভেড়াতে সান্তোস ও বার্সেলোনার মধ্যে যে আর্থিক চুক্তি হয়েছিল, সেটা তাদের কাছে গোপন করা হয়েছিল। তথ্য গোপন করায় এই চুক্তির ফলে ডিআইএস যে টাকা পাওয়ার কথা ছিল, সেটা তারা পায়নি এবং বঞ্চিত হয়েছে।
অবশ্য ডিআইএস-এরএই দাবি অস্বীকার করে বার্সেলোনা ও সান্তোস। এরপর বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং আদালত নেইমার, তার বাবা ও অন্যান্যদের এই অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।