Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের ভ্যাকসিন ডিপ্লোম্যাসির ফাঁদ বাংলাদেশের জন্য অশনি সংকেত

জামালউদ্দিন বারী | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এজেন্ডা হচ্ছে করোনা মহামারী মোকাবেলা করে মানুষের জীবন ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কোভিড পেন্ডেমিকের শুরুতেই ্এ নিয়ে যেসব জল্পনা-কল্পনা ও ভবিষ্যদ্বাণী হয়েছিল, এক বছর পেরিয়ে এসে তার প্রথম পর্বের মূল্যায়ণ অনেকটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে সব আশঙ্কার বিষয়গুলোকে পাশ কাটিয়ে এক বছরের মাথায় করোনা ভ্যাকসিন উদ্ভাবন, পরীক্ষণ ও সার্বজনীন প্রয়োগের জন্য বাণিজ্যিক উৎপাদন ও দেশে দেশে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরুর আয়োজন এ ক্ষেত্রে অনেক বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পেন্ডেমিকের প্রলম্বিত লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতি ও জনজীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে যেসব শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল, তার মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনেশনকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। করোনার চিকিৎসায় তেমন কোনো অগ্রগতির সাফল্য অর্জিত না হওয়ায় এখনো করোনা ভ্যাকসিনেশনই হচ্ছে একমাত্র ভরসা। যদিও করনো ভ্যাকসিনেশনের সাফল্য সম্পর্কে শেষ কথা বলার সময় এখনো আসেনি। তথাপি এটা বলা যায়, বিভিন্ন দেশে গত ডিসেম্বর-জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের ইতিবাচক ফলাফল দেখা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেনসহ ইউরোপের যেসব দেশে মহামারীতে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছিল, সেসব দেশ করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে যত সম্ভব দ্রæত সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপে ইতিবাচক ফলাফল পাচ্ছে বলেই ধরে নেয়া যায়। তবে করোনাভাইরাসের আগের চেয়ে শক্তিশালী নতুন নতুন স্ট্রেইন ও ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে দুশ্চিন্তার রেখা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে ছাপ ফেলেছে। ইতিমধ্যে উদ্ভাবিত ও উৎপাদিত ভ্যাকসিন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপর কতটা কাজ করবে তার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। ভ্যাকসিন নেয়ার পরও করোনা সংক্রমিত হওয়া ও মৃত্যুর অনেক ঘটনা ইতিমধ্যে ঘটলেও প্রয়োগকৃত করোনা ভ্যাকসিনের ইমিউনিটি এফিশিয়েন্সি ক্ষয়ক্ষতি কমাতে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে।

করোনার প্রথম ঢেউ দেশে দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল। লন্ডন, রোম, নিউইয়র্কের মত অতি উন্নত শহরগুলোতে হাজার হাজার রোগী নিয়ে হাসপাতালে বিশৃঙ্খল-বিপর্যস্ত অবস্থা সামলে উঠতে খুব বেশি সময় লাগেনি। হাজার হাজার রোগীর জন্য হাসপাতালের আইইসিইউ, ভেন্টিলেটর সংকট মোকাবেলা সহজ কথা নয়। সে অনুপাতে বাংলাদেশে বা ভারতে করোনা সংক্রমণ ঘটলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতো তা ভাবলেও শিউরে উঠতে হয়। প্রতিদিন দু-তিনশ নতুন সংক্রমিত রোগীর মধ্যে বিশ-পঞ্চাশজনের অক্সিজেন ও আইসিইউ সাপোর্ট নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। একটি বৈশ্বিক মহামারির সময় দেশের হাতে গোণা কিছু সরকারি হাসপাতাল ছাড়া বাকি সব হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ হয়ে পড়ার বাস্তবতা মানুষকে চরম অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল। যেখানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা যত বেশি সম্ভব করোনা টেস্টের পাশাপাশি সংক্রমিত রোগিদের আইসোলেশন ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছে, সেখানে আমাদের দেশে করোনা টেস্ট সীমিত রাখতেই স্বাস্থ্য অধিদফতরকে বেশি তৎপর দেখা গেছে। করোনা টেস্ট, চিকিৎসা ব্যবস্থার সমন্বিত উন্নয়ন, করোনা ভ্যাকসিন তৈরীতে নিজস্ব সক্ষমতা কাজে লাগানোসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই এক ধরণের নির্লিপ্ততা ও দায়সারা ভূমিকা দেখা গেছে। বেসরকারি উদ্যোগ হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বল্পখরচে, স্বল্প সময়ে বিপুল পরিমান করোনা টেস্ট কিট তৈরীর উদ্যোগ সরকারের অসহযোগিতা ও প্রতিবন্ধকতায় রুদ্ধ হয়ে যেতে দেখা গেছে। দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী গেøাব বায়োটেক খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই করোনা ভ্যাকসিনের তিনটি ফমূর্লা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় তালিকাভুক্ত হয়েছিল। গত বছর অক্টোবরে কোম্পানীর পক্ষ থেকে আশা করা হয়েছিল ৬ মাসের মধ্যেই তাদের ভ্যাকসিনটি বাজারে আসতে পারে। এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় থাকলেও প্রয়োজনীয় সরকারি সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল ও উৎপাদন ইতিমধ্যে হয়তো আরো অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারতো। করোনা টেস্ট এবং ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে একটি রহস্যজনক শৈথিল্য, অতপ:র ভারত নির্ভরতা আমাদের জন্য আরেকটি বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিপর্যয় মোকাবেলায় ত্বরিৎ কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হলে গত এক দশকে সরকারের সব অর্থনৈতিক অর্জন ম্লান হয়ে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হতে পারে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে দেশের জন্য বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সতেরো কোটি মানুষের দেশে এখনো করোনা টেস্ট দিনে ২০-২৫ হাজারে সীমিত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিদিন ৫ হাজারের অধিক নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ছে এবং সংক্রমিতদের মধ্যে কয়েকশ’ হাসপাতালে ভর্তি এবং অক্সিজেন ও আইসিইউ সার্পোটের প্রয়োজন হচ্ছে। প্রতিবেশি ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তান্ডব যেভাবে বেড়ে চলেছে, সেখানকার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আগের যেকোনো ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি প্রাণঘাতী বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভারতে প্রতিদিন তিন লাখের বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যাও প্রায় তিন হাজার। এটি সরকারি হিসাব, অনেক ভারতীয় প্রকৃত সংখ্যা লুকানো হচ্ছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাদের মতে, ভারতে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরী এস্ট্রাজেনার ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতীয় শাসকদের রাজনীতি, কূটনীতি ও বাণিজ্যিক স্বার্থের মারপ্যাঁচে পড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে পারছে না ভারত। বাংলাদেশের সাথে সেরাম ইনিস্টিউটের চুক্তির আগে বাংলাদেশকে চীনের টিকা প্রাপ্তির সুযোগ থেকে নিবৃত্ত করা হয়েছিল। এখন নিজেদের সংকটের কথা বলে অগ্রিম টাকা নিয়েও বাংলাদেশকে টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে না। শতকোটি মানুষের দেশ ভারত নিজেদের চাহিদ্ ামিটিয়ে বাংলাদেশকে টিকা দেয়ার কথা ভেবে থাকলে তা হবে বাংলাদেশের জন্য বড় প্রবঞ্চনা। অন্যদিকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়লে তা আমাদের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। ভারতের সাথে সীমান্ত কঠোরভাবে বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে এক ধরণের শৈথিল্য প্রর্দশনের পর অবশেষে ১৪ দিনের জন্য ভারত সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এরই মধ্যে দেশের কয়েকটি এলাকা থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার লোক ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে ভারতে গিয়েছে বলে জানা যায়। এরা যেন করোনার প্রাণঘাতী সংক্রমণের বাহক হয়ে দেশে মহামারীর বিপর্যয় বাড়িয়ে তুলতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা জরুরী হয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের মারাত্মক বেঙ্গল স্ট্রেইন রুখতে ভারত সীমান্ত পুরোপুরি লকডাউন করে দেয়ার কোনো বিকল্প নেই।

‘বিপদে বন্ধুর পরিচয়’ এটি অতি সাধারণ একটি বাগধারা। করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বড় ধরনের প্রভাবক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের সাথে তথাকথিত বন্ধুত্ব ও সম্পর্কের উপর আস্থা রাখতে গিয়ে বড় ধরণের প্রতারণা ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশ। ভারতীয় পণ্যের সবচে বড় বাজার এবং দেশটির রেমিটেন্স আয়ের সবচে বড় উৎস হিসেবে বাংলাদেশকে বার বার অস্বাভাবিক ও অযাচিত মূল্য দিতে হচ্ছে। বিশেষ সময়ে বাংলাদেশে চাল বা পেঁয়াজ রফতানী বন্ধ করা, পাটের উপর অতি উচ্চহারে এন্টি-ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপ করা, রাজনৈতিক কারণে গরু রফতানি বন্ধ করার মত পদক্ষেপগুলো থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের অবস্থান আমাদেরকে আরো স্পষ্ট ধারণা দেয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় ভ্যাকসিনই হচ্ছে একমাত্র কার্যকর পন্থা। এ কারণেই করোনাকালীণ সংকট উত্তরণে দ্রæততম সময়ে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সফল করার দিকেই মনোযোগ বিশ্ব নেতাদের। একেকটি দেশ যখন সম্ভাব্য প্রায় উৎস থেকে করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত তখন বাংলাদেশের সামনে ছিল অবারিত সুযোগ। একদিকে চীনের সিনোভেক অগ্রাধিকার ভিত্তিক তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছিল, অন্যদিকে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদক ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরী করা এস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতীয়দের ভ্যাকসিন ডিপ্লোম্যাসির টার্গেটও হয়েছিল বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে দুইদিক থেকেই সুবিধা আদায়ের সুযোগ থাকলেও সরকারের সংশ্লিষ্টদের অদূরদর্শিতা অথবা কোনো কায়েমি স্বার্থের কারণে অন্যসব বিকল্প পথ রুদ্ধ করে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তি করে তিন কোটি ডোজ টিকার মূল্য আগাম পরিশোধ করে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকে। চুক্তি অনুসারে, প্রায় ৬০০ কোটি টাকা সেরাম ইনস্টিটিউটের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়ার পরের দিনই ভারত সরকার বিদেশে টিকা রফতানির ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পর বাংলাদেশে ব্যাপক সমালোচনা ও বিক্ষোভ দেখা দিলে চুক্তি অনুসারে যথাসময়ে টিকা সরবরাহের বিষয়ে আশ্বাস দিলেও তারা কথা রাখেনি। সীমান্ত হত্যা, তিস্তার পানিচুক্তি নিয়েও বিভিন্ন সময়ে ভারত সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস বা প্রতিশ্রæতি দেয়া হলেও তা রক্ষা করার সদিচ্ছার প্রতিফলন কখনো দেখা যায়নি। বৈশ্বিক মহামারীর সময় টিকা বিক্রির চুক্তি করে অগ্রিম টাকা নিয়ে সময়মত টিকা সরবরাহ না করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বের দাবি অনেক পরের কথা, বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ভারত।

করোনা সেকেন্ড ওয়েভ প্রথম ওয়েভ থেকে অনেক বেশি সংক্রামক ও প্রাণঘাতী হতে পারে, এমনটা কেউ ভাবেনি। সারাদেশে লকডাউনের মধ্যে গত ১০দিনে এক হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে। লকডাউন তুলে নেয়ার পর সংক্রমণ বেড়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের অনেক বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জাতীয়ভাবে করোনা ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরুর তিন মাসের বেশি অতিক্রান্ত হলেও এখনো তিন ভাগ মানুষও টিকা পায়নি। সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ১৩ লক্ষাধিক মানুষের দ্বিতীয় ডোজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ দেশের টিকা কার্যক্রম চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। এমন একটি বৈশ্বিক মহামারীতে টিকা নিয়ে এমন ব্যর্থতা নিয়ে খোদ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যেই বেøইম গেম দেখা যাচ্ছে। বেক্সিমকোর অর্থনৈতিক স্বার্থে করোনার টিকার বিকল্প উৎস খোলা রাখা হয়নি বলে বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। ভারতের ছলচাতুরিতে প্রতারিত হয়ে দেশের টিকা কার্যক্রমে বিপর্যয় সৃষ্টির পর এখন চীন ও রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে সরকার। অথচ ফেব্রæয়ারীতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই করোনা টিকার বিকল্প উৎস সন্ধানের কথা বলা হয়েছিল। সেরামের টিকা যথাসময়ে পাওয়া গেলেও দেশের সব মানুষকে যথাশীঘ্র টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হলে আরো অন্তত ২০ কোটি ডোজ টিকার মজুদ নিশ্চিত করতে হবে। ইতিমধ্যে দেশেই রাশিয়ান টিকা উৎপাদনে একটি সমঝোতা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। দেশে বেসরকারী দুইটি প্রতিষ্ঠানের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানা গেছে। রাশিয়ান ফর্মুলায় টিকা উৎপাদনের সক্ষমতাকে কাজে লাগানোর ত্বরিৎ কার্যক্রম এখনি শুরু হবে নাকি কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দিতে সময় ক্ষেপণ করা হবে তাই এখন দেখার বিষয়। করোনা মোকাবেলায় ভ্যাকসিন যুদ্ধ বাংলাদেশ যথাসময়ে শুরু করলেও এরই মধ্যে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। আর বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারি দেশ হয়েও ভারত এই লড়াইয়ে হেরে গেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে দিল্লী-মুম্বাইয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের লাশের মিছিল চলছে। হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না, অক্সিজেনের অভাবে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ দিতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে। করোনার এই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে চলে আসার আশঙ্কায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে যখন দেশে দ্রæততম সময়ে টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রাখার কথা, বাংলাদেশে তখন টিকা কার্যক্রম থমকে দাঁড়িয়েছে। ভারতের ভ্যাকসিন কূটনীতি ও চুক্তির উপর আস্থা রেখে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে বিশ্বের সবদেশেই স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সংকট দেখা দেয়। কিন্তু সামলে নিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার যথাযথ কার্যক্রমের অসংখ্য উদাহরণ আছে। এই করোনাকালীন বিশ্ববাস্তবতায়ও আমাদের অর্থনীতির চাকা, রেমিটেন্স প্রবাহ থেমে থাকেনি। করোনা লকডাউনে দেশে-বিদেশে প্রায় সব অর্থনৈতিক কার্যক্রম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও যখন সঙ্কুচিত ও নিয়ন্ত্রিত, তখনো বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়নি। অবকাঠামো উন্নয়নের মেগা প্রকল্পের কাজও বন্ধ হয়নি। করোনাকালীন বাস্তবতার আলোকে দেশের হাসপাতাল পরিষেবা, স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য গবেষণা, টিকা সংগ্রহ ও টিকাদান কার্যক্রম, প্রণোদনা, দরিদ্র-কর্মহীন মানুষের জন্য ত্রান ও বিশেষ সহায়তাসহ সামগ্রিক ব্যবস্থায় যে ধরণের কর্মসূচি ও উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণের কথা ছিল বাংলাদেশে তা দেখা যায়নি। গত এক বছরে দেশের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেডের সংখ্যা দ্বিগুণ করা যেত, অক্সিজেনের অভাবে অনেক রোগী মারা যাওয়ার বাস্তবতায় অক্সিজেন উৎপাদন ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের মজুদ ব্যাপক হারে বাড়ানোর উদ্যোগের পাশপাশি সারাদেশে সব হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিসহ জরুরী সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার কোনো প্রত্যাশাই পুরণ হয়নি। আমরা যখন নিজেদেরকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে দাবি করছি, তখন দেখা যাচ্ছে, করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমে, প্রতিবেশী নেপাল-ভূটান-মালদ্বীপ-পাকিস্তান আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। অব্যবস্থাপনা ও অবিমৃষ্যকারি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ভারতের পেন্ডেমিক এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণের যুদ্ধে ওরা হেরে গেছে। আমরা এভাবে হেরে যেতে চাই না। এখনো আমাদের অবস্থা ভারতের চেয়ে অনেক ভাল আছে। এই অবস্থা যাতে খারাপের দিকে না যায়, সে বিষয়ে সর্বাত্মক প্রয়াস ও জরুরী বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। করোনা নিয়ে ওষুধ কোম্পানি ও হাসপাতালগুলোর কর্পোরেট মুনাফাবাজি বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বিকল্প উৎস থেকে জরুরী ভিত্তিতে টিকা সংগ্রহ করে সার্বজনীন টিকা কার্যক্রমকে আরো সহজলভ্য ও জনগণের আস্থাশীল ও অংশগ্রহণমূলক করে তোলার বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ দরকার। ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি বন্ধ এবং দেশিয় কোম্পানীগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় সামনের দিনগুলোতে অক্সিজেন সংকটের যে আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে, তা দূর করে অক্সিজেন উৎপাদন দ্বিগুন করার জরুরী পদক্ষেপ নিতে হবে। করোনা মহামারীর এই মহাসংকটের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের সম্পদ এবং কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক সক্ষমতা কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।
[email protected]



 

Show all comments
  • Omar Faruk ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:১৯ এএম says : 0
    আগে বিভিন্ন দেশের সাথে টিকা চুক্তি করতে না পারা বাংলাদেশের তথা সরকারের ব্যর্থতা বা ভারতের বিজয়
    Total Reply(0) Reply
  • রকিবুল ইসলাম ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:২০ এএম says : 0
    ভারতের টিকা থেকে রাশিয়ার টিকা হাজার গুণ ভালো হবে । এই টিকা নেওয়া যেতে পারে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah Al Mamun ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:২৪ এএম says : 0
    বেক্সিমকো যে সেরাম কে দেড় কোটি ডোজের টিকার অগ্রিম টাকা দিয়ে দিছে সেটার কি হবে ?
    Total Reply(0) Reply
  • Miah Rahman ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:২৫ এএম says : 0
    ভারত কে অবশ্যই ক্ষতি পূরণ দিতে হবে. সময় মতো টিকা সরবরাহ করতে না পারায়
    Total Reply(0) Reply
  • পারভেজ ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:২৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশ যে কেন বারবার ভারতের পাতা ফাঁদে পা দেয় সেটাই আমার বুঝে আসেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • ফজলুল হক ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:২৭ এএম says : 0
    প্রতিবেশী দেশ হিসেবে সম্পর্ক রাখতে হবে। কিন্তু বারবার ভারতের ফাঁদে পড়ে দেশের ক্ষতি করার কোন মানে হয় না
    Total Reply(0) Reply
  • আমিনুল ইসলাম ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:২৮ এএম says : 0
    আল্লাহ আমাদের দেশের কর্তাব্যক্তিদেরকে সর্বআগে দেশের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করার তৌফিক দান করুক
    Total Reply(0) Reply
  • জান্নাতুল নাঈম মনি ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:২৯ এএম says : 0
    আমরা যে কবে বুঝতে পারব যে, বর্তমান সময়ে আমাদের প্রকৃত বন্ধু ভারত নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • নাজিম উদ্দিন ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:৩১ এএম says : 0
    ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি বন্ধ এবং দেশিয় কোম্পানীগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় সামনের দিনগুলোতে অক্সিজেন সংকটের যে আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে, তা দূর করে অক্সিজেন উৎপাদন দ্বিগুন করার জরুরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মোজাম্মেল হক ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:৩২ এএম says : 0
    কোন জরুরী প্রয়োজনীয় বিষয়ে আমাদের ভারতের উপর নির্ভরশীল হওয়া চলবে না। কারণে ইতিমধ্যেই আমরা ভারতের আসল চরিত্র দেখতে পেয়েছি। তাই আমাদেরকে সাবধানে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • নাঈম ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:৩৪ এএম says : 0
    ভারতকে চিনতে আমাদেরকে আর কত খেসারত দিতে হবে?
    Total Reply(0) Reply
  • Waliul Alam ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:৩৫ এএম says : 0
    অভিনন্দন। ভারতের চিপা থেকে বের হয়ে আসাটা জরুরী
    Total Reply(0) Reply
  • Wahidur Rahman Wahid ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ২:৪৮ এএম says : 0
    এখন থেকে সরকারের অক্সিজেন প্লান্ট সহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ নাহলে ভারতের মত বাংলাদেশের অবস্থা হলে কঠিন ভাবে পস্তাতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মারিয়া ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৮:৩৭ এএম says : 0
    ভারতের টিকা সরবরাহ এবং অক্সিজেন রফতানি বন্ধের কারণে বাংলাদেশেও যে বড় ধরণের বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে, এ দিকটি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। ভারতের পাশে যেমন পশ্চিমা দেশগুলো দাঁড়াচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশের পাশেও দেশগুলোর দাঁড়ানো উচিৎ।
    Total Reply(0) Reply
  • ইলিয়াস ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৮:৩৯ এএম says : 0
    বাংলাদেশে এখনো অক্সিজেনের সংকট দেখা দেয়নি। তবে সংক্রমণের মাত্রা আরো বেড়ে গেলে এবং ভারত থেকে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ থাকলে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah Al Mamun ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩০ পিএম says : 0
    ওনাদের মত বন্ধু যাদের আছে তাদের আর শত্রুর দরকার নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Raysa Islam ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩৩ পিএম says : 0
    বাংলাদেশে একটি শক্ত ওষুধ উৎপাদন কাঠামো আছে যা বিশ্বের অনেক দেশেই নেই। আমাদের উচিত হবে টিকা নিজ দেশে উৎপাদনে যাওয়ার জন্য জড়িত সংস্থাগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করা।
    Total Reply(0) Reply
  • ফারুক ভূঁঞা ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩৪ পিএম says : 0
    চীনের সাথেত দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত ট্রায়াল করেছিলো, হঠাৎ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এসে গোপন বৈঠক করার পরেই সেইটার ট্রায়াল স্থগিত করে দিলো কেন? যারা চীনের ভ্যাক্সিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছে তারাত নভেম্বর মাসেই ভ্যাক্সিন হাতে পেয়েছিলো। তখন কি বুঝেনী এইভাবে ধোকা খাইবে?? দুইটাই তখন হাতে রাখলে অসুবিধা কি ছিলো?
    Total Reply(0) Reply
  • Tanu Joarder ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩৪ পিএম says : 0
    ভারত শুধুমাত্র আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেওয়া সার্বিক প্রতিশ্রুতী রক্ষা করেছিল পাকিস্তাকে ভাঙ্গার জন্য তারপর থেকে আজ পর্যন্ত আর কোনো প্রতিশ্রুতী বা চুক্তি তারা রক্ষা করেনি
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Kader Tangail ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩৫ পিএম says : 0
    ভারত বাংলাদেশ কে টিকা দিবে না ঠিকই, কিন্তু আবার কখন দিবে জানেন, যখন অন্য দেশের টিকা দেওয়ার চুক্তিপত্র করতে যাবে তখন। যা আগে করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Roknuzzaman Rokon ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩৬ পিএম says : 0
    প্রথমে আদর করে কাছে ডাকে কলা খাওয়ার অভ্যাস ধরালা, যখন আমি আর কলা ছাড়া থাকতেই পারি না, তখন বলতিছো আর তো কলা নাই, কিছু দিন পর বলবা কলা আছে, কিন্তু দাম পরবে 50 টাকা পিছ, নিলে আসো !!!
    Total Reply(0) Reply
  • Uzzal Kanti Datta ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩৬ পিএম says : 0
    প্রভাবশালীদের প্রভাব বিস্তার করাই স্বভাব। ভ্যাক্সিন মানুষের উপকারের চেয়ে অর্থ উপার্জনেই বেশি মনোযোগী ভ্যাক্সিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। পুঁজিবাদীদের কাছে মানবতার চেয়ে অর্থ উপার্জন বেশি প্রিয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Akhtar Hussain ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩৬ পিএম says : 0
    বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে ভারতের অপেক্ষা না করে রাশিয়া চীন থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসা এবং কি আমেরিকা থেকে ও চেষ্টা করা উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • নাজনীন জাহান ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩৭ পিএম says : 0
    Dear Government Authority, please should act accordingly as soon as possible, please collect COVID-19 Vaccine, or produce Vaccine quickly.
    Total Reply(0) Reply
  • কুদ্দুস তালুকদার ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩৮ পিএম says : 0
    Great Writings. Thoughtful suggestions. Govt should act accordingly
    Total Reply(0) Reply
  • MD Nazim ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩৯ পিএম says : 0
    ভারতের এ বিশ্বাসভঙ্গ কি আজ নতুন?? গত বছর পেয়াজের ক্ষেত্রে,তারপর ফারাক্কা বাধ পরিক্ষার নামে এতবছর ধরে বাংলাদেশ কে মরুকরণ করার ক্ষেত্রে,আন্তর্জাতিক নদীর পানি বন্টনের ক্ষেত্রে,দুদেশের সীমান্ত হত্যার ক্ষেত্রে। এরকম বিশ্বাসঘাতকতার উদাহরণ অনেক আছে। ভারত, বাংলাদেশের বন্ধু ছিল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্তই। এর পরে প্রতিবেশী শত্রুর মতো আচরন করেই যাচ্ছে। অথচ কিছু ..রা তাদের কথা দৈববাণীর মতো বিশ্বাস করে দেশের প্রতিনিয়ত ক্ষতি করে যাচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • Rokibul Hasan Roney ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৪০ পিএম says : 0
    ভারত আমাদের বন্ধু, কারণ তারা উত্তপ্ত পেয়াজের বাজারের জ্বালানি হিসেবে পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে সিমান্তে প্রায় প্রতিদিন লাশ উপহার দেয়। তারপর আবার টিকার টাকা দেয়ার পর টিকা আটকে দিয়েছে। এইগুলো কি প্রমান করে না ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র!!
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Nur ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৪১ পিএম says : 0
    এটাতো সামান্য ব্যাপার মাত্র নতুন চুক্তি এর আগে কত বিষয় নিয়ে চুক্তি হয়েছে সব শক্তির মাধ্যমে নিয়ে গেছে আমাদের কি দিয়েছে বাংলাদেশে কি কি দিয়েছে আর ভারতে কি কি নিয়ে গেছে এই সংবাদ তুলে ধরলে কি হয়
    Total Reply(0) Reply
  • Shoibal Sami Mustafa ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৪২ পিএম says : 0
    Our government would learn from this. At some point you would get fade up of eating same item everyday. As a nation we have been seeing this same foreign policy for decades. This is the problem when you dont see any change.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন