Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্রিটিশ কিশোরী ডেইজির আঁকা বর্ণিল চিত্রের মতোই যেন বিচিত্র তার ভবিষ্যৎ!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:২৯ এএম

কিশোর বয়সেই নামী চিত্রকর হয়ে উঠেছেন ব্রিটেনের একটি মেয়ে৷ সেই ছবি বিক্রি করে মহৎ কাজের জন্য লাখ লাখ ইউরো সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ মাত্র ১১ বছর বয়সেই প্রতিষ্ঠিত শিল্পী হয়ে উঠেছেন ব্রিটেনের ডেইজি ওয়াট৷ ছয় বছর বয়স থেকেই সে ছবি আঁকছেন৷ ডেইজির ভবিষ্যৎ যে তারই আঁকা বর্ণিল চিত্রের মতো বিচিত্র হবে, সে বিষয়ে যেন কোনো সন্দেহ নেই৷ জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন থেকে ইনকিলাব পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন মোহাম্মদ আবদুল অদুদ। -ডয়েচে ভেলে

ডেইজির চিত্রকর্ম শুধু শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই৷ তার আঁকা ফুলের ছবি কয়েক হাজার ইউরো দামে বিক্রি হয়৷ আয়ের কিছু অংশ ক্যানসার রোগীদের সহায়তায় দান করে ডেইজি৷ জানা যায়, তার তুলি হাতে নেবার কারণটা মোটেই সুখকর ছিল না৷ সেই কথা মনে করে ডেইজি বলে, ‘কয়েক বছর আগে আমার নানা ও দাদির প্রায় একই সময় ক্যানসার হয়েছিল৷ তাদের মনে উৎসাহ জোগাতে আমি ছবি আঁকতে শুরু করি। কারণ তাদের খুব দুঃখ হয়েছিল৷ আমি আসলে মানুষকে আনন্দ দিতে ভালবাসি৷’ ডেইজির মা ক্যারেন ওয়াট জানান, ‘ডেইজি তার ইচ্ছামতো ছবি আঁকে৷ কখনো কম, কখনো বেশি৷ মানুষজন তার ছবি দেখে প্রশংসা করলে সে খুবই বিব্রত বোধ করে৷’ ক্যারেন ওয়াট মেয়ের প্রতিভা লক্ষ্য করেন এবং ক্যানসার সংগঠনের কল্যাণে ছবিগুলো নিলাম করার সিদ্ধান্ত নেন৷ ডেইজির আঁকা ছবি বিক্রি করে বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের জন্য ইতোমধ্যে প্রায় ৫৫,০০০ ইউরো সংগ্রহ করা হয়েছে৷ এমন মহৎ উদ্যোগ যথেষ্ট স্বীকৃতিও পাচ্ছে৷ যেমন ২০১৯ সালে ডেইজি ‘ইয়র্কশায়ার ইয়ং অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিল৷ ডেইজির মা হিসেবে ক্যারেন ওয়াট মনে করেন, ‘আশা করি সে কোনো একদিন নিজের প্রতিভা টের পাবে এবং সেটি কাজে লাগিয়ে কত মানুষকে সাহায্য করেছে তা বুঝতে পারবে৷’

নিজস্ব শৈলি অনুযায়ী ডেইজি একেবারে তার মত করেই আঁকে বটে, কিন্তু তার রংচংয়ে ফুলের ছবির সঙ্গে প্রায়ই ইমপ্রেশনিস্ট ধারার ফরাসি চিত্রশিল্পী ক্লোদ মোনের তুলনা করা হয়৷ করোনা সংকটের সময় চিকিৎসাকর্মীদের সাহায্য করতে ডেইজি নিজের নামের ফুল দিয়ে একটি রংধনু এঁকেছে৷ গ্রিটিং কার্ড ও চুম্বকের মোটিফ হিসেবে সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য পরিষেবা এনএইচএসের জন্য এরই মধ্যে ১,৯০০ ইউরো সংগ্রহ করা গেছে৷ ছবি আঁকা ছাড়াও ডেইজি স্কেটবোর্ডিং করতে, ঘোড়ায় চড়তে ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে ভালবাসে৷ স্থানীয় এক ফুটবল ক্লাবেও সে খেলে৷ নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও একটা ধারণা জন্মাচ্ছে৷ বড় হলে সে বিশ্ব ভ্রমণ করে ছবি তুলতে চায়৷ তারপর ঘরে ফিরে সেই ছবি আঁকতে চায়৷



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভবিষ্যৎ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ