পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ভারতকে এক সময় পৃথিবীর বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তকমা দেয়া হতো। সেই দেশে আজ নাগরিকত্ব আইনের নামে এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পুঞ্জি), সিএবি( সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল) বা সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন)-এর দ্বারা পৃথিবীর সব চেয়ে বড় অগণতান্ত্রিক কাজ করা হচ্ছে। সম্প্রতি মোদি সরকার লোকসভা ও রাজ্যসভায় আইনটি পাস করিয়ে এখন বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। বিলটি পাস হওয়াতে ইতিমধ্যে ভারতজুড়ে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রাম শুরু হয়েছে। আসাম, দিল্লী, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা ও মহারাষ্ট্রসহ সারাদেশে প্রতিবাদ চলেছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ লাঠিচার্চ করেছে, টিয়ারসেল ও গুলি বর্ষণ করছে। এতে ২৫ জনের মত বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। হাজার হাজার আহত হয়েছে। এই আন্দোলনে দিল্লীর জামিয়া মিল্লিয়ার শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রসহ পাঁচটি রাজ্য সরকার বিতর্কিত এই নাগরিকত্ব আইন মানতে এবং তার রাজ্যে বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ-এর দ্বারা ভারতে সাম্প্রদায়িক বিজিপি সরকার বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ ও পার্সিদের সহজেই নাগরিকত্ব দেয়ার প্রক্রিয়া করা হয়েছে। পক্ষান্তরে হাজার বছর ধরে বসবাসরত মুসলানদের নাগরিকত্বকে জটিল ও কঠিন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বরং মুসলমানদেরকে নাগরিকত্ব না দেয়ার জন্য এই বিতর্কিত আইন করা হয়েছে। বিজ্ঞজনেরা মনে করেন, হিন্দু নিয়ন্ত্রিত বর্তমান ভারতকে মুসলিমশূন্য করার জন্যই এই সাম্প্রদায়িক আইন করা হয়েছে। আরকানের মত দেশটিতে মুসলিমদেরকে জাতিগত নিধন করতেই এই অপপ্রয়াস বলেও বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।
অতীতে ভারত কখনো একক কোন দেশ বা রাষ্ট্র ছিল না। বরং এখানে হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকে বিভিন্ন ভাষা, বর্ণ ও ধর্মের লোকজন বসবাস করে আসছে। বহু বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত দেশ ও রাজ্য ছিল এখানে। উন্নত ও বিশ্ব পরিমন্ডলে আলোচনা করার মত কোন সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা এখানে ছিল না। জৈন, বৌদ্ধ ধর্মের লোকজন থাকলেও হিন্দুরাই সবসময় এই অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। কিন্তু তাদের শাস্ত্রীয় শ্রেণীভেদের কারণে গুটিকয়েক উচুঁ বর্ণের ব্রাহ্মণ হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দলিত হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মালম্বিদেরকে সবসময়ই নির্যাতন-নিপীড়ন করে আসছে। হিন্দু হওয়া সত্তে¡ও দলিতরা কথিত নীচু শ্রেণীর অভিযোগে সমাজ ও রাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক আচরণের স্বীকার হয়েছে। ৭১২ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ বিন কাসেমের ভারত অভিযানকালে বর্ণবৈষম্যের স্বীকার এই দলিতরা রাজা দাহিরের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে এবং মুহাম্মাদ বিন কাসেমের প্রতি তারা সহযোগিতার হাত বাড়ায়। ফলে মাত্র দুই বছরে তিনি আজকের করাচি থেকে মুলতান পর্যন্ত গোটা পশ্চিম ভারত সহজেই অধিকার করে নেন এবং মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সাম্য নিশ্চিত করেন। অতপর আরও সাড়ে চারশত বছর পর ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে সুলতান শিহাব উদ্দীন মুহাম্মাদ ঘুরী দ্বিতীয় তরাইনের যুদ্ধে পৃথ্বীরাজকে পরাজিত করে দিল্লীসহ মধ্য ভারত অধিকার করেন। শুরু হয় ভারতের নতুন ইতিহাস। বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত দেশ ও রাজ্য সমূহ এক সাথে জুড়ে মুসলমানরা প্রতিষ্ঠা করে এক বিশাল মহাভারত। পশ্চিমের বেলুচিস্তান থেকে পূর্বে আরাকান উত্তরের হিমালয় কন্যা কাশ্মীর থেকে দক্ষিণের মালব-কেরল পর্যন্ত গোটা ভারত উপমহাদেশকে একক একটি দেশ ও রাষ্ট্রে পরিণত করে। ১১৯২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৫৭ খ্র্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় সাতশত বছর মুসলমানরা বিশাল এই ভূখন্ড একক দেশ হিসেবে শাসন করে। উন্নতির চরম শিখরে তারা ভারতকে নিয়ে যান। দিল্লীর লাল কেল্লা, কুতুব মিনার, জামে মসজিদ, আগ্রার তাজমহলসহ অসংখ্য স্থাপত্য প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের দরবারে ভারতকে উচুঁ করে তুলে ধরেন। সুলতান কুতুব উদ্দীন আইবেক থেকে শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুরশাহ জাফর পর্যন্ত ঘুরী, মামলুক, খলজী, তুঘলক, সাইয়েদ, লোদী, শূরী ও মোগল বংশীয় মুসলিমদের দীর্ঘ এই শাসনকালে ভিন্ন ধর্মালন্বীদের প্রতি কোন চাপ, বলপ্রয়োগ, নির্যাতন বা হত্যাকান্ডসহ কোন কিছু ঘটেনি। ইতিহাস একথাটা অকপটে স্বীকার করে যে, ভারতে মুসলমানরা যদি হিন্দুদের প্রতি ইসলাম গ্রহণে বা দেশ থেকে বিতাড়নে বলপ্রয়োগ করত, তাহলে আজকে ভারতবর্ষে কোন হিন্দু খুঁজে পাওয়া যেত না। ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলার স্বাধীনতা হরণের মাধ্যমে ভারতে ইংরেজদের শাসন প্রতিষ্ঠা শুরু হওয়া থেকে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা উদ্ধার পর্যন্ত প্রায় দুই শত বছরের ঔপেনিবেশিক শাসন ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। বৃটিশরা এই দীর্ঘ সময়ে হিন্দুদেরকে রাষ্ট্র পরিচালনা করার মত উপযুক্ত করে গড়ে তোলে। ফলে বৃটিশদের ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় যত ঘনিয়ে আসে, তারা হিন্দুদের প্রতি তত ঝুকে পড়ে। মুসলমাদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে মুসলমানদের কাছে হস্তান্তর না করে, হিন্দুদের হাতে অর্পণ করার চেষ্টা যখন পরিলক্ষত হয়, তখনই বিংশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হাকীমুল উম্মাত হযরত আশরাফ আলী থানবী রহ. দিব্য দৃষ্টিতে দেখতে পান যে, ইংরেজদের সাথে হিন্দুরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। উভয় সম্প্রদায় মিলে মুসলমানদেরকে রাষ্ট্রহীন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। তখন তিনি ১৯৩৬ খিস্টাব্দে ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস ও হিন্দু প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মুসলমানদেরকে নির্বাচন করা, প্রার্থী দেয়া ও বিজয়ী করার নির্দেশ দেন। ভারত স্বাধীনতার নেতৃত্ব এককভাবে হিন্দুদের হাতে অর্পণ না করে মুসলমারদেরকেও নেতৃত্বের অংশীদার হওয়ার ডাক দেন। কিন্তু হিন্দুরা মুসলমানদের নেতৃত্বের অংশীদারিত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত ছিল না। ফলে হযরত হাকীমুল উম্মাত থানবী রহ. মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র ও স্বাধীন আবাসভূমির স্বপ্ন দেখেন। ভারত কিভাবে বৃটিশদের কবল থেকে উদ্ধার হবে, স্বাধীন হবে বা স্বাধীনতার রূপরেখা কি হবে! এর বাস্তব সম্মত একটি পরিকল্পনা ১৯৪০ খিস্টাব্দে ঘোষণা করা হয়। ইতিহাসে যাকে ’লাহোর প্রস্তাব’ বলা হয়। তারই অন্যতম শিষ্য শাইখুল ইসলাম হযরত আতহার আলী রহ. কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ও শেরে বাংলা একে ফজলুল হক কর্তৃক পঠিত ঐতিহাসিক ’লাহোর প্রস্তাবে’ সংখ্যাগরিষ্টতার ভিত্তিতে একাধিক স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্রের কথা বলা হয়েছিল। ইংরেজ বেনিয়া ও হিন্দুরা এই প্রস্তাবের ঘোর বিরোধিতা করে। এর বিপরীতে তারা ভারতকে অখন্ড রাখার দাবি তোলে। ভাষা ভিন্ন, বর্ণ ভিন্ন ও ধর্ম ভিন্ন হওয়া সত্তে্বও ভারতবর্ষের সকল জনগণকে ’ভারতীয় জাতীয়তার’ ভিত্তিতে এক ও অভিন্ন হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। কৌতুহলের বিষয় হলো যে, হিন্দুরা নিজ ধর্মের সব মানুষকেই একজাতের মনে করে না; বরং শ্রেণীভেদ ও বৈষম্যকে শাস্ত্রীয়ভাবে তারা হাজার হাজার বছর ধরে জিইয়ে রেখেছে, লালন করে আসছে। তারা হিন্দু-মুসলিম একজাত বলে মুসলমানদেরকে বুকে টেনে নিতে চায়! এটা যে হিন্দুদের রাজনৈতিক অপকৌশল, ধূর্ততা ও ম্যাকিয়াভ্যালিজম তা হাকীমুল উম্মাত, আল্লামা ইকবাল, কায়েদে আজম জিন্নাহ, শেরে বাংল একে ফজলুল হক, শাব্বীর আহমদ উসমানী, আল্লামা সুলায়মান নদভী, আল্লামা আজাদ সোবহানী, হযরত আতহার আলী, জাফর আহমদ উসমানী, হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, মাওলানা ভাষাণী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ উপমহাদেশের ৯৫% মুসলমান সেদিন অনুভব করতে পেরেছিলেন। তাই দ্বিজাতি তত্তে¡র ভিত্তিতে মুসলমানদের জন্য হিন্দুদের থেকে পৃথক ও ভিন্ন রাষ্ট্র ও দেশের আন্দোলন বেগবান করেন তারা। যার ফলে আজকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মত দুটি স্বাধীন মুুসলিম দেশ বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাড়িঁয়ে আছে। এজন্য হযরত হাকীমুল উম্মাত রহ.-এর নির্দেশে দারুল উলূম দেওবন্দের মুফতিয়ে আজম হযরত মুফতি মুহাম্মাদ শফী রহ. ’হিন্দু-মুসলিম একজাত’ মনে করা কুফরী মতবাদ বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন। সুতরাং এমন কুফরী মতবাদ বিশ্বাসকারীকে ভোট দেয়া, সমর্থন করা এবং সহযোগিতা করাও কুফরী বলে সাব্যস্ত করেছিলেন। পক্ষান্তরে, মুসলমানদের জাত ও কাওমিয়াতের ভিত্তি হবে ঈমান ও ইসলাম। অঞ্চল, ভাষা ও বর্ণ ইসলামে জাতীয়তার ভিত্তি নয়। যেমন পবিত্র মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ’নিশ্চয় মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই’। (সূরা: হুজরাত, আয়াত-১০)। অন্যস্থানে ইরশাদ হয়েছে, ‘ইব্রাহীম তোমাদের জাতির পিতা, তিনিই তোমাদেরকে মুসলিম হিসেবে নামকরণ করেছেন’। (সূরা: হজ্জ, আয়াত-৭৮) সুতরাং হিন্দু-মুসলিম এক নয়; বরং দুই জাত। এই দ্বিজাতি তত্তে¡র ভিত্তিতেই ভারত তখন স্বাধীন হয়।
একশত বছর পূর্বে হযরত হাকীমুল উম্মাত থানবী রহ. সহ মুসলিম নেতৃবৃন্দ হিন্দু শাসিত ভারতে মুসলমানদের যে দু:খ্য-দুর্দশা আঁচ করতে পেরেছিলেন, গান্ধী-নেহেরুরা যে একদিন এতদঞ্চলে হিন্দু আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করবে, সর্বোপরি রামরাজত্ব কায়েম করবে, এমন অনুমান ও ভবিষ্যদ্বাণী করা যে ভুল ছিল না, তা আজ এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পুঞ্জি), সিএবি (সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল), সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন)-এর দ্বারা বিজিপির মোদি সরকার শতভাগ সত্যে পরিণত করতে চলেছে। ভারত ভাগের সময় দ্বিজাতি তত্ত¡ই যে সঠিক ছিল, পক্ষান্তরে একজাতি তত্ত¡ যে ভুল ও প্রতারণা ছিল, তা আবারও সূর্য্যরে মত দেদীপ্যমান হয়ে উঠেছে। গত শতাব্দীর চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে হিন্দুদের দ্বারা ভারতে লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের যেভাবে গণহত্যা করেছিল, সংশোধিত নাগরিক আইন (সিএএ) বাস্তবায়নে ভারতে তার চেয়েও বড় ধরনের মুসলিম গণহত্যা সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বোদ্ধা মহল। কোটি কোটি মুসলমানকে গৃহহারা, দেশহারা ও উদ্বাস্ত করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে ইতিমধ্যে ভারতেরই নিরপেক্ষ অনেক বিশেষজ্ঞজন মন্তব্য করছেন।
ভারতের বিতর্কিত এই নাগরিক আইন দ্বারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সবচেয়ে বেশী সমস্যার সম্মুখীন হবে। আরাকান থেকে যেমন লাখ লাখ মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, এভাবে ভারত থেকেও লাখ নয় কোটি কোটি মুসলমান তখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে ঠেলে দেয়া হবে, যা মুসলিম দেশ দুটির জন্য মারাত্মক আর্থ-সামাজিক সংকট তৈরী করবে। এমন সংকট তৈরীর আগেই গোটা মুসলিমবিশ্ব থেকে এখনই ভারতকে উপযুক্ত কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক চাপসহ সব ধরনের চাপ প্রয়োগ প্রয়োজন। যাতে তারা কথিত নাগরিকত্বর নামে অনাগরিকত্বের বিল প্রত্যাহার করে নেয়। ভারত সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক এটাই আমরা কামনা করি। তা নাহলে, ভারতে এই বিলের বিরুদ্ধে যে দ্রোহ দাবানলের মত জ্বলে উঠছে, তাতে গোটা ভারত জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। রাশিয়া ভেঙ্গে যেমন অনেকগুলো দেশের অভ্যূদয় ঘটেছে, তেমনি ভারত ভেঙ্গেও একাধিক স্বাধীন দেশ জন্ম নিতে পারেব।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।