নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বর্তমান ফুটবলে সবাই ছোটে অর্থ আর গø্যামারের পেছনে। অথচ এর পুরো বিপরীত চরিত্র এনগোলো কান্তে। ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পরই তার লাজুক স্বভাবের বিষয়টি সবার সামনে এসেছিল। তবে এত বড় একটা ট্রফি জয়ের পরও তার ভেতরে নেই কোনো অহংকার। এখনো আগের মতোই চুপিসারে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। যার ধারাবাহিকতায় শনিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছেন তিনি।
ফাইনালে কোথায় ছিলেন না এনগোলো কান্তে! ম্যানচেস্টার সিটি যখন আক্রমণ নিয়ে চেলসির রক্ষণে আছড়ে পড়েছে, তখন তিনি ডিফেন্ডার! আবার চেলসি যখন আক্রমণে, তখন টিমো ভেরনার, মেসন মাউন্ট আর কাই হাভার্টজের মতো পুরোদস্তুর ফরোয়ার্ড কান্তে!
গতপরশু ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচে পুরোটা সময় যেন বল যেখানে ছিল সেখানেই ছিলেন চেলসির ফরাসি মিডফিল্ডার। এ কারণেই তো হাভার্টজের একমাত্র গোলে চেলসি চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন কান্তে। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের পর সতীর্থ আর সাবেক ফুটবলারদের প্রশংসায় ভাসছেন এনগোলো কান্তে। চেলসির সাবেক মিডফিল্ডার জো কোলের কাছে কান্তেই চেলসির সেরা মিডফিল্ডার। অনেকের মতে, তারই এবারের ব্যালন ডি’অর পাওয়া উচিত।
২০১৫-১৬ মৌসুমেই সবার নজরে এসেছিলেন কান্তে। লেস্টার সিটিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) শিরোপা জেতানোর পথে মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত খেলেছিলেন এই ফরাসি ফুটবলার। এর পরপরই ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর নজরে আসেন কান্তে। বড় দলগুলোর প্রতিযোগিতায় জয় হয় চেলসির। ২০১৬ সালে মাত্র ৩ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে কান্তেকে দলে ভেড়ায় ‘বøুজ’রা।
স্টামফোর্ড ব্রিজে নিজের প্রথম মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতেন কান্তে। ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার এরপর চেলসির হয়ে এফএ কাপ আর ইউরোপা লিগও জিতেছেন। তবে ক্লাব ফুটবলে তিনি সবচেয়ে বড় শিরোপাটা জিতলেন কাল। চেলসিকে সেই শিরোপাটা জেতাতে বড় ভ‚মিকা কান্তেরই। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ থেকে শুরু করে ফাইনাল, টানা চার ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন এই মিডফিল্ডার।
কান্তের খেলা দেখে মুগ্ধ জো কোল বলেন, ‘আমি কান্তেকে দেখার আগে পর্যন্ত ম্যাকেলেলেকেই চেলসির সেরা মিডফিল্ডার মনে করতাম। এই ছেলেটা ম্যাকেলেলেকেও ছাড়িয়ে গেছে। গোলের সামনে স্ট্রাইকারের যেমন গোল করার বাসনা থাকে, মাঝমাঠে কান্তে সে রকমই।
চেলসির আরেক সাবেক রামিরেস অবশ্য কোনো বিশ্লেষণে যাননি। মৌসুমজুড়ে কান্তে যেমন খেলেছেন, সেটা দেখে তার মনে হয়েছে চলতি মৌসুমে ইউরোপের সেরা ফুটবলার চেলসির এই মিডফিল্ডারই। রামিরেসের মন্তব্য, ‘সে খুব ঠান্ডা মাথার খেলোয়াড়। রক্ষণ, মাঝমাঠ, আক্রমণভাগ-মাঠের সর্বত্রই থাকে সে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কান্তে বিশ্বসেরাদের একজন। একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের পক্ষে ব্যালন ডি’অর জেতা কঠিন। কিন্তু ব্যালন ডি’অর তার প্রাপ্য। সে যদি ২০২০ ইউরো জেতে তাহলে আমি বলব ব্যালন ডি’অর সে–ই পাবে।’
কান্তে ইউরো আর ব্যালন ডি’অর জিতবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে এসব না জিতলেও সতীর্থ আজপালাকুয়েতার কাছে তিনিই সেরা। এ বিষয়ে আজপালাকুয়েতা বলেন, ‘আমি সরাসরি বলতে চাই, সে বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডার। মাঠে সে সবকিছু করে। আজ (গতপরশু) সে যে কতবার বল কেড়ে নিয়েছে তার হিসাব নেই! তাকে দলে পাওয়াটা বিশেষ ব্যাপার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।