মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এক ধাক্কায় বড় সংখ্যায় কর্মীদের ছাঁটাই করছে মেটা। বুধবার প্রায় ১১ হাজার কর্মীকে ছেঁটে ফেলেছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা। আচমকা কাজ খুইয়ে একের পর এক পোস্ট করছেন মেটার সদ্য প্রাক্তন কর্মীরা। তার মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে অন্নিকা প্যাটেলের পোস্ট। মাতৃত্বকালীন ছুটির মধ্যেই তাকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা কর্তৃপক্ষ। চাকরি হারিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মনের কথা প্রকাশ করেছেন তিনি। স্বভাবতই নেটদুনিয়ায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে এই পোস্টটি।
মাত্র তিন মাস আগে ফুটফুটে কন্যার জন্ম দিয়েছেন অন্নিকা। শিশুর সঙ্গে সম্ভবত জীবনের সেরা সময় কাটাচ্ছেন তিনি। মাতৃত্বের স্বাদ পুরোদমে উপভোগ করার সময়েই হঠাৎ অশনি সংকেত। সহকর্মীদের কাছে জানতে পারলেন, বিপুল সংখ্যক কর্মীকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মেটা কর্তৃপক্ষ। দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা করতে থাকলেন ফেসবুকের কমিউনিকেশন ম্যানেজার। এমন পরিস্থিতিতে শুনলেন, চাকরি গিয়েছে তার ঊর্ধ্বতন ম্যানেজারের।
আশঙ্কা চেপে রেখেই সদ্যোজাত মেয়েকে দুধ খাওয়াতে ঘুম থেকে উঠেছিলেন অন্নিকা। মায়ের আদর পেয়ে ফের নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েছিল তার ছোট্ট শিশুকন্যা। কিন্তু অন্নিকার মনে তখন তোলপাড় চলছে, চাকরিটা কি আদৌ থাকবে? আশঙ্কা সত্যি করে ভোর সাড়ে পাঁচটায় এসে গেল কর্তৃপক্ষের ইমেল। জানিয়ে দেওয়া হল, এই মুহূর্ত থেকে তিনি কর্মহীন। অন্নিকা বলছেন, “ইমেলটা পেয়ে আমার চোখে পানি এসে গিয়েছিল।”
তবে ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত অন্নিকা। তিনি খুব ভাল করে জানেন, এই সময়ে ফের নতুন চাকরি খুঁজে পাওয়া তার পক্ষে খুব কঠিন। কিন্তু সদ্যোজাত মেয়ের মুখ চেয়েই ফের চোয়াল শক্ত করে এগিয়ে যাবেন, পণ করেছেন অন্নিকা। দীর্ঘ পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘গত তিন মাস আমার জন্য বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু পৃথিবীতে কোনও কিছুর বিনিময়েই এই সময়টা আমি হারাতে পারতাম না। মেয়ের সঙ্গে যে সুন্দর সময়টা কাটিয়েছি, তার কোনও মূল্য হয় না।’
আর কিছুদিন পরেই অন্নিকার মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হয়ে যাবে। তারপরে ফের বাস্তবের রুক্ষ জমিতে নেমে লড়াই করতে হবে তাকে। কিন্তু একজন মেয়ের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়ে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া- অন্নিকার জীবনের এই কাহিনী নেটিজেনদের চোখ ভিজিয়ে দিয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।