নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২, ১, ৩, ৩- ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর খেলা চারটি ইউরোতে তার গোলসংখ্যা। এবার টানা পঞ্চম ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যাওয়া পর্তুগাল উইঙ্গারের ইউরো-অভিষেক ২০০৪ সালে। অভিষেক টুর্নামেন্টেই ২ গোল করেছিলেন রোনালদো। সেবার ফাইনালও খেলেছিল তার দল। কিন্তু গ্রিসের কাছে ১-০ গোলে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ¤øান হয়েছিল তাদের। ছন্দের তুঙ্গে থেকে ২০০৮ সালের ইউরো খেলতে গেলেও রোনালদো করেন মাত্র একটি গোল। পরের দুবার তিনটি করে গোল তার। এবার কয়টি গোল করবেন রোনালদো?
প্রশ্নটি করার পেছনে একটা কারণ আছে। ইউরোতে সব মিলিয়ে রোনালদোর গোল ৯টি। ইউরোপসেরার এই টুর্নামেন্টে এবার রোনালদোকে হাতছানি দিচ্ছে একটি গোলের রেকর্ড। আর একটি গোল করলেই তিনি কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনিকে ছাড়িয়ে হয়ে যাবেন ইউরোর সর্বোচ্চ গোলদাতা। ফ্রান্সের সাবেক আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার প্লাতিনির ইউরোর গোলসংখ্যা ৯। ২০১৬ সালে পর্তুগালকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন করার পথে রোনালদো ছুঁয়ে ফেলেন প্লাতিনিকে।
রোনালদোর বয়স হয়ে গেছে ৩৬ বছর। পর্তুগালের ক্যারিয়ারে তার সায়াহ্নবেলা দেখছেন অনেকেই। কে জানে এই বয়সেও ‘তরুণ’ রোনালদো আর কত দিন খেলতে পারবেন পর্তুগালের জার্সিতে! ইউরোর সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার হাতছানি ছাড়াও আন্তর্জাতিক ফুটবলের আরেকটি রেকর্ড ডাকছে রোনালদোকে। পর্তুগালের হয়ে আর ৬টি গোল করতে পারলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোল করা আলী দাইয়িকে। ইরানের সাবেক স্ট্রাইকার জাতীয় দলের হয়ে ১০৯টি গোল করেছেন।
পর্তুগালের হয়ে সব মিলিয়ে রোনালদোর গোল ১০৩টি। ইউরোর আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন তিনি—একটিতে প্রতিপক্ষ স্পেন, অন্যটিতে ইসরাইল। এ দুই ম্যাচে গোল করে দাইয়ির দিকে আরেকটু এগিয়ে যেতে পারলে ইউরোতে রোনালদোকে একসঙ্গে ধরা দিতে পারে দ্বৈত আনন্দ। সদ্য শেষ হওয়া সিরি ‘আ’ মৌসুমটা রোনালদোর খুব একটা ভালো কাটেনি, বলছেন অনেকেই। এরপরও ২৯ গোল করে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন তিনিই। এমন একটি অর্জনের পর রোনালদো বলেছেন, ‘আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না, রেকর্ড এমনিতেই আমার কাছে এসে ধরা দেয়!’
এবারের ইউরোতেও রোনালদো ব্যক্তিগত অর্জনের দিকে চোখ রেখে খেলতে নামছেন না। ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের অধিনায়ক এবারের টুর্নামেন্ট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দলীয় সাফল্যের গানই গাইলেন, ‘আমি আগেও বলেছি যে ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের মুহ‚র্তটি পর্তুগাল দল ও দেশের জন্য কতটা গুরুত্বপ‚র্ণ ছিল। এই শিরোপা জয় আমাদের জন্য খুব গর্বের ছিল। এই শিরোপা জয় খুব আবেগের।’ এরপর রোনালদো এবারের টুর্নামেন্ট নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা বলেছেন, ‘আবার শিরোপা জিততে পারাটা হবে অসাধারণ এক ব্যাপার। এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা টুর্নামেন্টটি খেলতে যাচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।