মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে পুরোপুরি বিধ্বস্ত ভারত। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এমন বিপর্যস্ত অবস্থায় সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির নজির গড়লেন বিহারের প্রদেশের একদল মুসলিম যুবক। করোনায় মারা গেছেন মনে করে এক নারীর লাশ ছুঁতে চায়নি তার পরিবারের সদস্যরা। শেষপর্যন্ত ওই মুসলিম যুবকরাই রীতি মেনে ওই হিন্দু নারীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে ঘটনাটি। ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, বিহারের গয়া জেলার ইমামগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের তেতারিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। স¤প্রতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রভাবতী দেবী নামে ৫৮ বছরের ওই নারী। তাকে তড়িঘড়ি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আরটি-পিসিআর টেস্টও করা হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও পরবর্তীতে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় ওই নারীর। করোনাতেই মারা যান তিনি-এই ভয়ে ওই নারীর স্বামী এবং দুই ছেলে লাশ নিতে রাজি হননি। ফলে দীর্ঘক্ষণ গাড়িতেই পড়েছিল লাশটি। শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে ওই নারীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসেন মো. রফিক, মো. শারিক, মো. কালামি, মো. বারিক, মো. লাদ্দানসহ এলাকারই বেশ কয়েকজন মুসলিম যুবক। শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে সহযোগিতাকারী শারিক বলেন, করোনার কারণেই প্রভাবতী দেবীর মৃত্যু হয়েছে- এ আশঙ্কায় এবং ভয়ে তার স্বামী বা দুই ছেলে কেউই লাশ নিতে রাজি হননি। ফলে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গাড়িতেই পড়েছিল তার লাশ। শেষপর্যন্ত আমরা খবর পেয়ে সকালে সেখানে যাই। আমরা কয়েকজন গাড়ি থেকে লাশটি নামাই। এরপর বাঁশ দিয়ে খাট তৈরি করে শবদেহটি নিয়ে শ্মশানের উদ্দেশে রওনা হই। এমন স¤প্রীতির উদাহরণ সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনেকেই ওই মুসলিম যুবকদের কাজের প্রশংসা করেছেন। সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।