মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হরমুজ প্রণালীতে ফের সংঘাতের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ও ইরানের ১৩টি নৌকা। সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন এমন দাবি করেছে। গার্ডিয়ান ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ১৩টি দ্রæত গতির নৌকা মার্কিন জাহাজের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল। পরে মার্কিন জাহাজ থেকে ত্রিশটি সতর্কতামূলক গুলি করা হয়েছে। এ ঘটনাকে অনিরাপদ ও অপেশাদার বলে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে গত মাসে পারস্য উপসাগরীয় পানিসীমায় মার্কিন ও ইরানি যুদ্ধজাহাজ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। তখন যুক্তরাষ্টের কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজকে তিন ঘণ্টা ধরে নাজেহাল করেছে ইরানি জাহাজ। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ইরানি নৌকা ইউএসএস মন্টারিসহ মার্কিন সামরিক জাহাজের ১৫০ গজের কাছাকাছি চলে আসায় সতর্কতামূলক গুলি করা হয়েছে। জর্জিয়ার গাইডেড-মিসাইল সাবমেরিনকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল মার্কিন জাহাজ। শ‚ন্য দশমিক ৫০ ক্যালিবারের মেশিন গান দিয়ে সতর্কতামূলক গুলি করে মার্কিন কোস্ট গার্ড কাটার মাউই। এরপর ইরানি নৌযানগুলো চলে যায়। মার্কিন নৌবাহিনী জানায়, ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিলের পর এটিই দ্বিতীয় ‘অনিরাপদ ও অপেশাদার’ ঘটনা। ২০১৮ সাল ও ২০১৯ সালের প্রায় পুরোটা সময় এরকম অঘটন বন্ধ রেখেছিল ইরান। ২০১৭ সালে ১৪টি, ২০১৬ সালে ৩৫টি এবং ২০১৫ সালে ২৩টি ঘটনা ছিল এ রকম। এই ঘটনা এমন একটা সময়ে ঘটলো যখন পরমাণু চুক্তি নিয়ে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলছে। ভিয়েনায় চার দফা আলোচনা হয়েছে। দিন কয়েক আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তারা আশা করছেন, ইরান এবারে একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবে। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, ইরানের নৌযানগুলি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের ১৩৭ মিটার বা সাড়ে চারশ ফিটের মধ্যে এসে গিয়েছিল। তখন শ‚ন্য দশমিক ৫০ বোরের মেশিনগান থেকে গুলি চালায় মার্কিন কোস্ট গার্ড। তিনি বলেন, ইরানের নৌযানগুলো যখন ২৪৭ মিটার দ‚রে ছিল তখন প্রথমবার গুলি চালানো হয়। তারপর তারা যখন ১৩৭ মিটার দ‚রে, তখন আবার গুলি চালায় কোস্ট গার্ড। তারপর ইরানের নৌযানগুলো ফিরে যায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও গাইডেড মিসাইল সাবমেরিনও ছিল। কিরবি’র দাবি, এটা গুরুতর বিষয়। ওদের (ইরান) মনোভাব ছিল আক্রমণাত্মক। ওই এলাকায় জলযানের সংখ্যা অনেক বাড়িয়েছে ইরানের নৌ-বাহিনী। আর এটা নতুন ঘটনা নয়। কয়েক সপ্তাহ আগেও হয়েছে। গার্ডিয়ান, রয়টার্স, ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।