মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনের মধ্যেই এবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে পশ্চিম তীর। শুক্রবার (১৪ মে) গাজায় ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিবাদে পশ্চিম তীরের হেব্রনে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইসরাইলি বাহিনী গুলি, স্টান গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলে ঘটনাস্থলেই হতাহত হন বহু ফিলিস্তিনি। চলে ধরপাকড়। জবাবে ইট-পাটকেল ছুড়ে এবং রাস্তায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীরা। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম তীরের বেথেলহেম এবং জেরিকো শহরেও।
বিবিসি বলছে, পশ্চিম তীরে অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যদিও আলজাজিরা বলছে, নিহতের সংখ্যা ১১। আর আহত হয়েছেন হাজারো ফিলিস্তিনি নাগরিক।
এদিকে গাজা উপত্যকায় শনিবার সকালেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজা থেকে হামাসও ইসরায়েলে রকেট হামলা অব্যহত রেখেছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব কূটনীতিকেরা সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অন্তত ১৪৩ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ শিশু ও ২১ জন নারী। এখন পর্যন্ত ৯৮০ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকেও বোমা ছোড়া হয়েছে। ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি মসজিদ বিধ্বস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, গাজা থেকে আসা রকেট হামলার কারণে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় দুটি শহরে জরুরি সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়। হামাস এ হামলায় দায় স্বীকার করেছে। ইসরায়েলে এ পর্যন্ত একজন ইসরায়েলি সৈন্য, একজন ভারতীয় ও ছয়জন বেসামরিক ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে।
এদিকে, আগামীকাল রোববার জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের তৃতীয় বৈঠককে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের ইসরায়েল ফিলিস্তিন বিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী হাদি আমর শুক্রবার তেল আবিবের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছেন। তেল আবিবের মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, শান্ত পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে চায় তারা।
গত কয়েকদিনে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েল থেকে শুরু করে গাজা সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়ে তেল আবিব মহানগরী ও বীরসাবা শহরের লোকজন জরুরি সাইরেন শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়াও রেডিও টেলিভিশনে মুহূর্তে মুহূর্তে জরুরি নির্দেশনা প্রচারিত হচ্ছে। মোবাইল ফোনেও রেড অ্যালার্ট জারি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অবৈধ দখলদারিত্বের প্রতিবাদে গত ৯ মে রাতে আল-আকসায় মসজিদে শবে কদরের (লায়লাতুল কদর) নামাজ আদায় শেষে মসজিদ চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন সেখানে উপস্থিত ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা। স্বাভাবিকভাবেই তা দমাতে তৎপর হয়ে ওঠে ইসরায়েলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যকার সংঘাতে আহত হন শতাধিক ফিলিস্তিনি। সংঘাতের পর থেকে আল-আকসা মসজিদ ও এর সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রাখে ইসরায়েলি পুলিশ।
এর জেরে ফিলিস্তিনের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস হুমকি দেয় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন সরকারকে। হামাসের পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়, ১০ মে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ চত্বর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার না করা হলে তার পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে।
ইসরায়েল এই হুমকিকে আমলে না নেওয়ায় ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। এরপর চলতে থাকে হামলা-পাল্টা হামলা। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।