বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সীমানা পুনঃবিভাজন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওয়ার্ডের কয়েক হাজার স্থায়ী বাসিন্দা চরম বিপাকে পড়েছেন। এই ওয়ার্ডে তারা দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসলেও ইউনিয়নের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে । ইতোমধ্যে সীমানা পুনঃবিভাজনে সৃষ্ট জটিলতার নিরসন চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে লিখিত আবেদন করেছেন চরখলিফা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য আজম খান ।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, দৌলতখান উপজেলার ২৬ হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত চরখলিফা ইউনিয়নটি এক সময়ের সমৃদ্ধশালী একটি জনপদ। কালের পরিক্রমায় নদী ভাঙনের ফলে পার্শ্ববর্তী ভবানীপুর ও হাজিপুর ইউনিয়ন এবং দৌলতখান পৌরসভার ভাঙনকবলিত ওয়ার্ডের বিশাল জনগোষ্ঠী চরখলিফা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বসতি স্থাপন করে।
সূত্র মতে, বর্তমানে চরখলিফা ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হাজারেরও অধিক লোকের বসতি। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সর্বনাশা মেঘনার করাল গ্রাসে ভবানীপুর, হাজিপুর ইউনিয়নসহ পৌরসভার বাস্তুহারা মানুষগুলো পার্শ্ববর্তী চরখলিফা ইউনিয়নের ৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডে বসতি গড়ে তোলেন। এসব বাসিন্দারা কয়েক বছর ধরে ওই ইউনিয়নে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এছাড়াও ইউনিয়নের ৪, ৫, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের জনসংখ্যা, দূরত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনায় না নিয়ে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে বলেও মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে। বাসিন্দাদের দাবী তাদের সুবিধাজনক স্থানে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা অতীব জরুরী। পঞ্চাশোর্ধ্ব হালিমা বেগম ভবানীপুর ইউনিয়নের এক সময়ের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। মেঘনার ভাঙনের ফলে ভিটেমাটি হারিয়ে ৯বছর আগে চরখলিফা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে বসতি স্থাপন করেন হালিমা বেগমের পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে ওই ওয়ার্ডে বসবাস করলেও এখনও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় তার নাম ওঠেনি। এতে ওই পরিবারটি ইউনিয়নের সকল নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ৯ নং ওয়ার্ডে প্রায় দেড় যুগ ধরে বসবাস করছেন মোঃ শাহাবুদ্ধিন। মেঘনার তীব্র ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে মেদুয়া ইউনিয়ন থেকে পরিবার নিয়ে চরখলিফা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে নতুন ঠিকানায় আশ্রয় নেন শাহাবুদ্দিন। কিন্ত স্থায়ী বাসিন্দা হয়েও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় তার নাম আন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। হালিমা ও শাহাবুদ্দিনের মতো ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত। নতুন ঠিকানায় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জোর দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগী মানুষগুলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজম খান বলেন, ওয়ার্ডের জনসংখ্যা, দূরত্ব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিবেচনায় নিয়েদূরত্ব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সীমানা পূনঃনির্ধারণ ও সুবিধাজনক স্থানে ভোট কেন্দ্র স্থাপন হওয়া জরুরী।তিনি ওয়ার্ডের নতুন বাসিন্দাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ও সীমানা পুনঃনির্ধারণের দাবী করে বলেন, এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার দরখাস্ত করা হয়েছে। ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, মেঘনার ভাঙনের ফলে বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক মানুষ স্থানান্তরিত হয়ে ওই ওয়ার্ডে বসবাস করছে। কিন্ত ওই মানুষগুলো এখন পূর্বের ঠিকানায় ভোটার রয়ে গেছে। নতুন ঠিকানায় ভোটার তালিকায় তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করে ওয়ার্ডের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা আবশ্যক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওছার হোসেন বলেন, সীমানা জটিলতার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।