পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
জন্মলগ্ন থেকেই একাধিক যুদ্ধ হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নিয়মিত গোলাবর্ষণ নিয়মিত গোলাবর্ষণে লিপ্ত থাকত দুই দেশ। আর এই দুই দেশের সংঘর্ষের খেসারত দিতে হচ্ছে সীমান্তবর্তী গ্রামে থাকা সাধারণ মানুষকে। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার থেকে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ থামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। আর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। অভিনন্দন জানিয়েছে আমেরিকাও। শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্তেপানি দুজারিক বলেন, “নিয়ন্ত্রণরেখা ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতি মেনে চলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মহাসচিব। সমস্যা সমাধানে একটি যৌথ কাঠামো তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। মহাসচিব মনে করছেন, দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে এমন সমঝোতার ফলে ভবিষ্যতে শান্তিবার্তার পথ আরও প্রশস্থ হয়েছে।” এদিকে, নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে আমেরিকাও। এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, “সীমান্তে শান্তি ফেরাতে ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ বিবৃতিকে স্বাগত জানাচ্ছে আমেরিকা। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। আমরা দুই দেশকেই এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে আহবান জানাচ্ছি।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এক বিবৃতি জারি করে জানায়, ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখ থেকে নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানের সঙ্গে নয়া সংঘর্ষবিরতি চুক্তি বলবৎ হয়েছে। দুই দেশের সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর এই পদক্ষেপে সম্মত হয় নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। দুই দেশের ‘ডিরেক্টর জেনারেলস অব মিলিটারি অপারেশনস’ বা ডিজিএমও এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে পারস্পরিক সমস্যা মিটিয়ে নিতে পদক্ষেপ করতে রাজি হয়েছেন দুই দেশের সেনা কর্মকর্তারা। নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি যাতে সঠিকভাবে মেনে চলা হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। ২৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে বা ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই এই চুক্তি কার্যকর হবে। কোনও বিষয়ে মতপার্থক্য হলে হটলাইনের মাধ্যমে তা আলোচনা করা হবে। এছাড়া, দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে নিয়মিত বর্ডার ফ্ল্যাগ মিটিংও অনুষ্ঠিত হবে।” হিন্দুস্তান টাইমস, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।