পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আঞ্চলিক সহযোগিতা আরো সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে উন্নত যোগাযোগের ওপর এর ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নির্ভরশীল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আশাবাদী যে, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে উন্নত যোগাযোগের ওপর অঞ্চলটির ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নির্ভরশীল। ভুটানের সদ্য নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সোনাম টি রাবগে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুটানকে ট্রানজিট ও অনেক যোগাযোগ সুবিধার প্রস্তাব দিয়েছে এবং এখন বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে মোটরযান চলাচল চুক্তি বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বিবিআইএন মোটরযান চুক্তি পাস হওয়ায় ভুটানকে ধন্যবাদ জানান। ভুটানের সঙ্গে পানিবিদ্যুৎ সহযোগিতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আশাবাদী যে, ভুটানের পানিবিদ্যুৎ সম্ভাবনা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর কাজে লাগবে। ভারতও বিবিআইএন কাঠামোর আওতায় বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। আমরা পারস্পরিক স্বার্থে এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি কাজে লাগাতে পারি।
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে ভুটানের বিশেষ স্থান রয়েছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভুটানের সরকার ও জনগণের দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুটান প্রথম বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের উল্লেখ করে ভুটানের রাষ্ট্রদূত বলেন, দু’দেশের উচ্চপর্যায়ে সফর বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো নিবিড় হয়েছে। তিনি স্মরণ করেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সম্পর্কের ভিত স্থাপন করেন।
ভুটানের রাষ্ট্রদূত নারী-পুরুষের সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্লানেট ৫০:৫০ চ্যাম্পিয়ন এবং এজেন্ট অব চেঞ্জ এওয়ার্ড অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, এই অর্জনের কৃতিত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের। ভুটানের পার্লামেন্ট মোটরযান চুক্তি অনুসমর্থনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত সোনাম বলেন, ভূমিবেষ্টিত দেশ হওয়ায় এ চুক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে আগ্রহী ভুটান। রাষ্ট্রদূত ভুটানের জাহাজকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও বন্দর ব্যবহার করতে দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রীর সচিব সুরাইয়া বেগম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।