Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথে আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ টিম

দেখানো হয়নি একেবারে নিম্নমানের ঘরগুলো

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০২১, ১:৫৪ পিএম

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় মজিব বর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মিত ঘর তৈরীতে অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি বিশেষ টিম বিশ্বনাথ পরিদর্শন করেছেন। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের নেতৃত্বে ৫সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল শনিবার বিশ্বনাথে আসেন। তারা বিশ্বনাথ ইউনিয়নের দন্ডপানিপুর এলাকায় নির্মিত ১৬টি ঘর পরিদর্শন করেন। এই ভেঙ্গে যাওয়া ঘরগুলো মেরামত করা হয়েছে। এ ধরনের অবস্থা বাকি ঘর গুলোতে বিরাজমান। পরিদর্শককারি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের এ প্রকল্পে কোনো অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানান।
এ উপজেলায় নির্মিত এই ঘরগুলো নির্মানের পর দেয়ালে ফাটল ও ধসে পড়ে, ফ্লোরে ফাটল, পানি নিস্কাশনের সমস্যা, বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই এসব নানা সমস্যায় জর্জরিত বসবাসকারিরা। স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, ঘর নির্মাণে নাম মাত্র টাকা খরচ করে বাকি সব ভাগ বাটোয়ারা করা হয়েছে। ঘরগুলোর দুরাবস্থা সংবাদ চলে যায় স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট। স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে ঘর নির্মানের ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি দেখতে পান। এই খবর চলে যায় ঘর নির্মাণকারি ব্যক্তি ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নজরে। এসব অনিয়ম ফেসবুক ও কিছু কিছু গণমাধ্যমে প্রচার হয়। সপ্তাহ খানেক আগে দন্ডপানিপুর এলাকায় ধসে যাওয়া ঘর গুলো পুঃণ মেরামত করা হয়। জাতীয় একটি দৈনিক এই ঘর গুলো ফাটল ধরার কথাও উল্লেখ থাকায় পরিদর্শনকারি দল শুধু মাত্র এই ১৬টি বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। নির্মিত ঘর গুলো হচ্ছে, বিশ্বনাথ দন্ড পানি পুর এলাকায় ১৬টি, দীতপুরে ২৭টি, খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওয়ন পুর এলাকায় ২০টি, রাজাগঞ্জ বাজার এলাকায় ১৬টি, ভাটপাড়া এলাকায় ৩৬টি লামাকাজি ইউনিয়নে ৪৩টি, দশ ঘর ইউনিয়নের জীবন পুরে ২৮টি, কাসিম পুরে ৬টি মোট ১৯২টি ঘর তৈরী হওয়ার পর বর্তমানে ১৮৫টি ঘরে লোকজন বসবাস করছেন। ৮০টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিটি ঘরে ১লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যায় হিসেবে ২৬৫টি ঘর এসব ঘর প্রশাসনের সরাসরি তত্বাবধানে নির্মাণের কথা থাকলেও চেয়ারম্যান মেম্বার ও জামাত বিএনপির লোকজন এই কাজ করেছেন। গত সপ্তাহ খানের ধরে এসব ঘর নির্মানের অনিয়মের দূর্নীতির কথা লোক মুখে চর্তুরদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
রাজাগঞ্জ বাজার পৌষণী মৌজায় প্রথম দফায় ঘর গুলো তৈরীর অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে জাতীয় দৈনিকে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে পরবর্তীতে ঘর নির্মাণে দূনীতি ছড়িয়ে পড়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আশ্রয়ণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ