Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধারণার চেয়ে এগিয়েছে আফ্রিকার শিল্পায়ন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

যতটা ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে আফ্রিকার শিল্পায়ন। অনেকেই এ নিয়ে বেশ আশাবাদী। ইউরোপে ১৮ বছর কাজ ও পড়াশোনা করার পর দেশে ফেরেন ইব্রাহিম সর। দেশের জন্যই তার ফিরে আসা। তিনি নিজের দেশের শিল্পায়ন-প্রক্রিয়ায় সাহায্য করছেন। সেনেগালে তিনি যে কারখানাগুলো চালাচ্ছেন তার দিকে ইঙ্গিত করে ইব্রাহিম সর বলেন ‘ভবিষ্যত এখানে’। তিনি আফ্রিকা ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নামের একটি মালিয়ান বাণিজ্য-সংস্থার সাথে আছেন যারা এখানে বৈদ্যুতিক বাইক ও পাইপ তৈরির অনেকগুলো কারখানা পরিচালনা করছে। শিগগিরই তারা পোশাক তৈরির কারখানাও প্রতিষ্ঠা করবেন। আফ্রিকার শিল্পায়ন নিয়ে ইব্রাহিম একাই আশাবাদী নন। সেনেগাল তার উচ্চাভিলাষী শিল্পায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণ করেছে। আফ্রিকার অন্য দেশ ঘানা ফক্সওয়াগন ও নিশানের মতো শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোকে তাদের দেশে কারখানা স্থাপন করার আহবান জানাচ্ছে। ঘানায় কারখানা স্থাপন করলে গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোকে ১০ বছরের জন্য কর অব্যাহতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঘানা সরকার। আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়াও এ ক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। শুধু তাই নয়, আফ্রিকায় এখন জন্ম হচ্ছে ইউসুফ বিলেসনমির মতো আবিস্কারকদের; যিনি কিছুদিন আগে খুবই কম খরচে নির্মান করা যায় এমন একটি ভেন্টিলেটর আবিষ্কার করেছেন। ভেন্টিলেটরটি বিদ্যুতবিহীন হাসপাতালেও ব্যবহার করা যাবে। কোভিড -১৯ রোগীদের চিকিৎসায় এটিকে কাজে লাগানো যাবে। তার এই আবিস্কারটি রয়্যাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আফ্রিকা পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে। মহামারির কারণে যখন আফ্রিকায় চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল, তখন আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় তিনি এটি উৎপাদন করতে চান। আফ্রিকানদের এরকম নিজস্ব আবিস্কারগুলো উৎপাদনে গেলে সেখানেও প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হবে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড্যানি রড্রিক ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধে দাবি করেছিলেন, সাব-সাহারান আফ্রিকার কারখানাগুলোতে কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে। মোট দেশজ উৎপাদনে কারখানাগুলোর অংশীদারিত্বের হারও কমে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো এর বিপরীত চিত্রই প্রকাশ করছে। গ্রোনিঞ্জেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যাগেন ক্রুস ও অন্যদের একটি সা¤প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, সাব-সাহারান আফ্রিকায় শিল্প কারখানাগুলোতে এখন কাজ করছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ, ২০১০ সালে কাজ করতো ৭ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফ্রিকা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ