Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খড় এখন ফেলনা নয়

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

পাট কাঠির পর ধানের শুখনো খড় এখন মূল্যবান কৃষি পণ্যে পরিণত হয়েছে। এক সময় ধানের শুকনো খড় গ্রামের মানুষের কাছে ছিল অন্যতম জ্বালানী উপাদান। বর্ষাকালে যখন মাঠে ঘাটে কাঁচা ঘাসের অবাব হত তখন এটা গবাদী পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হত। তবে চাহিদা কম থাকায় খড়ের বাজার মুল্য ছিল না।
তবে কৃষি অর্থনীতির ব্যাপক পরিবর্তনের ধারায় বর্তমানে ধানের পাশাপাশি খড়ও পরিণত হয়েছে মূল্যবান কৃষি উপাদানে। গ্রামেও বিকল্প জ্বালানী পৌঁছে যাওয়ায় জ্বালানী হিসেবে খড়ের ব্যবহার কমে গেছে। সেসাথে গবাদী পশুর খাবার হিসেবে বেড়েছে খড়ের ব্যবহার। চাহিদার কারনে দামও বেড়েছে খড়ের। চাল, ডাল ও গমের মত খড়ও এখন মহাসড়কে পরিবহন হচ্ছে ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহনে।
চাহিদার কারণে খড় ব্যবসাতেও নেমে পড়েছে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা। এক স্থানের খড় আরেক স্থানে, ভটভটি, নসিমন, করিমন ছাড়াও পণ্যবাহী ট্রাকে পরিবহন করছে ব্যবসায়ীরা। কয়েকজন খড় ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোটামুটি চলতি আমন মওশুমে প্রতিবিঘা থেকে যে খড় পাওয়া যায়, তারা তা’ হাজার টাকায় কিনে নেন। এরপর তা’ স্থান ভেদে বিক্রি করেন তিন হাজার টাকায়। কামলা কিষানের খরচ ও পরিবহন মিলিয়ে তাদের লাভ থাকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা।
খড়ের ক্রেতা কারা? জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, মুলত ডেইরী ফার্মের মালিকরা এর ক্রেতা। তবে ইদানিং উত্তরের জেলায় জেলায় গড়ে ওঠা ছোট ছোট পেপার মিলে খড় কেনা হচ্ছে পেপার মিলের অন্যতম কাঁচামাল পাল্প হিসেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খড়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ