বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ এর প্রভাব এবং পূর্ণিমার ভরা জোয়ারের কারণে খুলনার উপকূলীয় এলাকার নদনদীর পানির উচ্চতা কয়েক ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু কিছু স্থানে দুর্বল বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। সামুদ্রিক ঝড়টি শক্তিশালী হওয়ার পর সোমবার রাত থেকে খুলনার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশে রয়েছে মেঘের ঘনঘটা। সময়ের সাথে সাথে ঝড় যতই স্থল ভাগের দিকে এগিয়ে আসছে, খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় সাধারণ মানুষের মাঝে ততই আতংক বেড়ে চলেছে। খুলনার সাথে বিভিন্ন স্থানের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে, কোস্টগার্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে সুন্দরবনের আশপাশের নদ-নদীসহ শিবসা, কপোতাক্ষ, রূপসা নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট বেড়েছে। উচ্চতা আরো দু থেকে তিন ফুট বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাউবো মোটামুটি এ অঞ্চলের ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পানির উচ্চতা ৭ থেকে ৮ ফুট বাড়লে ঝুঁকি রয়েছে। বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা মেরামতে ৫ হাজার জিও ব্যাগ ও সিনথেটিক ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, খুলনা ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে কিছু কিছু স্থানে বাঁধ মেরামত করা হয়েছে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে থাকা ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে খুলনায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় নদ-নদীতে জোয়ারের পানি ২ থেকে ৪ ফুট বেড়েছে। ঝড় স্থলভাগে আঘাত হানার সময় পানির উচ্চতা আরো বাড়বে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, জেলার নয়টি উপজেলায় ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উপকূলীয় কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটা উপজেলাকে। ৪ নম্বর সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হবে। এ ছাড়া ১৬টি মেডিকেল টিম, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।