গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
২০ জুলাইয়ের মধ্যে সম্মেলন করার শর্তে নুর-রাশেদ দ্বন্দ্বের আপাতত অবসান হলো বলে জানা যায়।বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সমন্বিত প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের সমাধান হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন। রোববার (৪ জুলাই) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি জানিয়েছেন রাশেদ খাঁন।তিনি লিখেন, দেশের মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা বয়সে তরুণ যে কারণে মাঝেমাঝে বক্তব্য, কথা, কাজের মধ্যে ভুল করে বসি। নুর ও আমার মধ্যে যে ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিলো, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর সমাধান হয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতে নিজেরা চলার পথে আরও বেশি সতর্ক থাকবো।
এ সময় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন রাশেদ। ফেসবুক পোস্টে চলমান বিতর্কের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে আরও রাশেদ বলেন, আমরা বয়সে তরুণ। এ কারণে মাঝে মধ্যে বক্তব্য, কথা ও কাজে ভুল করে বসি। তবে নুর (নুরুল হক নুর) ও আমার মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে সেটার অবসান হয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে নিজেরা চলার পথে আরও বেশি সতর্ক থাকব। রাশেদ খাঁন বলেন, নুর ও আমার মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর দিন থেকেই সুসম্পর্ক ছিল। ভবিষ্যতেও সম্পর্ক ধরে রেখে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমরা দেশের মানুষকে অভিভাবক মনে করি। আমাদের ভুল হলে তারা অবশ্যই সমালোচনা করবেন। তারা পরামর্শ দেবেন, যাতে নিজেদেরকে শুধরে নিয়ে আরও পরিপক্ব করে গড়ে তুলতে পারি।
এ সময় ভুল বোঝাবুঝির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে রাশেদ খান বলেন, সবার কাছে আবারও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এর আগে গত ২ জুলাই ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এক বিজ্ঞপ্তিতে রাশেদ খাঁনকে অব্যাহতি দেয়। ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন রাশেদ। এর বিপরীত ব্যবস্থা হিসেবে রোববার এক পাল্টা নোটিশে নুরুল হক নুরকে এই ঘটনায় কারণ দর্শাতে বলেন রাশেদ। এমনকি সংগঠনে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদে সমন্বয়ক নামে কোনো পদ নেই বলেও দাবি করেন রাশেদ খাঁন। পরে আজ ফের আলোচনার করে সমাধানে পৌঁছান ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ দুই নেতা।
সমাধানের বিষয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মতানৈক্য ও সমস্যাগুলোর সমাধান হয়েছে।সিদ্ধান্ত হয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের। আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। ততদিন আমি আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করব। এ বিষয়ে নুরুল হক নুর বলেন, প্রত্যেক সংগঠনে কিছু মতানৈক্য থাকে। আমাদের মধ্যেও হয়েছিল। আমরা আলোচনা করে বিষয়টার সমাধান করে নিয়েছি। অব্যাহতি ও সম্মেলনের বিষয়ে নুর বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন, ডিসিপ্লিনারি বোর্ড সবই বলবৎ থাকবে শুধুমাত্র রাশেদ খাঁনের সাময়িক অব্যাহতি তুলে নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।