বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ভোলার চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরি, ঢালচর ও চরপাতিলাসহ বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ২ হাজার মানুষ। মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ১০টা থেকে নদী ও সাগর মোহনা উত্তাল রয়েছে। এতে অতি জোয়ারে ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, নদী ও সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো ইউনিয়ন। এতে ৭/৮শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
কুকরী-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানিয়েছেন, অতি জোয়ারে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাট, মাছের ঘেরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তলিয়ে গেছে। লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান জানান লর্ডহাডিন্জ নতুন বাজার এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ীবাঁধের তারা পরিদর্শন করেন এবং চর সৈয়দাবাদ এলাকা থেকে গবাদীপশু ও মানুষ এপারে নিয়ে আসা হয়েছে। বাপাউবো ডিভিশন ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান লর্ডহাডিন্জ, ধলীগৌনগড় ও তজুমুদ্দিন এর তিনটি স্থানে পানির তোরে কিছু মাটির ক্ষতি হয়েছে। যা তাৎক্ষনিক ঠিক করে দেয়া হয়েছে। তজুমুদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হিজরা জানান তার এলাকায়ও ৪/৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে,চর রিনরিনে কিছু লোক আছে পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাদের নিয়ে আসা হবে। বোরহাউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান জানান বড় মানিকার আলিমুদ্দিন বাজার ও হাকিমুদ্দিন বাজার এলাকায় অতিরিক্ত জোয়ারের কিরনের ৪/৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তবে শংকামুক্ত। এর নদী তীর এলাকায় প্লাবিত হয়ে কিছু দক্ষিণ হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে ‘ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস ’মোকাবিলায় ভোলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন,পানি উন্নয়ন বোর্ড,স্বাস্থ্য বিভাগ,সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী নেতৃত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করা হয়। ভোলায় উপকূলের ৩ লাখ ১৮ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার সাত উপজেলার ৪০টি দ্বীপচরকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার প্রস্তুতি চলছে। ঝড় মোকাবেলায় জেলার ৭০৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৭৬ টি মেডিকেল টিম। অন্যদিকে সিপিপি'র ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ছাড়া ও রেডক্রিসেন্ট ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ৮ টি কন্ট্রোল রুম। এদিকে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাবুল আক্তার জানান ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বাপাউবো । ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' মোকাবেলা ৩২৫ কি.মি. বেড়িবাঁধের মধ্যে ৫৩ কি.মি. বাঁধের স্লোপ সিসি ব্লকের মাধ্যমে বাঁধ সংরক্ষণ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ গুলোকে মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া ইয়াসের তান্ডবের হাত থেকে রক্ষার জন্য ৩৫ হাজার জিও ব্যাগ মজুত রাখা হয়েছে।দুই ডিভিশনে দুটি টিম গঠন করা হয়েছে। তারা এরিয়া অনুযায়ী সার্বক্ষণিক কাজ করবে।
এদিকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত আবহাওয়া বেশ ভাল দেখা গেছে ও বাতাস কিছুটা বেশী ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।