Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইবিএস চিকিৎসায় হোমিও

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম

কথায় বলে পেট ঠিকতো দুনিয়া ঠিক, যার পেট আছে তার সমস্যাও আছে, যার পেটে সমস্যা তার শরীরে সমস্যা লেগেই থাকবে। চোখের সামনে সুন্দর সুন্দর সু-স্বাধু খাবার থাকলেও পেটের সমস্যার কারণে জিহবা সামলে নিতে হয়। আর মনের ভিতরের আপসোস চাপা রেখে না খেয়ে হাত ধৌত করে উঠতে হয়। পেটের সমস্যাগ্রস্থ রোগীর ভোগান্তির অন্ত নেই। আই.বি.এস অনেকের নিকট একটি আতংকের নাম।


আই.বি.এস (ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম)-এর রোগীরা দীর্ঘ মেয়াদী পেটের সমস্যা, অর্থাৎ বদহজম, আমাশা চির জীবনের সঙ্গী হয়ে যায়। পেটে হঠাৎ করে কামড় দেবে এবং সাথে সাথে টয়লেটে যেতে হবে।

এমনও ব্যক্তি আছে যার দিনে চার-পাঁচ বার টয়লেটে যেতে হয়। ভোর বেলা একবার, ঘুম থেকে উঠার পর একবার, সকালে নাস্তা খাওয়ার পর একবার, বিকেলে ও রাতে একবার করে, অনেক সময় খাবার খাওয়ার পরপরই টয়লেটে যেতে হয়। সারা দিন পেট ডাকে ও পেটের মধ্যে ভুটভাট করে। পেটের অশান্তি বড়ই অশান্তি। যার সমস্যা হয় সে জানে পেটের জ্বালা কি জ্বালা।

ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আ.বি.এস)ঃ এই রোগ নির্ণয়ের জন্য সাধারণত কোনো পরিক্ষার প্রয়োজন হয় না। রোগী যে সমস্যা বা রোগের বর্ণনা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাতেই রোগ নির্ণয় হয়ে যায়। রোগীর মুখের কথায় যাবতীয় লক্ষণ পাওয়া যায়।

আইবিএসের উপসর্গ: বদ হজম, পেটের মধ্যে ভুটভাট শব্দ করে, পেটের মধ্যে কোক কোক করে ডাকা বা আহারের পর পেটের অশান্তি বৃদ্ধি, পায়খানার সাথে বিজল যায়, পেটে কামড় দিয়ে ব্যথা করে, পায়খানা সারার পরও মনে হয় যেন এখনো ভিতরে কি যেন আটকে আছে। পায়খানা করার পর কিছু সময়ের জন্য আরাম অনুভব হবে। মাঝে মধ্যে পায়খানা নরম হবে, আবার কিছু দিন কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। বিষন্নতা ও উদ্বিগ্নতা এই রোগ বাড়িয়ে দিতে পারে। আই.বিএসের রোগীরা অনেকে নিজেদের সমস্যা নিজেরা চিহ্নত করতে পারে। কোন খাবার খেলে সমস্যা বাড়ে এবং কোনটাতে কমে তা রোগীরা অনুভাব করতে পারে।

নিষেধ : আইবিএসের রোগীদের আমরা চর্বি যুক্ত খাবার, তৈলাক্ত খাবার, আশযুক্ত খাবার, যব, গম, গমের তৈরি খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি, শাকসবজি, ফল, সালাদ ইত্যাদি নিষেধ। হোটেলের খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার বন্ধ তবে ছানা খাওয়া যাবে। অতিরিক্ত মসলা যুক্ত খাবার ও গুরুপাক বর্জন করতে হবে।

পরামর্শ : নরম ভাত, হালকা ঝোলের তরকারি, কাঁচা-পাঁকা পেঁপে, কাঁচা-পাকা বেল খাবেন, গরম-গরম-টাটকা খাবার খেতে হবে। বাসি পঁচা খাবার খাওয়া যাবে না।

ইরেটেবল বাওয়েল সিমন্ড্রোম (আইবিএস)- হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি লক্ষণ ভিওিক সদৃস বিধান। এর এই রোগের হোমিওপ্যাথি মেডিকেল শাস্ত্রে অনেক পদের ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ব্যতিত আইবিএস রোগের চিকিৎসায় সুফল পাওয়া অনেক কঠিন।

ডা. এস এম আব্দুল আজিজ
সেক্রেটারী: আইডিয়াল ডক্টর্স ফোরাম অব হোমিওপ্যাথি। মোবাইল ঃ ০১৭১০ ২৯৮ ২৮৭



 

Show all comments
  • Kabir ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৪৭ পিএম says : 0
    স্যার, আমার মনে হচ্ছে আমি এ রোগে আক্রান্ত।কারণ হিসেবে উপসর্গগুলো বিদ্যমান রয়েছে আমার মধ্যে।আমি এর চিকিৎসা করতে চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Sandip Chatterjee ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:৫২ পিএম says : 0
    Liv T tonic is best for ibs patient
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হোমিও

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
১৪ আগস্ট, ২০২০
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন