Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মৃত্যুর পরও মুসলিমরা বৈষম্যের শিকার ফ্রান্সে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

ফ্রান্সে বর্তমানে মুসলিমদের বসবাস করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। নিজের পছন্দমতো পোশাক পরিধানের অধিকারের জন্য মুসলিমদের লড়াই করতে হয় এবং বৈষম্যম‚লক আচরণের শিকার হতে হয়। ফ্রান্সে সকল ইসলামিক পোশাক পরিহিতদের ‘উগ্রবাদী’ শব্দটি শুনতে হয়। এমনকি ফ্রান্সে মুসলিমদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম মৃত্যুর পরও শেষ হয় না। মৃত্যুর পরেও ফ্রান্সে মুসলমানদের বৈষম্যম‚লক আচরণের শিকার হতে হয়। মৃতের পরিবারকে ধর্মীয় রীতিতে দাফন সম্পন্নের জন্য নানা বাধার মুখে পড়তে হয়। ইউরোপের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হলো ফ্রান্স। যেখানে ৫০ লাখ মুসলমানের বসবাস। করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকে সেখানে ইসলামিক রীতি অনুসারে তাদের প্রিয়জনকে দাফন করতে ক্রমাগত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়েছে। দেশটিতে বসবাসরত ৭৬ হাজার জনেরও বেশি মুসলিম দাফন কাজে বৈষম্যম‚লক আচরণের অভিযোগ জানিয়েছে। করোনা সংক্রমণরোধে ও প্রাণহানি ঠেকাতে ফ্রান্স সরকার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও সীমানা বন্ধসহ বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ওই বিধিনিষেধের শিকার হয়েছেন ফরাসি মুসলিম পরিবারগুলো। তাদের প্রিয়জনের লাশ ফ্রান্সের ভ‚মিতে দাফনে বাধা দিয়ে নিজ জন্মস্থানে বিশেষ করে মাগরেব অঞ্চলগুলোতে ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ফ্রান্সের অনেক মুসলমান ও অভিবাসীদের মধ্যে নতুন পদক্ষেপের ফলে সঠিকভাবে দাফনকার্যের জন্য কবরস্থান সন্ধানে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মহামারীতে মুসলমানদের দাফন স্থানের ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আহত পরিবারগুলোর জন্য এ বিষয়টি কষ্টের ও অপমানজনক। শোকাহত ফরাসি এক মুসলিম নাগরিক জানিয়েছে, ‘মহামারীতে আমরা আমাদের বাবার কবর দেয়ার জায়গা খুঁজে পাইনি। যারফলে তার লাশ কয়েক দিন ধরে ফেলে রাখতে হয়েছে। এই সমস্যাটিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত।’ ইউরোপের লাখ লাখ মুসলমান কবরস্থানের সঙ্কটে হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা তাদের রাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন কবরস্থানের জন্য বরাদ্দের জায়গা প্রসারের জন্য। ফ্রান্সে বর্তমানে মুসলমানদের জন্য মনোনীত মাত্র দুটি কবরস্থান রয়েছে, একটি বোবিগনিতে ও দ্বিতীয়টি স্ট্রাসবুর্গে। ওই দু’টি কবরস্থান ছাড়া ৩৬ হাজারের বেশি মুসলিমের দাফনের জন্য মাত্র ৪০০টি স্থান মনোনীত রয়েছে। ইয়েনি সাফাক।

 



 

Show all comments
  • মোঃ দুলাল মিয়া ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:০২ এএম says : 0
    যুদ্ধ ঘোষনা করা হউক যারা এই ধরনের অত্যাচার করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Akkas ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৪৭ এএম says : 0
    আল্লাহ এদের তুমি দেখো। আপনি ছাড়া আমাদের আর কেউ নেই। ফ্রান্সের এই অবাধ্য সরকার আল্লাহর বান্দা দের উপর জুলুম করছে তুমি এর বিচার করো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুসলিম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ