মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কেউ যদি এই তত্ত্ব বিশ্বাস করেন তাহলে বলতে হবে ট্রাম্প সমর্থকরা
যে বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন তা তিনি বুঝতে পারেননি
ইনকিলাব ডেস্ক : ফেসবুকের ভুয়া খবর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে সাহায্য করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ তা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটা স্রেফ পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। সানফ্রান্সিসকোতে এফ৮ ফেসবুক ডেভেলপার সম্মেলনে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ট্রাম্পের জয়ের জন্য ফেসবুক কোনোভাবেই দায়ী নয়। তিনি বলেন, ভোটাররা ভোট দিয়েছেন সরাসরি সম্প্রচারিত গণমাধ্যমের দ্বারা অর্জিত অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে।
সম্মেলনে জুকারবার্গ বলেন, ফেসবুকে ভুয়া খবর মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা আসলে পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়। কেউ যদি এই তত্ত্ব বিশ্বাস করেন তাহলে বলতে হবে ট্রাম্প সমর্থকরা যে বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন তা তিনি উপলব্ধি করতে পারেননি। জুকারবার্গ আরও বলেন, যেটা সত্যি তা হচ্ছেÑ ফেসবুক ও টুইটার মতো সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়, তারা প্রভাবিত হয়েছে তাদের ড্রইংরুমের সরাসরি সম্প্রচারকৃত গণমাধ্যমগুলো দ্বারা। কয়েকটি সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, ট্রাম্প সমর্থকরা যেভাবে ভুয়া খবর ফেসবুকে শেয়ার করেছিল, পরবর্তীতে সেসব খবর যে ভুয়া, সেই ফলো-আপ পোস্টগুলো তারা সেভাবে শেয়ার করেনি। যুক্তরাষ্ট্রে বহু মানুষ এখন তাদের খবরের প্রাথমিক উৎস হিসেবে ফেসবুকের ওপরই বেশি নির্ভর করে।
ফেসবুকের নিউজফিড এমনভাবে ডিজাইন করা, কোন এক ব্যবহারকারী যেগুলোতে তার আগ্রহ বেশি, সেসব পোস্টই বেশি দেখতে পাবেন। সমালোচকরা বলছেন, এর ফলে এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে, যেখানে কেবল একজনের পছন্দের খবরগুলোই তার কাছে পৌঁছাচ্ছে, যা তার রাজনৈতিক মত বা বিশ্বাসকেই আরও দৃঢ় করছে। তবে, এ বছরের শুরুতে নির্বাচনী প্রচারের সময় ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তারা ট্রাম্প বিরোধী। ফেসবুক তখনও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। যদিও ওই অভিযোগ ওঠার পর ফেসবুক তাদের একটি টিমকে বরখাস্ত করে, যাদের দায়িত্ব ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয় খবর কি হতে পারে সেগুলো বাছাই করা।
এরপর ওই কাজের জন্য ফেসবুক পুরোপুরি গাণিতিক হিসাবের ওপর নির্ভর করতে শুরু করে। সমালোচকরা বলছেন, এরপর থেকেই সম্পূর্ণ ভুয়া খবরগুলো বেশি করে লোকের ফেসবুক টাইমলাইনে যেতে শুরু করে। জুকারবার্গ বলেন, মানুষ স্বাভাবিকভাবেই চোখের সামনে সরাসরি যা প্রচার হতে দেখে, তার দ্বারাই বেশি প্রভাবিত হয়ে থাকে এবং এ ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে। ফেসবুকে আপনার যদি ৯০ শতাংশ ডেমোক্রেট বন্ধু থাকে, তাহলে ১০ শতাংশ আছে রিপাবলিকান সমর্থক। কারো দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার ক্ষেত্রে এটা খুব বড় কোন সংখ্যা নয়। এপি, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।