নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০২০-২১ মৌসুম শেষ হওয়ার পর ব্রাজিলের হয়ে যেন নেইমার রীতিমতো অদম্য। টানা চার ম্যাচে পেয়েছেন গোল। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও চারটি। তার এমন পারফর্ম্যান্সে সেলেসাওরাও বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব আর কোপা আমেরিকা মিলিয়ে তুলে নিয়েছে টানা চার ম্যাচে চার জয়।
কোপায় ব্রাজিলের প্রথম দুই ম্যাচ জয়েও নেইমারের নামটাই চলে আসে সবার আগে। এই নিয়ে ব্রাজিলের শেষ চার ম্যাচে চার গোল করলেন এই ফরোয়ার্ড। গতপরশু পেরুর বিপক্ষে গোলটি দিয়ে ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় স্বদেশী তারকা রোনালদোকে (নাজারিও) পেছনে ফেললেন নেইমার। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন তার গোলসংখ্যা ৬৮। ম্যাচ শেষে চোখের জল মুছে নেইমার বলেন, ‘ব্রাজিল দলের ইতিহাসের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য দারুণ সম্মানের।’
১০৭ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আর মাত্র ৯ গোল করলে তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা পেলেকে। পেরুর বিপক্ষে গোলটা তাকে নিয়ে এসেছে পেলের ৭৭ গোলের রেকর্ড থেকে ৯ গোলের দূরত্বে। এমন এক কীর্তি, যা কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করেননি নেইমার। এত কিছুর পরেও তিনি চলে এসেছেন পেলের রেকর্ড থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে। ম্যাচ শেষে তাই আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। আবেগাক্রান্ত নেইমার জানালেন, এসব রেকর্ড নয়, ব্রাজিলের হয়ে খেলতে পেরেই তিনি খুশি, ‘সত্যি বলতে ব্রাজিলের হয়ে খেলাটাই ছিল আমার স্বপ্ন। সব সময় এই জার্সি পরতে চেয়েছি। কখনো ভাবিনি এখানে (গোল তালিকা) উঠে আসতে পারব।’
ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের গোল তালিকা নিয়ে বিতর্ক আছে। পরিসংখ্যানবিদদের কেউ কেউ শুধু তাদের প্রতিযোগিতামূলক গোল হিসাব করেছেন, কেউ আবার প্রীতি ম্যাচের গোলও যোগ করেছেন। এমনকি ব্রাজিলের ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) পর্যন্ত এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। পেরুর বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তারা জানিয়েছে, রোনালদোর প্রীতি ম্যাচ যোগ করে যে গোলসংখ্যা, সেটিও টপকে গেছেন নেইমার। ফিফা টুইটে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নেইমার এখন ২০তম। কিন্তু তারা গোলসংখ্যা কিংবা কারা তার ওপরে, সেই তালিকাটা অবশ্য প্রকাশ করেনি।
তিনবার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি পেলের গোলের রেকর্ড নেইমার টপকে যাবেন বলেই সবার ধারণা। ব্রাজিল তারকাকে শীর্ষে দেখার আশা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে পেলে লেখেন, ‘আজ (গতপরশু) সে আমার গোলের রেকর্ড ছোঁয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। তাকে সেখানে দেখার প্রত্যাশায় আছি, সেই একই আনন্দ নিয়ে যখন তাকে প্রথম খেলতে দেখি।’
শেষ দুই বছর, সময়টা ভালো কাটেনি নেইমারের। চোটে পড়েছেন, যার ফলে ২০১৯ সালে যখন ব্রাজিল জিতেছে কোপা আমেরিকা, তখন তিনি ছিলেন দলের বাইরে। এরপর ধর্ষণের মামলায় লড়তে হয়েছে তাকে। সদ্যসমাপ্ত মৌসুমে পিএসজির হয়ে কিছুই না জেতায় পড়তে হয়েছে সমালোচনার মুখেও।
সব কিছু মিলিয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তার, সে দুঃসময়কে পেছনে ফেলে জাতীয় দলে এসে আবারও পারফর্ম করছেন তিনি। তার পর তো আবেগাক্রান্ত হওয়াটা স্বাভাবিকই। তবে নেইমার জানালেন, এসব কঠিন সময় পার করে তিনি আনন্দ পান শুধু দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার মধ্য দিয়ে, ‘গত দুই বছরে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গেছি। কঠিন সময় পার করেছি। কিন্তু এসব (গোল) সংখ্যা দেশে ও পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করার আনন্দের তুলনায় কিছুই নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।