Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতা তাকবির খানের মৃত্যু

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০২১, ৬:০১ পিএম

বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার ৫ দিন পর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবির ইসলাম খান বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকের কলেজ ( শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তিনি হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ( আইসিইউ) মারা যান বলে জানান করেছেন শজিমেকের উপ পরিচালক ডাঃ আব্দুল ওয়াদুদ।

ডাঃ ওয়াদুদ জানান, গত ১১ মার্চ রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকবিরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার শরীরে একাধিক গভীর জখমের চিহ্ন ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও বুকে আঘাতের কারণে ভর্তির পর থেকে তার অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। অবস্থার মারাত্মক অবনতি হলে সোমবার সন্ধ্যায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
ছাত্রলীগের এশাধিক সুত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ছাত্রলীগের একটি সমাবেশে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত ৫ জন আহত হন। আহতদের সবাইকে চিকিৎসার জন্য শজিমেকে ভর্তি করানো হয়। তবে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির ইসলাম খানের অবস্থা সবেচেয়ে গুরুতর ছিল।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাকবির ইসলামের সঙ্গে থাকা তার সমর্থকদের অভিযোগ ছিল, আবদুর রউফের নেতৃত্বে সাতমাথায় তাকবিরসহ অন্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। আব্দুর রউফের গেস্খফতার দাবি করে শহরে পোষ্টারিংও করা হয় ।

তবে আবদুর রউফ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছিল, তুচ্ছ ঘটনার জেরে তাকবিরের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমার এবং কয়েকজন নেতাকর্মীকে ধাওয়া করেন। এতে হাতাহাতির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। সামনে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। আমি প্রত্যাশিত পদ যাতে না পাই, এ জন্যই আমার ওপর হামলার দোষ চাপানো হচ্ছে।

ঘটনার ৩ দিন পর ১৩ মার্চ দুই গ্রুপের পক্ষ থেকে বগুড়া সদর থানায় পাল্টাপাল্টি পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খানের মা আফরোজা ইসলাম বাদী হয়ে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

অপরদিকে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হাসান বাদী হয়ে তাকবীর ইসলাম খানসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাত জনের মামলা করেন।

তাকবীর ইসলাম খানের মা আফরোজা ইসলাম করা মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন জাহিদ হাসান (২৬), আনোয়ার হোসেন (২৭), মো. তারেক (২৭), বিধান চন্দ্র মোহন্ত (২৭), নিশাদ (২১) ও আরমান (২২)।

অপরদিকে, আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য সোহাগ হাসানের দায়ের করা মামলায় নাম উল্লেখিত অন্য আসা্মরিা হলেন তোফায়েল আহমেদ, হাসিবুল হাসান শান্ত, আব্দুল্লাহ ঈমন, জয় কুমার দাস, শাহাদত জামান সঞ্জয়, সামিউল পরান সজল, সিজান রহমান, ফেরদৌস আলম সাফি, মাহবুবুল সাফিন, হাবিবুর রহমান ও মেহেদী হাসান।

এ ঘটনায় সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, বিধি মোতাবেক তাকদিরের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাকে ছুরিকাঘাতকারীকে গ্রেফতারে অভিযানও চলছে । তাকবিরের মৃত্যু প্রসঙ্গে বগুড়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য কামরুল হুদা উজ্জল সাংবাদিকদের জানান, নিহত তাকবির খান একজন মেধাবী ছাত্রই ছিলনা ছাত্রলীগে তার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ছিল বিপুল। সংগত কারনেই তার মৃত্যুতে পুরো আওয়ামী পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের আবহ ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ