Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘উই রিভোল্ট’ বলে সশস্ত্র প্রতিরোধের সুচনা করেন জিয়া -বগুড়ায় ইকবাল মাহমুদ টুকু

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:৫৪ পিএম

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন ,৭১ এর ২৫ মার্চ রাতেই ‘উই রিভোল্ট ’ বলে মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র প্রতিরোধের সুচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এরপর ২৭ মার্চ যখন তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন । পাকিস্তানের সশস্ত্র আক্রমনের মুখে দিশেহারা জাতির কাছে সেটাই ছিল আশার আলো। আমি নিজেই ট্রানজিষ্টরে তাঁর কন্ঠ শুনে প্রতিরোধ সমরে ভিষনভাবে উজ্জিবিত হয়েছিলাম ।

তিনি বলেন , জিয়াউর রহমান স্বয়ং বাংকারে বসে যুদ্ধ পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক সময় শত্রুর গোলার মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু কখনই ভয় পাননি পিছু হটেননি। তাঁর নেতৃত্বেই সর্ব প্রথম সিলেট অঞ্চল হানাদার মুক্ত হয়। অথচ আজ বলার অপচেষ্টা করা হচ্ছে যে তিনি নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেননা।
শনিবার দুপুরে বগুড়া শহরের একটি রেঁস্তরায় স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আয়োজনে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার বিভিন্ন পত্রিকা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভায় প্রধাণ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে উপরোক্ত কথা বলেন ।
তিনি বলেন , মুক্তিযুদ্ধ , মুক্তিযুদ্ধে অবদানের বিষয় সবকিছুই আজ এক ব্যক্তির কৃতিত্ব বলে জাহির করতে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটাবার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে জিয়া আন্তর্জার্তিক বিমান বন্দরের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে ইতিহাস থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলার এটা প্রতিরোধ করতে হবে ।
তিনি বলেন,স্বাধীনতার সুবর্ন কমিটির উদ্যোগে দেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি পর্ব যেমন , ৫২’র রক্তদান, ৫৭তে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি মাওলানা ভাষানীর আসসালামু আলাইকুম উচ্চারণ, উনসত্তরের গনঅভ্যুত্থান,৭১ এর ১মার্চ, ২মার্চ, ৩মার্চ, ৭ মার্চ ৯ মার্চ থেকে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধকালের প্রতিটি ঘটনা প্রবাহের মধ্যে যার যতটুকু অবদান আছে বিএনপি সেটা তুলে ধরবে । এজন্য তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন ।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেণ বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। কমিটির সদস্য সদস্য আতিকুর রহমান রুমনের পরিচালনায় এই মত বিনিময় সভায় প্রধাণ বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা স্বাধীনতার সুবর্ন উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম । বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ,বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদস্য সচিব স্বাধীনতার সুবর্ন উদযাপন মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব শামা ওবায়েদ , দৈনিক দিনকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবুর রহমান ও বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ ।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপিই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দল এই সত্য তুলে ধরা আজ জরুরী হয়ে পড়েছে। যার ঘোষনা শুনে মানুষ সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ হয় সেই জিয়াউর রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এটা ভুলে গেলে চলবেনা ।
বিশেষ অতিথি শওকত মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন , ৭১ এ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনায় সাংবাদিকরাও প্রতিরোধে শামিল হয়। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের রুটি রুজির ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়। ভবিষ্যতে দল ক্ষমতায় এলে বর্তমান সরকারের সময়ে নির্যাতিত সাংবাদিকদের মুল্যায়নে বিএনপির অঙ্গিকারাবদ্ধ হওয়ারও দাবি জানান তিনি ।
শামা ওবায়েদ তার বক্তব্যে সাংবাদিকদের সাথে দলের ঘনিষ্ট যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন , মুক্তিযুদ্ধ যে কোন একক ব্যক্তি গোষ্টি বা দলের সম্পত্তি নয় সেটা পরিষ্কার করে তুলে ধরতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন,কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শাহীন শওকত,ওবায়দুর রহমান চন্দন , সংসদ সদস্য মোঃ মোশারফ হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা ফজলুল বারী বেলাল, এ্যাডঃ সাইফুল ইসলাম, আহসানুল তৈয়ব জাকির,এমআর ইসলাম স্বাধীন,লাভলী রহমান, যুবদল আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম , ছাত্রদল সভাপতি আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান প্রমুখ ।
এতে বগুড়া , রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ , নাটোর, নওগা ও জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজ গঞ্জ জেলার শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন ।



 

Show all comments
  • Ahmed ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:৪৭ এএম says : 0
    মিথ্যা কথা বলেন কেন? পিলখানার তৎকালীন ই পি আর, রাজার বাগ এর পুলিশ ভাইরা কি মেজর জিয়ার ডাকে ২৫ শে মার্চ দিবাগত রাতে প্রতিরোধ করেছিল? আপনি তো ভাল জানার কথা, ঐ দিন রাতে তো আপনি আপনার বোন ডা; তাহমিনা মতিন এক বাসায় ছিলেন, যা কিনা রাজার বাগ এর গেট এক উল্টো দিকে। কাজেই নিথ্যা না বলে সত্য বলুন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ