Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহামারিতেও সঠিক পথে অর্থনীতি ডিসিসিআই’র ওয়েবিনার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে রয়েছে। তবে সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় প্রয়োজন। গতকাল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক ওয়েবিনারের অংশগ্রহকারীরা এমন অভিমত দেন।

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সভাপতিত্বে এই ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পিআরআই)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ-এর চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ এতে বিশেষ আলোচক হিসেবে অংশ নেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মসিউর রহমান বলেন, সরকার করোনা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করেছে এবং এ লক্ষ্যে সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও সময়োপযোগী বাস্তবায়নের ফলে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই পরিচালিত হচ্ছে। সরকার দেশের কৃষি খাতের আধুনিকায়ন, সমাজের অতিদরিদ্র এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ে বেশি মাত্রায় গুরুত্ব দিচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সা¤প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেলেও, যেসব দেশে আমাদের প্রবাসীরা বেশি হারে নিয়োজিত রয়েছেন, সেখান থেকে প্রবাসীরা ফেরত আসলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে সকলকে সচেতন থাকাতে তবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, করোনার কারণে আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। তবে করোনা মোকাবিলায় সরকারের নেতৃত্ব সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে এবং বাস্তবতায় নিরিখেই সরকার ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থায় ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হলেও আমাদের অবস্থান ভালো থাকবে। তবে এ অবস্থা উত্তরণে প্রণোদনা প্যাকেজসহ নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ, প্রয়োজনীয় নীতিমালার সহজীকরণ এবং ঘোষিত নীতিমালায় এ মুহ‚র্তে কোনো ধরনের পরিবর্তন উচিত নয়।

অন্তর্ভ‚ক্তিমূলক অর্থনীতির ওপর আরও বেশি হারে গুরুত্বারোপের আহŸান জানিয়ে ড. আতিউর বলেন, কৃষি ও এমএসএমই খাতকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ডিজিটাল ব্যবস্থার বাস্তাবায়নের মাধ্যমে সকলকে করের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে আরও বেশি সহায়তা করা প্রয়োজন। এ জন্য উদ্যোক্তাদের নীতিসহায়তা প্রদানের পাশপাশি নজরদারি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে নীতিসহায়তার পাশাপাশি অর্থ সহযোগিতা করতে হবে।

পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা বড় ধরনের সংকটের মুখোমুখি হইনি। তবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথের প্রস্তুতি এখনই গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা বাড়ানো এবং দারিদ্র বিমোচন প্রক্রিয়ায় আরও নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগ কেন কাঙ্খিত মাত্রায় হচ্ছে না, তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। গ্রামাঞ্চলের মানুষজন ও বস্তিবাসীসহ সকলকে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। চামড়া খাতের উন্নয়নে সাভার ট্যনারি পল্লীতে ইটিপি বাস্তবায়নের কার্যক্রম দ্রæততার সঙ্গে করা প্রয়োজন। পলিসি এক্সচেঞ্জ-এর চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ বলেন, করোনার সময়ে আমাদের কৃষিখাত সচল ছিল এবং সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকায় আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির নানামুখী প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্তে¡ও গত ৬ মাসে দেশের অর্থনীতি কাক্সিক্ষত মাত্রায় পরিচালিত হয়েছে। তবে আমাদের বেসরকারি খাতের উন্নয়নে আরও বেশকিছু কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং এ লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে একযোগে কাজ করতে হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওয়েবিনার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ