বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীতে এখন থেকে আর কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আড়তে আড়তে গিয়ে এ কথা জানিয়ে এসেছেন।
রাজশাহীতে এবার প্রথম থেকেই তরমুজের দাম চড়া। বুধবার থেকে খুচরা কিংবা পাইকারী বাজারে কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। নগরীর তরমুজের আড়তগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, এখানে পাইকারীতে দুই হাজার টাকা মণ দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা তা কিনে নিয়ে গিয়ে বাজারে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করছেন।
বাজারে এবার তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এই গরমে মন চাইলেও অনেকে তরমুজ ছুঁয়ে দেখতে পারছেন না। সাধারণ ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চাহিদা থাকায় সিন্ডিকেট করে তরমুজের দাম বৃদ্ধি করে দেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বাজারে নামেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার ও কৌশিক আহমেদ। তাঁদের সঙ্গে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনও ছিলেন।
১২টার দিকে তাঁরা নগরীর শালবাগানে তরমুজের আড়তগুলোতে যান। কর্মকর্তারা দুটি আড়তে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। মামা-ভাগ্নে ফল ভান্ডারে গিয়ে দুই ম্যাজিস্ট্রেট সব আড়ত মালিকদের ডাকেন। তারপর জানিয়ে দেন, তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই। তাই বুধবার থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না। পিস হিসেবে বিক্রি করতে হবে। তাহলে ক্রেতারা দাম করার সুযোগ পাবেন। দামও তাহলে কমে আসবে।
এরপর জেলা প্রশাসনের দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর শিরোইল ও ভদ্রা এলাকার কয়েকটি আড়তে গিয়ে একই ঘোষণা দিয়ে আসেন। এ দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বুধবার থেকে যদি খুচরা কিংবা পাইকারী বাজারে কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই এখন থেকে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।