এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা। এর জেরে ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিকানা ছাড়তেও হতে পারে এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টকে।
২০১২ সালে ইনস্টাগ্রাম ও ২০১৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপকে কিনে নেয় ফেসবুক। মার্কিন ফেডেরাল ট্রেড কমিশন এই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছে যে, এই দুই সংস্থা কেনার সময় বিক্রেতা সংস্থাগুলির কাছে কোনও বিকল্প রাখেনি ফেসবুক। কার্যত ‘বিক্রি করো কিংবা বন্ধ হয়ে যাও’ এই নীতি দেখিয়ে একরকম চাপের মুখে রেখে তাদের থেকে এই সংস্থা দুটি কিনেছে ফেসবুক, এমনই অভিযোগ। ফলে প্রতিযোগী সংস্থাগুলো যারা কিনতে আগ্রহী ছিল তারা লড়াইতে দাঁড়াতেই পারেনি। এই অভিযোগ জানিয়ে বুধবার দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে।
চলতি বছরে গুগলও বড় আইনি জটিলতার মধ্যে পড়েছিল। এবার ফেসবুক। যেহেতু ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ থেকে জুকারবার্গের সংস্থার লভ্যাংশের সিংহভাগ আসছে, তাই এই দুই প্ল্যাটফর্মকে হারিয়ে ফেললে নিশ্চিতভাবেই তা ফেসবুকের দীর্ঘদিনের আধিপত্যে বড়সড় প্রভাব ফেলবে। সেই ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলেছে। গত বুধবার সংস্থার শেয়ার নেমে আসে ৪ শতাংশে। যা এই বছরে ৩৫ শতাংশের উপরেই ছিল।
২০১২ সালে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে ইনস্টাগ্রাম কেনে ফেসবুক। ২০১৪ সালে ১ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারে হোয়াটসঅ্যাপ। নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের অভিযোগ, ‘এক দশকের বেশি সময় ধরে এই মিডিয়া ব্যবসা একচেটিয়া ভাবে চালাচ্ছে ফেসবুক। এবং ছোট সংস্থাগুলোকে হটিয়ে দিয়েছে। ফলে নিজেদের একক ব্যবসা চালাতে সুবিধা পাচ্ছে।’ নানা দিক থেকে একসঙ্গে চাপের মুখে পড়ে ফেসবুক তাই এই মুহূর্তে বেশ কিছুটা কোণঠাসা। সূত্র: পলিটিকো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।