Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা প্রতিরোধে হোমিও

| প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০২০, ১২:০৩ এএম

এ সময়ে কোভিড-১৯ এ নাকাল পুরো পৃথিবী । কোভিড ১৯ থেকে বাচঁতে হলে যে কথাটি সবার আগে আসছে তাহল “রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করো, করোনা থেকে সহজেই বাঁচো”। আর করোনা প্রতিরোধে লাইফ স্টাইল পরিবর্তণ, সামাজিক দূরত্ব বজায়া রাখা ও ভাইরাস প্রতিরোধে সুরক্ষা সামগ্রী কথাতো থাকছেই। হোমিও চিকিৎসক হিসাবে করোনা প্রতিরোধে হোমিও নিয়ে আমাদের কিছু করার আছে যা অবশ্যই মনে করি। ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে হোমিও চিকিৎসার সাফল্যের কথাও উঠে আসছে। বর্তমানে করোনা প্রতিরোধে ভারতবর্ষ তথা বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিকারের প্রচলন আছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশসহ আশে পাশের দেশে আয়ুর্বদিক ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়াগ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রচলন শুরু করেছে এবং এ বিষয়ে অভূতপূর্ব সাড়া মিলছে। হোমিওপ্যাথি ওষুধ আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ দিনে একবার করে তিনদিন খেতে বলা হয়েছে। একমাস পর এটি আবার এই নিয়মে খেতে হবে।

মূলত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ক্ষেত্রে রোগীর দেহে উপস্থিত উপসর্গগুলির ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচন করা হয়। কোনও নির্দিষ্ট রোগের জন্য কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ হয় না এবং এটি রোগের নামের সাথে সম্পর্কিত নয়। আর এটাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার একটি বড়ো সুবিধা। সেজন্য ক্যান্সার, জিনগতব্যাধি, ভাইরাসঘটিত রোগ অথবা শল্যচিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যাধিগুলিতে হোমিওপ্যাথির বিশেষ সাফল্য।

সমপ্রতি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তরোগীদের উপর ক্লিনিকাল ট্রায়াাল পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে। ইতিমধ্যে এই ট্রায়াালে সাফল্য মিলেছে এবং অনেক করোনা আক্রান্ত রোগী আরোগ্যলাভ করছে। পাঁচটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ- আর্সেনিক অ্যালবাম, ব্র্যায়নিয়া অ্যালবা, এনটিম টার্ট, জেলসেমিয়াম এবং ক্রোটেলাস এইচ- করোনারোগীদেরকে চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। উল্লেখযোগ্য, এর মধ্যে তিনটি ওষুধ কার্যকরী, যার মধ্যে ব্র্যায়নিয়া অ্যালবা অন্যতম। ভারতের মতো আমাদের দেশেও হোমিও চিকিৎসকরা যার যার মতো করে করোনায় হোমিওর চিকিৎসা করাচ্ছেন। যা অনেকটা আড়ালে আবডালে। এর জন্য চাই সরকারের ব্যাপক সহযোতিা। ইউরোপেও করোনার ব্যাপক হোমিওর প্রয়োগ হচ্ছে।

বিশ্বব্যাপি করোনা আক্রান্তের ছয়মাস অতিবাহিত হওয়ায় বর্তমানে এটা খুব পরিষ্কার যে করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের জীবন-যাপন করতে হবে। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনধারায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। সেজন্যে আমাদের সর্বপ্রথম মানসিক প্রস্ততি নিতে হবে। বাইরে বেরোলে সর্বদা মুখে মাস্ক পরতে হবে বা মুখ ঢেকে রাখতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর নিজের হাত স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। যত্রতত্র থুতু ফেলবেন না এবং হাত দেবেন না। বিশেষ করে দরজার হাতলে খালি হাতে হাত দেবেন না। রাস্তাঘাটে হাঁচি বা কাশি হলে মুখ ঢাকা দিতে হবে। সর্বোপরি নিজের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান এবং করোনাভাইরাসের সামান্যতম উপসর্গ দেখা দিলেই একজন সুচিকিৎসকের পরামর্শে কোন সঠিক ওষুধ সেবন করুন ও সুস্থ থাকুন।

ডাঃ মাহমুদুল হাসান সরদার
সরদার হোমিও হল, ২১ গ্রীণ কর্ণার, গ্রীন রোড, ঢাকা।
সেল -০১৭৪৭৫০৫৯৫৫।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হোমিও

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
১৪ আগস্ট, ২০২০
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন