নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
৮০ মিনিটের খেলা পেরিয়ে গেছে, তখনও গোলের দেখা নেই। মনে হচ্ছিল হাঙ্গেরির বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করতে যাচ্ছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগাল। কিন্তু শেষের কয়েক মিনিট পুরোপুরি নিজেদের করে নিলো ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৮ মিনিটের মধ্যে ৩ গোল করে টুর্নামেন্টে দাপুটে শুরু করলো পর্তুগাল।
গতপরশু ‘এফ’ গ্রচপের ম্যাচে বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় হাঙ্গেরিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল। সহজ সুযোগ নষ্টের পর ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করেন রোনালদো। পর্তুগালের হয়ে বাকি গোলটি করেন রাফায়েল গেরেইরো। রোনালদোময় রাতে তার পাশাপাশি তার দলও গড়েছে রেকর্ড।
মাঠে নেমেই কীর্তি
হাঙ্গেরির বিপক্ষে মাঠে নামা মাত্রই ইউরো কাপে ইতিহাস গড়েন রোনালদো। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ৫টি ইউরোয় মাঠে নামা হলো তার। ২০০৪ সালে প্রথম ইউরো খেলেন রোনালদো। এরপর একাধারে ২০০৮, ২০১২, ২০১৬ সালের পর ইউরো ২০২০ খেলতে নামলেন। এই রেকর্ড আর কোনো ফুটবলারের নেই। বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ মিলে মেজর টুর্নামেন্টে রোনালদোর এটি ৩৯তম ম্যাচ। ছাড়িয়ে গেলেন জার্মানির সাবেক ফরোয়ার্ড বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগারকে।
টানা ৫ ইউরোয় গোল
একমাত্র ফুটবলার হিসেবে টানা পাঁচটি ইউরো কাপের মূলপর্বে গোল করার রেকর্ড গড়েন রোনালদো। যখন আর কেউ পাঁচটি ইউরোর মূলপর্বে মাঠেই নামেননি, তখন পাঁচটি ইউরোয় রোনালদো ছাড়া আর কারো গোল করার প্রশ্নই ওঠে না। তার গোল করার ধরনেও আছে রেকর্ড। আগের ৯টির মতো এবারও ডি-বক্সের মধ্য থেকে জালে বল পাঠিয়েছেন, এর মধ্যে ৫টি হেডে। দুটিই রেকর্ড। গ্রæপ পর্যায়ে করেছেন তিনি সর্বাধিক ৮টি গোল।
গোলের রাজা
এতদিন ইউরোর ইতিহাসে সবথেকে বেশি ৯টি করে গোল করার রেকর্ড ছিল যুগ্মভাবে প্লাতিনি ও রোনালদোর দখলে। হাঙ্গেরির বিপক্ষে প্রথম গোল করা মাত্রই রোনালদো প্লাতিনিকে টপকে শীর্ষে চলে আসেন। দ্বিতীয় গোলের সুবাদে ইউরোয় মোট ১১টি গোল হয়ে যায় সিআর সেভেনের। সবমিলে দেশের হয়ে রোনালদোর গোল সংখ্যা এখন ১০৬। আর তিনটি গোল হলেই ইরানের আলি দাইয়ের গড়া ১০৯ গোলের বিশ্ব রেকর্ড স্পর্শ করবেন তিনি।
দলেরও রেকর্ড
৬০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে রোনালদোর পাশাপাশি তার দল পর্তুগালও আরও একটি কীর্তি গড়েছে। সবশেষ ছয় চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে শুধু স্পেন ২০১৬ ও ফ্রান্স ২০০৪ সালে প্রথম ম্যাচে জিতেছিল। পর্তুগালও এবার শুরুর ম্যাচ জিতে এই কাতারে চলে এসেছে। এর আগে সবশেষ ইউরোতে দুই দলের লড়াইটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল।
স্বস্তি, আশা
ভীষণ কঠিন গ্রæপ হওয়ায় জয় দিয়ে ইউরো শুরুকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন ৩৬ বছর বয়সী রোনালদো। পাশাপাশি জয়ের ধারা ধরে রাখার প্রত্যাশাও তার, ‘আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য এভাবে সঠিক পা রেখে শুরু করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন আমাদের এই ধারা বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের পরের ম্যাচে জয় পাওয়ার ব্যাপারে ভাবতে হবে।’
ইউরোর মৃত্যুক‚প হিসেবে পরিচিত ‘এফ’ গ্রæপে দারুণ শুরুর পর আগামী শনিবার পর্তুগাল পরের ম্যাচ খেলবে শক্তিশালী জার্মানির বিপক্ষে। গ্রæপের শেষ ম্যাচে তদের প্রতিপক্ষ জার্মানদের হারানো গতবারের রানার্সআপ ফ্রান্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।