মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের ব্যাপক হারে ভোটদানের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, শত্রুরা আমার দেশের নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতি কমিয়ে দিয়ে ইরানকে সন্ত্রাসবাদের লালন ভূমিতে পরিণত করতে চায়। কিন্তু ইরানি জনগণ সে ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।
আগামী শুক্রবার (১৮ জুন) অনুষ্ঠিতব্য ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার (১৬ জুন) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এমন আহ্বান জানান।
আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, সব ক্ষেত্রে ইরানের ভবিষ্যৎ আগামী শুক্রবারের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের ওপর নির্ভর করছে। নিজেদের হাতে দেশের ভাগ্য গঠন করার সুযোগ পাচ্ছে দেশের জনগণ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ মাত্রায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেছিলেন, মার্কিন ও ব্রিটিশ মিডিয়াগুলো আগে থেকেই এ নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা শুরু করেছে। এমনকি তারা এ নির্বাচনে জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করার ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছে। দুনিয়ার আর কোনো দেশ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না; যে দেশের নির্বাচন নিয়ে এতো বেশি ষড়যন্ত্র হয়। কিন্তু এতসব ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত ইরানের সবগুলো নির্বাচনে ভোটাররা ব্যাপক মাত্রায় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মতে, শত্রুরা আসলে এদেশের নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতি কমিয়ে দিয়ে ইরানকে সন্ত্রাসবাদের লালন ভূমিতে পরিণত করতে চায়। কিন্তু আমাদের জনগণ সে ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।
আয়াতুল্লাহ খামেনি আরও বলেন, ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যে গণভোটে দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন সেই নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শত্রুরা। তাদের সেই যে শত্রুতা শুরু হয়েছে তা আজও শেষ হয়নি।
তিনি দাবি করেন, বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, এই একবিংশ শতাব্দীতে এখনো বিশ্বের বহু দেশের জনগণ নির্বাচন কাকে বলে তা জানেই না। এমন সব দেশের শাসকরাও ইরানের গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
ইরানি নেতা বলেছেন, এটা ঠিক যে, সরকারগুলো দেশের জনগণের জীবন-জীবিকা ও বাসস্থানের সমস্যার পুরোপুরি সমাধান করতে পারেনি। জনগণ অর্থনৈতিক সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নির্বাচন বয়কট করলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বরং, ভোট কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত হয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেই জনগণ তাদের সমস্যার সমাধানে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে।
আয়াতুল্লাহ খামেনির ভাষায়, ইরানি জনগণ যখনই কোনো কাজে হাত দিয়েছে তাতে সফল হয়েছে। আমি আশা করবো, এবারের নির্বাচনেও ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে তারা আরেকটি বীরত্ব গাঁথা তৈরি করবে।
ভাষণের শেষ দিকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে ইরানের সাফল্য তুলে ধরেন সর্বোচ্চ নেতা। খামেনির বলেন, যেসব দেশ প্রথম টিকা তৈরি করেছে তারা এই টিকা নিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু তেহরান বিদেশি টিকার জন্য বসে থাকেনি। এখন বিশ্বের যে ছয় থেকে সাতটি দেশ করোনা ভাইরাসের টিকা তৈরি করছে সেগুলোর মধ্যে ইরান অন্যতম। তিনি পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ইরানি বিজ্ঞানীদের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
আগামী ১৮ জুন শুক্রবার ইরানের ত্রয়োদশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে সাতজন প্রার্থী থাকলেও এরই মধ্যে দুই স্বেচ্ছায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সূত্র : পার্সটুডে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।