Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্পের পারমাণবিকপ্রীতি ও বিশ্বব্যবস্থার ভবিষ্যৎ

প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ড. ইশা মোহাম্মদ
পৃথিবীতে অনেকগুলো পারমাণবিক বোমা আছে। এগুলো দিয়ে কী করা যায়? সমগ্র মানব সভ্যতা কয়েকবার ধ্বংস করা যায়। কোল্ড ওয়ার শেষ হওয়ার পর একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক রাশিয়ার দুর্দিনে একজন বড় নেতাকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনারা তো নিউক্লিয়ার ওয়ার হেড তৈরির প্রতিযোগিতা ছেড়ে দিয়েছেন। মার্কিনিরা আক্রমণ করলে কী করবেন? তিনি স্মিত হেসে বলেছিলেন, যা আছে তা দিয়ে পৃথিবী কয়েকবার ধ্বংস করা যাবে। কী বোঝা যায় তার এ কথায়? পৃথিবী ধ্বংস করার মালসামান মানুষের হাতেই আছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে সারা বিশ্ব খুবই চিন্তিত। তাদের ওখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হচ্ছে। কে হবেন প্রেসিডেন্ট? হিলারি না, ট্রাম্প? মার্কিন জনসাধারণ চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ ছেড়েই দিয়েছে। তারা নির্বাচন নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। কেননা, তারা জানে, নির্বাচনে যেই জিতুক না কেন, তাদের আর্থসামাজিক অবস্থায় কোনো মৌলিক পরিবর্তন হবে না। তাই তারা রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে না। পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই একটি দেশ যেখানে সাধারণ মানুষ রাজনীতিবিমুখ। তাই নির্বাচনে যারা দাঁড়ায় তারা প্রচারের ওপরেই বেশি ভরসা করে। প্রচার ভালো হলে জিতবেÑ এমনই প্রচারণা আছে তাদের দেশের মিডিয়া মোগলদের। বস্তুত প্রচারে তারা পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়েও বেশি টাকা ব্যয় করে।
প্রচারের জন্যই হোক, কিংবা প্রকৃত অর্থেই হোক, ট্রাম্প পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের ব্যাপারে উৎসাহী বলে খবর বেরিয়েছে। ফলে মার্কিন নাগরিকরা এবার নড়েচড়ে বসেছে। কেননা, পারমাণবিক বোমা মারার শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাদের প্রেসিডেন্টের এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বোমার পরিমাণ বিশ্বকে শতবার ধ্বংস করার সমান। তারা এই বোমাগুলোর মধ্যে যেগুলো পুরনো হয়ে গেছে, সেগুলো অন্য দেশে চালান করতে চাচ্ছে। তাদের গুদামে আর যায়গা হচ্ছে না। বিক্রি করে কিছু টাকা পাওয়া যাবে বলেও ভাবছে তারা। বোমা বানাতে অনেক খরচ হয়। ব্যবহার না হলে খরচ ওঠে আসে না। বিক্রি হলে কিছুটা লাভ হয়। কিন্তু খোলা বাজারে এটম বোমা বিক্রি করা যায় না। কেবলমাত্র যুদ্ধাবস্থা তৈরি করা গেলে যুদ্ধমান দেশগুলোতে গোপনে কিছু বিক্রি করা যেতে পারে। কিন্তু তার আগে ভয় তৈরি করতে হয়। যেমন সউদি আরবকে যদি ভয় দেখানো যায় যে, ইরান পারমাণবিক হামলা করবে, তবে সউদিরা মার্কিনিদের কাছ থেকে এমন কি ইসরাইলিদের কাছ থেকেও বোমা কিনতে পারে। যেমন উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়াকেও উত্তেজিত করে বোমা বিক্রি করা যায়। জাপানেও বিক্রি করা যায়।
বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার মানবতার নাশকদেরকে উৎসাহিত করছে। বেশ কিছু দিন আগে বারাক ওবামা কৃত্রিম উৎকণ্ঠায় জানিয়েছিলেন, আইএসের কাছে কোনো বিশেষ বিশেষ দেশ পারমাণবিক অস্ত্র বিক্রি করতে পারে। এ বিষয়ে তিনি সবাইকেই সাবধান হতে বলেছিলেন। বিশ্বের অনেক চিন্তাবিদই বিশ্বাস করেন, আইএসকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি কেউ কেউ দাবি করেছে, হিলারি নিজেই আইএসকে অস্ত্র দিতে ভূমিকা পালন করেছেন। অ্যাসেঞ্জের দাবি প্রায় সবই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সকল অশান্তিতেই মার্কিন অস্ত্র আছে। এই ধারায় যদি হিসাব করা হয়, তবে হয়তো একদিন দেখা যাবে মার্কিনিরাই পারমাণবিক অস্ত্র বিক্রি করছে নাশকদের কাছে।
পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে খোলাবাজারে বেচাকেনা যায় না বলে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র ব্যবসায়ীরা একটা কাল্পনিক মনস্তাত্ত্বিক বাজার তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। পৃথিবীর সব দেশেই পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত। এ ধরনের কথা প্রচার করাও পাপ। মামলা হতে পারে। তাই তারা এক ঘৃণ্য অপকৌশল বেছে নিয়েছে। তারা এমন কাউকে দিয়ে এসব কথা বলতে চায়, এমনভাবে এ ধরনের বিতর্কে সেলেব্রেটিদের জড়াতে চায়, যাতে সাধারণ মানুষ হঠাৎ করে ষড়যন্ত্র টের না পেয়ে যায়। যেমন এখন তারা ট্রাম্পকে দিয়ে কথা বলাচ্ছে। ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবসায়ী নন। কিন্তু তিনি ইহুদি পুঁজির সাথে জড়িত। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তিনি লাভের লোভে সব কাজই করতে পারেন। তার ধারণা হয়েছে, কিংবা তাকে বুঝানো হয়েছে, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন কিনা সেটি বড় কথা নয়। তিনি বিশ্বব্যাপী পরমাণবিক অস্ত্রবাজার তৈরির বড় ভূমিকা রাখতে পারছেন, এটিই বড় কথা। ভবিষ্যতে ব্যবসা করে অগণিত মুনাফা কামাই করতে পারবেন। আর এখন রাজনৈতিক প্রচারের জন্য বিপুল ব্যয় বহন করতে হচ্ছে না। অদৃশ্য শক্তিই সেই ব্যয় বহন করছে। হিসাব করে বলা যায়, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কামাই করছেন। অর্থাৎ তার বিনিয়োগ যথেষ্ট মুনাফা সংগ্রহ করছে। হেরে গেলেও আর্থিক লাভ। জিতে গেলেও আর্থিক লাভ। আর্থিক লাভ এ জন্য বলছি যে, প্রেসিডেন্টে হিসেবে তিনি নিজে থেকে কিছুই করতে পারবেন না। পুতুল নাচের ইতিকথা নির্মাণ করবেন। পুতুল নাচের ব্যাপারটা অবশ্য হিলারির জন্যও প্রযোজ্য। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে পুতুল নাচই নেচেছিলেন। যেমন নাচেন ওবামা। তিনি তার অহিংসনীতির কারণে অ্যাডভান্স শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন, অথচ পরে তিনিই মধ্যপ্রাচ্যে চিরস্থায়ী অশান্তির অনল জ্বালিয়েছেন। তিনি এবং হিলারি মুসলিমপ্রীতি দেখিয়ে মুসলমানের বিরুদ্ধে মুসলমান খুনি লেলিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বময় ইহুদিদের আধিপত্যের দিন ঘনিয়ে আসছে। আর্থসা¤্রাজ্যবাদ তাদেরই সৃষ্টি। বিশ্বকে টাকা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, এটি তাদের এক্সপেরিমেন্ট দ্বারা প্রমাণিত। প্রায় শত বছরের এক্সপেরিমেন্ট থেকে তারা এ ধারণায় পৌঁছেছে। এখন ধারণা বাস্তবায়নের সময়। তাদের বেশ কয়েকটি ঘাট আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অন্যতম। সেখানে আর্থসা¤্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ প্রতিপক্ষ যতগুলো সামাজিক প্রতিষ্ঠান আছে সবই তারা ধ্বংস করছে। শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে আদি প্রতিষ্ঠান পরিবারের কফিনে। সমলিঙ্গ বিবাহ বিষয়ক নীতির পক্ষে বারাক ওবামা আইন করে ইহুদিবাদের স্থায়ী ভিত্তি গেড়ে দিয়েছে। এখন সমাজ হবে পরিবারহীন। চূড়ান্ত নৈরাজ্যিক সামাজিক জীবনই আর্থসা¤্রাজ্যবাদের স্থায়ী জীবন। পরিবারহীন জীবন সংস্কৃতিক জীবনেও নৈরাজ্য আনবে। মানুষ সংস্কৃতি সভ্যতা সবই টাকার মানে বিবেচিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মডেল গ্রহণ করবে বিশ্বের অন্যান্য দেশ, যারা উন্নীত সমাজ বলে অহংকার করে তারা। ফলে দরিদ্র দেশে আরো বেশি ‘আত্ম-অনাস্থা’ বাড়বে। আত্ম-অনাস্থা বাড়লে  মানুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে টাকার কাছে আত্মসমর্পণ করবে। লেনিনের দূরদৃষ্টিতে বিষয়টি ধরা পড়েছিল। তিনি ডিক্রি জারি করে দেশ থেকে টাকা তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে টাকা তুলে দেয়ায় সামাজিক লেনদেনে সমস্যা হওয়ায় টাকার পুনঃ প্রবর্তনে বাধ্য হয়েছিলেন। লেলিন সে সময়ে টাকার বিকল্প খুঁজে নেয়ার সুযোগ পাননি। তাকে সময়ও দেয়া হয়নি। তার বড় বড় কমরেড সবাই ছিলেন ইহুদি। একমাত্র স্ট্যালিনই ছিলেন খৃস্টান। তিনিও টাকার বিকল্প খুঁজে নেয়ার মতো মেধাবী ছিলেন না। ফলে লেলিনকে বাধ্য হয়ে টাকাতেই ফিরতে হয়েছিল।
ইহুদিবাদীরা ইউরোপেও সমলিঙ্গ বিবাহ চালু করেছে। ফলে ইউরোপও নৈরাজ্যিক হচ্ছে, হবে। মধ্যপ্রাচ্যে এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রকাশ্যে এবং গোপনে সমলিঙ্গ অনাচার চালু আছে। তারাও বেশ উৎসাহ পাবে। আর্থসা¤্রাজ্যবাদ প্রসারিত হতে হতে ঐতিহ্যিক সমাজকে ভেঙে ফেলবে। এর সাথে ধেয়ে আসবে পারমাণবিক বোমার আক্রমণ। পারমাণবিক বোমা সমাজকেও ভাঙবে মানুষের মৃত্যুর স্তূপ তৈরী করে। পারমাণবিক বোমা এখন কেবল মুনাফার জন্যই মারা হবে তা নয়। মারা হবে আর্থসা¤্রাজ্যবাদের সফল প্রতিপক্ষকে নিকেশ করার জন্য।
ট্রাম্প এবং হিলারি দুজনেই বোমা মারার পক্ষে। একজন চেঁচামেচি করছেন, দাম বাড়ানোর জন্য। অন্যজন আকারে-ইঙ্গিতে জানান দিচ্ছেন। সাধারণভাবে মনে করা যেতে পারে, তারা বিশ্বময় মার্কিন আধিপত্যের কথা বলছেন। কিন্তু প্রকৃত অর্থে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই পারমাণবিক বোমা হামলার আঘাতের মানসিক প্রস্তুতির কথা বলছেন। যুদ্ধে মার্কিনিরা মার খাবে না তা হয় না। এমনকি ইহুদিবাদীরা তাদের বোমার মজুদেই নাশকতা ঘটিয়ে ঘোষণা দিতে পারে যে, মুসলিম উগ্রবাদীদের দ্বারাই এই অপকর্ম সংঘটিত হয়েছে যেমনটি হয়েছিল টুইন টাওয়ার ধ্বংসের সময়। কেন সেদিন কোনো ইহুদি মারা যায়নি। এই পারমাণবিক মজুদে নাশকতা অন্য দেশেও ঘটতে পারে। সম্ভাব্য দেশ হচ্ছে পাকিস্তান। সেখানে নিত্যদিন বোমা হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব বোমা হামলা একেবারেই প্রয়োজনহীন। কিন্তু তারপরও ঘটছে। কারণ কী? অদূর ভবিষ্যতে বড় নাশকতার মাধ্যমে অসংখ্য প্রাণ ধ্বংস করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।
প্রশ্ন হতে পারে, বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়ে ইহুদিদের কী লাভ? অন্য প্রশ্ন হচ্ছে, বিভিন্ন জাতিসত্তার জনসংখ্যার অনুপাতে ইহুদি জাতির জনসংখ্যার অনুপাত কত? আশরাফ আতরাক ফার্সি শব্দ। ভারতে এসেছে অনেক পরে। এই বিভাজন প্রথমে ছিল ইহুদিদের সামাজিক শাস্ত্রে। ইহুদিরা নিজেরা ছাড়া পৃথিবীর সবাইকে আতরাক মনে করত। কিন্তু বর্ণবাদী বিচারে ইহুদিদের শ্রেষ্ঠত্ব নিন্দনীয়। তাদের বর্ণবাদ সারা বিশ্বের মানুষই অপছন্দ করে। যে কারণে পৃথিবীর কোথাও তারা ভালোবাসার স্থান পায়নি। যদি এমন হয় যে, বড় কোনো যুদ্ধে বিশ্বময় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয় তবে তাদের মানসিক যন্ত্রণার কোনো কারণই ঘটবে না। তারা কেবলমাত্র নিজেদের স্বজাতির জন্য চিন্তিত। এটি জাতিগত সমস্যা। আর্থিক সমস্যাও আছে।  
বিভিন্ন জাতিকে যদি নিজেদের মধ্যে মারামারিতে লিপ্ত করা যায় তবে ইহুদিবাদীরা ‘আলুপোড়া’ দিয়ে কিঞ্চিৎ লাভবান হবে। সবচেয়ে বেশি লাভ হবে বিশাল জনসংখ্যার অকাল মৃত্যুতে। আতরাকদের সংখ্যা কমে যাওয়ার মানেই আশরাফদের সংখ্যার আনুপাতিক বৃদ্ধি। তাদের হিসাব হচ্ছে, যে কোনো জাতির যে কেউ মরুক সমস্যা নেই, তারা না মরলেই হলো। পারমাণবিক যুদ্ধের ইঙ্গিত প্রত্যক্ষভাবে দিলেন ট্রাম্প। তিনি প্রেসিডেন্ট নাও হতে পারেন। কিন্তু বিষয়টির ব্যাপারে সূচনা করা হলো এ কারণে যে, যারা এখনো জোট বাঁধেনি কিংবা পারমাণবিক বোমা কেনেনি তারা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে বোমার বাজারে। মার্কিন ধনকুবেররা মুখিয়ে বসে আছে। আর সব মার্কিন ধনকুবেরের মূলধন ইহুদি ধনকুবেরদের নিয়ন্ত্রণে, প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে।
স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন ওঠে যে, বিশ্বমানবতার ভবিষ্যৎ কি ইহুদিবাদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে? অন্য মানুষেরা কি কিছুই করতে পারবে না? মার্কিন আধিপত্য ভেঙে চূরমার হলেই কেবল ইহুদি পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। আর কেউ পারবে না মার্কিন আধিপত্য ভেঙে বিশ্বময় শান্তি স্থাপন করতে, যদি না মার্কিন জনগণ অগ্রসর না হয়। মার্কিন জনগণই পারে বিশ্বময় শান্তি স্থাপন করতে। কীভাবে পারবে? প্রথমেই তারা ইহুদিবাদকে পরিত্যাগ করবে। কোনো ইহুদি ক্রীড়নককে তাদের নেতা করবে না। কোনো ইহুদিবাদী রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করতে দেবে না। একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও গণদরদীকে প্রেসিডেন্ট করবে। শান্তিবাদী রাজনৈতিক দলকে গণসমর্থন দেবে এবং বিশ্বমানবতার সাথে একাত্ম ঘোষণা করবে। বিশ্বের তাবৎ প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের উচিত হবে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করা, যেন তারা তাদের দেশের অনুসৃত পররাষ্ট্রনীতিকে পরিবর্তন করতে তাদের প্রেসিডেন্টকে বাধ্য করে। মার্কিনিদের বোঝা উচিত, তাদের ওপরও পারমাণবিক হামলা হতে পারে। এই হামলা থেকে বাঁচার জন্যই তাদের ইহুদিবাদের হাত থেকে বাঁচতে হবে। আশা করি, বিশ্ব মানবতার বিষয়টি বুঝবে এবং সম্মিলিতভাবে এর মোকাবেলা করবে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়        



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্পের পারমাণবিকপ্রীতি ও বিশ্বব্যবস্থার ভবিষ্যৎ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ