Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে ৫৭৬ আশ্রয় কেন্দ্রে ১০ লাখ মানুষ সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি

তৈরী ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০২১, ৭:০৬ পিএম

কক্সবাজার উপকূলে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস” আঘাত হানার তেমন কোন আশংকা না থাকলেও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টার ও স্বেচ্ছাসেবক দল।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চতায় কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার উপকূলের ১০ লাখ মানুষকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

টেকনাফ, কুতুবদিয়াও কক্সবাজার সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়ীবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে তলীয়ে গেছে বসতি ও লবণ মাঠ।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় জেলায় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র বা সাইক্লোন শেল্টারসহ এক হাজারের মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বহুতল ভবন। পাশাপাশি সিপিপিসহ ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, বৈরী পরিবেশে সমুদ্র সৈকতও ফাঁকা, উত্তাল সৈকতে ওড়ানো হচ্ছে লাল নিশানা।

জানা গেছে, উপকূলের দিকে দ্রুত ধেয়ে আসছে ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ ইয়াস। তবে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ঘূর্ণিঝড়টির গতি পরিবর্তন হয়েছে। শুরুতে ঝড়টির উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কা থাকলেও শেষমেশ ইয়াস বাংলাদেশের উপকূল থেকে কিছুটা দূরে চলে গেছে। ফলে বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনাও কমে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ