বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহতের ৫ দিন পর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবির ইসলাম খান মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকের কলেজ (শজিমেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
শজিমেকের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, গত ১১ মার্চ রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকবিরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার শরীরে একাধিক গভীর জখমের চিহ্ন ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও বুকে আঘাতের কারণে ভর্তির পর থেকে তার অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। অবস্থার মারাত্মক অবনতি হলে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
ছাত্রলীগের একাধিক সুত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ছাত্রলীগের একটি সমাবেশে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাতে দু’গ্রæপে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে দুই গ্রæপের অন্তত ৫ জন আহত হন। আহতদের সবাইকে চিকিৎসার জন্য শজিমেকে ভর্তি করানো হয়। তবে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির ইসলাম খানের অবস্থা সবেচেয়ে গুরুতর ছিল। ঘটনার ৩ দিন পর গত শনিবার দুই গ্রæপের পক্ষ থেকে বগুড়া সদর থানায় পাল্টাপাল্টি পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খানের মা আফরোজা ইসলাম বাদী হয়ে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
অপরদিকে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হাসান বাদী হয়ে তাকবীর ইসলাম খানসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাত জনের মামলা করেন। তাকবীর ইসলাম খানের মা আফরোজা ইসলাম করা মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন জাহিদ হাসান, আনোয়ার হোসেন, মো. তারেক, বিধান চন্দ্র মোহন্ত, নিশাদ ও আরমান।
অপরদিকে, আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য সোহাগ হাসানের দায়ের করা মামলায় নাম উল্লেখিত অন্য আসামিরা হলেন তোফায়েল আহমেদ, হাসিবুল হাসান শান্ত, আব্দুল্লাহ ঈমন, জয় কুমার দাস, শাহাদত জামান সঞ্জয়, সামিউল পরান সজল, সিজান রহমান, ফেরদৌস আলম সাফি, মাহবুবুল সাফিন, হাবিবুর রহমান ও মেহেদী হাসান। এ ঘটনায় সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, তাকদিরের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতকারীকে গ্রেফতারে অভিযানও চলছে।