মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাস্পিয়ান সাগরে দেখা গেল বিরল অগ্ন্যুৎপাত। তবে গনগনে লাভা নয়, পানির গভীর থেকে বেরিয়ে এল পাহাড়প্রমাণ তাল তাল কাদা। কয়েকশো ফুট উঁচু সেই পাহাড়প্রমাণ কাদার তাল। সঙ্গে উঠে এল অত্যন্ত উষ্ণ পানির ধারা। ফোয়ারার মতো। যেন টাওয়ারিং ইনফার্নো!
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটাই ‘মাড ভলক্যানো’ বা কাদার আগ্নেয়গিরি। অগ্ন্যুৎপাতে পৃথিবীর ভেতর থেকে লাভার স্রোত বেরিয়ে আসার ঘটনা যতটা স্বাভাবিক, পাহাড়প্রমাণ কাদার তাল বেরিয়ে আসার ঘটনা ততটাই বিরল। আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৪ জুলাই। আজারবাইজান লাগোয়া কাস্পিয়ান সাগরে। ওই অগ্ন্যূৎপাত শুরু হওয়ার আগে বা পরে আজারবাইজানের উমিডে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রগুলি থরথর করে কেঁপে ওঠে এক ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে। সেই বিস্ফোরণে লাগোয়া ৬ মাইল এলাকায় অনুভূত হয় সেই কম্পন। আজারবাইজানের সমুদ্রোপকূলবর্তী রাজধানী শহর বাকুর থেকে ৪৫ মাইল দূরত্বে রয়েছে উমিডে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রগুলি।
কেন কাস্পিয়ান সাগরে তাল তাল কাদার এই বিরল অগ্ন্যুৎপাত, কেনই বা উমিডে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রগুলি থরথর করে কেঁপে উঠল ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে, এখনও আজারবাইজান সরকার তার কারণ জানাতে পারেনি। কাদার আগ্নেয়গিরির জন্যই কি কেঁপে উঠেছিল উমিডে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রগুলি, নাকি ওই এলাকার তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রগুলির ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের জেরেই পাহাড়প্রমাণ কাদার অগ্ন্যূৎপাত হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদ কাস্পিয়ান সাগরে তা স্পষ্ট ভাবে বোঝা সম্ভব হয়নি।
কাস্পিয়ান সাগর রয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের মাঝখানে। ককেশাসের পূর্বে কাস্পিয়ান সাগর রয়েছে উত্তরে ইরানের পাহাড়, মালভূমির উত্তর দিকে।, দক্ষিণে ইউরোপের ভাগে পড়া দক্ষিণ রাশিয়া পড়ে কাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণে। আর মধ্যপ্রাচ্যের পশ্চিমে পড়ে কাস্পিয়ান সাগর। আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কাদার আগ্নেয়গিরির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাসও। বিশ্বে এমন কাদার আগ্নেয়গিরি রয়েছে প্রায় এক হাজারটি। তবে সেগুলির বেশির ভাগই রয়েছে ছোট ছোট দ্বীপে বা ক্ষুদ্র দ্বীপপুঞ্জে। আজারবাইজানে এমন প্রায় ৪০০টি কাদার আগ্নেয়গিরি রয়েছে। তাই দেশটির পরিচিতি আরও একটি নাম। ‘ল্যান্ড অব ফায়ার’ বা আগুনের দেশ। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।