Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন : পাবলিক পরিবহণ ও পাবলিক প্লেসকে ধূমপানমুক্তকরণের দাবি নাগরিক সমাজের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২১, ৫:৪১ পিএম

‘আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও নাগরিক সমাজের ভাবনা শীর্ষক এক ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়েছে। রোববার (৩০ মে) বিশ^ তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাা ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস অব সোসাইটি-ডাস্ এ আয়োজন করে।

ডাস্ এর প্রকল্প উপদেস্টা আমিনুল ইসলাম বকুল এর সঞ্চালনায় এবং ডাস্ এর নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিাত ছিলেন সংসদ সদস্য ফজলে হাসান বাদশা এবং ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি আব্দুল জলিল মন্ডল, মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রমেশ চন্দ্র ঘোষ এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ সহ বিভিন্ন জেলা ও স্থাানীয় পর্যায়ের এনজিও ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। সভায় ধারণাপত্র উপস্থাাপন করেন দ্যা ইউনিয়নের কারিগরি উপদেষ্টা এ্যাড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ধূমপানকে নিরুৎসায়িত করতে হলে বড় আকারের ব্যানার, লিফলেট ইত্যাদির প্রচারণা বাড়াতে হবে। প্রচারণাগুলো বেশী পরিমাণে জনসমাগমস্থাল এবং বাস টার্মিনালগুলোকে কেন্দ্র করে সাজাতে হবে। এবং মোবাইল কোর্টকে আরও এ্যাকটিভ হতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে বাস এবং রেলওয়েতে ধূমপান করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি অথবা মালিকগণকে জরিমানা করতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন নিয়ে যে সব প্রতিষ্ঠান কাজ করেছন তাদেরকে সার্ভে করতে হবে বিশেষ করে কতগুলো বাস তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মানছে, আর কতগুলো মানছেনা এর উপরে। এছাড়া তিনি তার বক্তব্যে চালকদের বৈধ লাইসেন্স প্রদানের উপরও গুরুত্ব দেন।

আব্দুল জলিল ম-ল তাঁর বক্তব্যে বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণের উপর সুন্দর আইন আছে কিন্তু আইনের সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে না। আমরা সব সময় দ্বৈততার মধ্যে চলি। তামাক কোম্পানীকে একবার বলা হয় তোমরা ব্যবসা কর অন্যদিকে আবার জনগনকে বলছে ধূমপান করনা। তাই তিনি তাঁর বক্তব্যে সরকারের এই দ্বেত্যনীতি প্রত্যাহার করার উপর গুরুত্ব প্রদান করেন।

গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আছে কিন্তু আইনের সঠিক সঠিক প্রয়োগ নেই তবুও এরই মধ্যে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া তিনি তামাক চাষকে নিরুৎসায়িত করার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বিড়ি সিগারেট বিক্রি করার ক্ষেত্রে লাইসেন্সসিং এর উপর জোর দিয়েছেন।

রমেশচন্দ্র ঘোষ বলেন, পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে বিভিন্ন সচেতনাতামূলক প্রচার প্রচারণা করতে হবে এবং স্কুল কলেজগুলোতে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা করলে মাদকমুক্ত একটা সমাজ গড়ে উঠবে বলে তার বিশ^াস।

সভায় বক্তারা, আসন্ন বাজেটে তামাকের উপর বেশী পরিমাণে কর বৃদ্ধি করার ব্যাপারেও দাবি জানান। সেক্ষেত্রে তামাকের ব্যবহার অনেকাংশে কমে যাবে বলে সবার বিশ^াস। এছাড়া সভায় পাবলিক পরিবহণ ও পাবলিক প্লেসে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশকে জরিমানা আদায়ের এখতিয়ার প্রদানের দাবীও করা হয়।

আলোচনা সভায় আরো অংশগ্রহণ করেন সেতু’র এম এ কাদের, সলিডারিটি’র এস.এম. হারুন অর রশিদ লাল, স্পীডট্রাস্টের শামসুল ইসলাম দিপু, উবিনিগের ফরিদা আক্তার, সুপ্র’র মঞ্জু রাণী প্রামাণিক, এইড ফাউন্ডেশনের সাগুফতা সুলতানা, ব্যারিস্টার নিশাত রহমান, এ্যাড. মাসুম বিল্লাহ, এটিএন বাংলার সাংবাদিক নাদিরা কিরণ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওয়েবিনার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ