মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাঁচ বছর আগে ইরানে কারাবন্দী ব্রিটিশ-ইরানী নাগরিক নাজনীন জাঘরি-রেটক্লিফের গোড়ালিতে দেয়া কড়া সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তার স্বামী রিচার্ড রেটক্লিফকে বলা হয়েছে যে, আগামী রবিবারে তার বিরুদ্ধে একটি নতুন আদালতে মামলা হবে। -বিবিসি
প্রতিবেদনে বলা হয়, নাজনীন জাঘরি-রেটক্লিফ নামে দাতব্য কর্মী গত মার্চ মাসে জেল থেকে মুক্তির পরে তেহরানে গৃহবন্দী ছিলেন। তিনি সবসময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক র্যাব বলেছেন, তাকে যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা নাজনীন জাঘরি-র্যাটক্লিফের গোড়ালি কড়া অপসারণকে স্বাগত জানাই, তবে ইরান তাকে এবং তার পরিবারকে নিষ্ঠুর ও একটি অসহনীয় অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে ফেলেছে। তাকে অবশ্যই স্থায়ীভাবে মুক্তি দিতে হবে, যাতে তিনি যুক্তরাজ্যে তার পরিবারের কাছে ফিরে আসতে পারেন। আমরা তার এই অধিকার আদায়ের জন্য যথাসাধ্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব। তিনি বলেন, আমরা ইরান কর্তৃপক্ষের নিকট কঠোরভাবে জোর দিয়ে বলেছি যে, তার অব্যাহত কারাবাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে যেখানে মিসেস জাগারি-র্যাটক্লিফের পরিবার বাস করেন সেই লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্ন আসনের লেবার পার্টির সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক বিবিসিকে বলেছেন, তিনি এখনও তার ব্রিটিশ পাসপোর্ট ফিরে পাননি। তবে তাকে আবার আদালতে যেতে হবে এবং সেখানে তার জন্য কী অপেক্ষা করছে তা আমরা জানি না। তিনি বলেন, নাজানিন বেশ চিন্তিত। কারণ, তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করার কথা হয়, যাতে অন্য কোনো সাজা হতে পারে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা জানি না এভাবে আর কত দিন চলবে। তবে মিসেস সিদ্দিক বলেন, তার গোড়ালি কড়া অপসারণের অর্থ হ'ল তিনি তার বৃদ্ধ দাদার সাথে দেখা করতে পারেন। এব্যাপারে আমি যখনই তার সাথে কথা বলি, ততবারই তিনি তা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, একদিকে তারা উপভোগ করছেন যে, গোড়ালি কড়া না থাকার কারণে তিনি কিছুটা স্বাধীনতা পাচ্ছেন। তবে আশঙ্কা হলো, পরবর্তী আদালতের মামলায় কী হতে চলেছে তা জানি না। আমি জানি তার মেয়ে ক্যালেন্ডারে মায়ের ফিরে আসার জন্য দিন গণনা করছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে মিসেস জাগারি-র্যাটক্লিফ (৪২) গত বসন্ত থেকে কারাগারের বাইরে গৃহবন্দী ছিলেন এবং তার সাজা রবিবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। উল্লেখ্য, তিনি তার তরুণ ব্রিটিশ-বংশোদ্ভূত কন্যা গ্যাব্রিয়েলাকে নিয়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে ইরানে তার পিতামাতার সাথে দেখা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এই দ্বৈত নাগরিককে ইরানের একটি আদালত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করে, যে অভিযোগ তিনি বরাবরই অস্বীকার করেন। গ্রেপ্তারের আগে তিনি লন্ডনে স্বামী ও সন্তানের সাথে থাকতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।