Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বৈষম্য ছাড়াই সোলাইমানির হত্যাকারীদের বিচার হবে: ইরান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:১৬ এএম

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো রকমের বৈষম্য করা হবে না।

তিনি বলেছেন, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার ব্যাপারে যারা নির্দেশ দিয়েছেন এবং যারা সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে তাদের কাউকেই বিচারের ক্ষেত্রে বৈষম্য ও ব্যতিক্রম করা হবে না। গতকাল (মঙ্গলবার) ইরাকের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সভাপতি ফাইক জিদানের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে ইব্রাহিম রায়িসি এসব কথা বলেন।

গত বছরের ৩ জানুয়ারি বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে হত্যা করে। ওই হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিস এবং আরো কয়েকজনের সঙ্গী শহীদ হন। কাপুরুষোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দম্ভভরে ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন এবং পেন্টাগন এ হত্যার দায়-দায়িত্ব নিচ্ছে।

হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যাপারে ইরাকের বিচার বিভাগ অব্যাহতভাবে যে সহযোগিতা করে আসছে তার প্রশংসা করেন ইব্রাহিম রায়িসি। তিনি বলেন, ইরাক ও ইরানের উন্নয়ন-উন্নতির পথ রুদ্ধ করার জন্য ওই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান সুস্পষ্ট করে বলেন, "আমরা জোরালোভাবে মনে করি যে, আমেরিকা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের পরিষ্কার উদাহরণ।" তিনি আমেরিকাকে ইরাক ও ইরানের অভিন্ন শত্রু উল্লেখ করে বলেন, অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টির মাধ্যমে এই দুই দেশের নিরাপত্তা যারা বানচাল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে তেহরান ও বাগদাদ যৌথভাবে লড়াই করবে। পাশাপাশি সোলাইমানি এবং আল-মুহান্দিসকে যারা হত্যা করেছে তাদরে বিচারের বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা থাকা উচিত।

টেলিফোন আলাপে ইরাকের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রধান বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টি আঞ্চলিক দেশগুলোর দেখা দরকার, এ অঞ্চলে বাইরের কোন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির প্রয়োজন নেই।

সূত্র: পার্সটুডে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ