বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বসতবাড়িতে ঢুকে এক নারীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাদা পোশাক পরা কক্সবাজারের তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১ মার্চ) বিকালে শহরের মধ্যম কুতুবদিয়াপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী রিয়াজ আহমদের স্ত্রী রোজিনা খাতুন এই ছিনতাইয়ের শিকার হন বলে জানা গেছে ।
এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে এক পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়। পরে ৯৯৯ ফোন করে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। এর পর আরও দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
দ্রুত বিচার আইনে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি অপারেশন মোহাম্মদ সেলিম।
গ্রেফতার হওয়া তিন পুলিশ সদস্য হলেন–এসআই নুর হুদা ছিদ্দিকী, কনস্টেবল আমিনুল মমিন ও মামুন মোল্লা।
ওসি অপারেশন মোহাম্মদ সেলিম জানান, বাদীর এজাহার মতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র জানায়, কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম কুতুবদিয়াপাড়ার রিয়াজ আহমদের স্ত্রী রোজিনা খাতুন গ্যাসের দোকান করার জন্য তার আত্মীয়স্বজন থেকে সোমবার তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরেন।
বিকাল ৪টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ৫-৬ জন সাদা পোশাক পরা লোক তার বসতবাড়িতে যায়। পরে তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে টাকা দাবি করে।
রোজিনা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বেধড়ক মারধর করে সাদা পোশাক পরা লোকজন। একপর্যায়ে রোজিনা তার কাছে থাকা তিন লাখ টাকা সাদা পোশাকধারী পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ সময় রোজিনার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। এ সময় অটোরিকশা থেকে একজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।
পরে ৯৯৯ ফোন করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
সোমবার রাতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা নেয়া হয়।
পাশাপাশি এ ঘটনা নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত কক্সবাজার সদর থানায় অবস্থান নেয় জেলা পুলিশের এসপি হাসানুজ্জামান।
সাদা পোশাকধারী পুলিশের ছিনতাইয়ের শিকার রোজিনা খাতুনের স্বামী রিয়াজ আহমদ জানান, কক্সবাজারের সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে গ্যাসের দোকান করার জন্য তার স্ত্রী এই টাকাগুলো তার আত্মীয়স্বজন থেকে সংগ্রহ করেন বলে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণা দেন।
এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।