Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক ঘন্টায় ছয় লক্ষ টাকা ছিনতাই নাটকের রহস্য উদ্ঘাটন

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:৫৮ পিএম

রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন ভদ্রা জামালপুর গ্রামের মৃত হাবিব উদ্দিন এর ছেলে নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) বোয়ালিয়া মডেল থানায় লিখিত ভাবে জানান যে, সে গত ১১/০১/২০২১ খ্রিঃ বিকেল অনুমান ১৫.১০ ঘটিকায় প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, আলুপট্টি শাখা, রাজশাহী হতে তার ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে ৬,০০,০০০/-(ছয় লক্ষ) টাকা উত্তোলন করে একটি শপিং ব্যাগের ভিতরে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় ১৫.১৫ ঘটিকায় রাজশাহী কুমারপাড়াস্থ এস.এ পরিবহণের সামনে দিয়ে ডিজিএফআই অফিসের পার্শ্বে পৌঁছালে রাণীবাজারের দিক থেকে একটি কালো কালারের মোটর সাইকেলে ০২ জন ব্যক্তি মাথায় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এসে মোটর সাইকেলে ধাক্কা দিয়ে তার নিকটে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে আলুপট্টির দিকে চলে যায়। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলাটি রুজুর পরপরই আরএমপি’র সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয়ের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অফিসার ইনচার্জ নিবারন চন্দ্র বর্মন পিপিএম এর নেতেৃত্বে তদন্তকারী অফিসার এসআই মোঃ গোলাম মোস্তফা সহ বোয়ালিয়া মডেল থানার একটি চৌকস পুলিশ টিম ব্যাপক তদন্ত সহ সর্বাত্বক অভিযান শুরু করে। তদন্তকালে বাদী নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা সহ প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, আলুপট্টি শাখা, রাজশাহীর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) এর একাউন্ট এর স্টেটমেন্ট সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাদীর একাউন্ট-এ মাত্র ৮৩/-(তিরাশি) টাকা আছে এবং সে তার ব্যাংক ১১/০১/২০২১ খ্রিঃ কোন টাকা উত্তোলন করেনি পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজেও ব্যাংকে তার অবস্থানের কোন তথ্যচিত্র নাই। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) ঘটনার বিষয়ে একেক সময় একেক ধরণের কথাবার্তা বলতে শুরু করে। একপর্যায়ে সে স্বীকার করে এবং লিখিতভাবে জানায় তার বড় ভাই মোঃ রওশন আলী (আমেরিকা প্রবাসী) এর ডিপিএস থেকে ৬,০০,০০০/-(ছয় লক্ষ) টাকা উত্তোলন করে খরচ করে দিয়েছে। প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, শ্যামলী শাখা, ঢাকায় তার ডিপিএস ছিল। সে ডিপিএস থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা উত্তোলন করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৬,০০,০০০/-(ছয় লক্ষ) টাকা কেটে নিয়ে অবশিষ্ট টাকা তাকে প্রদান করে। নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) এর বড় ভাইয়ের টাকা তাকে না জানিয়ে খরচ করে দেয়ায় সে ৬,০০,০০০/-(ছয় লক্ষ) টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার অবতারণা করেছে। প্রকৃতপক্ষে নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ব্যাংক হ’তে কোন টাকা উত্তোলন করেনি। মামলাটির তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সংগে বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করায় পেনাল কোড ১৮২ ধারায় প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
মামলাটি রুজুর পরপরই আরএমপি’র সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয়ের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অফিসার ইনচার্জ নিবারন চন্দ্র বর্মন পিপিএম এর নেতেৃত্বে তদন্তকারী অফিসার এসআই/মোঃ গোলাম মোস্তফা সহ বোয়ালিয়া মডেল থানার একটি চৌকস পুলিশ টিম ব্যাপক তদন্ত সহ সর্বাত্বক অভিযান শুরু করে। তদন্তকালে বাদী নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা সহ প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, আলুপট্টি শাখা, রাজশাহীর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) এর একাউন্ট এর স্টেটমেন্ট সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাদীর একাউন্ট-এ মাত্র ৮৩/-(তিরাশি) টাকা আছে এবং সে তার ব্যাংক ১১/০১/২০২১ খ্রিঃ কোন টাকা উত্তোলন করেনি পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজেও ব্যাংকে তার অবস্থানের কোন তথ্যচিত্র নাই। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) ঘটনার বিষয়ে একেক সময় একেক ধরণের কথাবার্তা বলতে শুরু করে। একপর্যায়ে সে স্বীকার করে এবং লিখিতভাবে জানায় তার বড় ভাই মোঃ রওশন আলী (আমেরিকা প্রবাসী) এর ডিপিএস থেকে ৬,০০,০০০/-(ছয় লক্ষ) টাকা উত্তোলন করে খরচ করে দিয়েছে। প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, শ্যামলী শাখা, ঢাকায় তার ডিপিএস ছিল। সে ডিপিএস থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা উত্তোলন করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৬,০০,০০০/-(ছয় লক্ষ) টাকা কেটে নিয়ে অবশিষ্ট টাকা তাকে প্রদান করে। নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) এর বড় ভাইয়ের টাকা তাকে না জানিয়ে খরচ করে দেয়ায় সে ৬,০০,০০০/-(ছয় লক্ষ) টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার অবতারণা করেছে। প্রকৃতপক্ষে নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ব্যাংক হ’তে কোন টাকা উত্তোলন করেনি। মামলাটির তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সংগে বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করায় পেনাল কোড ১৮২ ধারায় প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
এভাবে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ক্লু-লেস ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছিনতাই


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ