নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : পোল ভল্টের রানী। আকাশই তাঁর সীমানা। ডাকা হয় ‘মহিলা বুবকা’ বলে। বহুবার নিজের রেকর্ড ভেঙে গুড়িয়েছেন নিজেই। পরপর দুই অলিম্পিকে (২০০৪ ও ২০০৮) সোনালী আভায় মোড়ানো পদক ঝুলিয়েছেন গলায়। লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি। গত জুন মাসে ৩৪ পেরিয়েছেন। তার ফিটনেসের ওপর ভর করে যে কেউই পক্ষে বাজি ধরতেন এবারের অলিম্পিকেও। সেই রাশান সুন্দরী ইয়েলেনা ইসিনবায়েভাকে আর দেখা যাবে না ‘বিগেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিকে। তবে অলিম্পিক শুরু হওয়ার আগেই রাশিয়ার ভাগ্যাকাশে কালো মেঘ। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে নিষিদ্ধ ঘোষিত হবার রায়ে রাশিয়ান অ্যাথলেটরা অংশ নিতে পারছেন না রিওতে। ব্রাজিলেও গলায় স্বর্ণ পদক। সেটি নিয়েই হাসিমুখে ক্যারিয়ার শেষ করবেন- স্বপ্নটা হয়তো এমনই ছিল ইসিনবায়েভার। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে রুশ এই পোল ভল্টারের। নিজের হতাশাটা কিছুতেই লুকাতে পাচ্ছেন না বায়েভা, ‘আমি খুবই হতাশ। খুব আশা ছিল রিওতে জয় দিয়ে ক্যারিয়ারটা শেষ করব। কিন্তু এই রায় আমার শেষ আশাটাকে মেরে ফেলল।’ এই আক্ষেপ তাঁকে ঠেলে দিচ্ছে অবসর নেওয়ার দিকে, ‘অনেকেই বলছেন আমি এত ফিট যে আরও একটা অলিম্পিক পর্যন্ত যেতে পারব। কিন্তু না, আমার বয়স এরই মধ্যে ৩৪ হয়ে গেছে। এখন আমি পরিবারকেই বেছে নেব।’
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অব্যাহতভাবে ডোপ নেওয়ার অভিযোগে রিও অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্ট থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছিল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন (আইএএএফ)। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরে রাশিয়ার ৬৮ জন অ্যাথলেট ক্রীড়া আদালতে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, কয়েকজনের ডোপিংয়ের দায় পুরো দল কেন নেবে? কিন্তু সেই দাবি ধোপে টেকেনি, সিএএস পরশু নিষেধাজ্ঞাই বহাল রেখেছে। রাশিয়াকেই অলিম্পিক থেকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সেটিই এখন সক্রিয়ভাবে বিবেচনাধীন। এমন একটি সিদ্ধান্তের পর আরো কিছু প্রতিভাকে দেখতে পাবে না রিও অরিম্পিক। এই যেমন মারিয়া কুচিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।