Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলছে খড়ি পোড়ানোর উৎসব

পঞ্চগড়ে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা : জমির উর্বর মাটি দিয়ে ইট বানানো হচ্ছে। এছাড়া প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইটের ভাটাগুলিতে অবাধে চলছে খড়ি পোড়ানোর উৎসব। জানা যায়, বাৎসরিক চুক্তিতে এই সব ভাটায় ইট পোড়ানোর অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। সূত্র মতে, এজন্য প্রতিটি ভাটা মালিককে গুনতে হয়েছে এক বৎসরের জন্য ৫২ হাজার টাকা। সরকারের নিদিষ্ট নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব ভাটা। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এলজিইডি সড়কের পাশে ও ঘন বসতি এলাকায় বেশ কটি ভাটা গড়ে উঠেছে। কেউ নরমাল ভাটা কেউ, হাওয়া ভাটা কেউবা আবার সাধারণ চিমনী ভাটাতে ইট তৈরি করছে। বোদা ও রুহিয়ায় একই অবস্থা। এসব ভাটায় ঘুরে দেখা গেছে, উর্বর জমির মাটির পাহাড় গড়ে তুলে ইট তৈরি করছে। সরকারের নীতিমালা ছাড়াই এসব ভাটায় চলছে ইট তৈরিও বিক্রির হিড়িক। সূত্র মতে জানা যায়, ইট বিক্রির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার মেইনটেন করাসহ এলজিইডি’র সড়কের পাশে ও নিকট আবাসিক এলাকায় ভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু রহস্যজনকভাবে এটির কোন বালাই নেই কোথাও। সূত্র জানায়, কাষ্টমস, প্রশাসনও পুলিশ প্রশাসনসহ সবাইকে ম্যানেজ করে বছরে লাখ লাখ টন খড়ি পোড়ানো হচ্ছে এসব ভাটায়। ফলে পরিবেশ হুমকির মুখে। এছাড়া ভাটার এসব অতি মুনাফা লোভী মালিকরা জমির উর্বর মাটি নিয়ে এসে ইট তৈরি করতে ব্যস্ত।  রুহিয়ার কেএমবি ও এসএসবি-৪ ভাটায় গিয়ে দেখা যায়, পাহাড় সমান মাটির স্তূপ করে ইট তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি গাছের গুঁড়িসহ শত শত মণ কাঠ মজুদ করে রাখা হয়েছে। কেএমবি  ভাটায় ছবি নিলে উপস্থিত ভাটার ম্যানেজার হিসেবে পরিচয়দানকারী বলেন, ভাই ছবি  নিলেন পেপারে দিয়েন না। মালিকের সাথে দেখা করেন। আমরা প্রথম ভাটা দিলাম। মালিকের নাম বলেন, মহসিন। জানা গেছে, এসব ভাটার মালিকরা অনেকে নিজেকে দলের ব্যানারে পরিচয় দেন। কেউ বা আবার বলেন, সাংবাদিকরা কি ভাটার অনুমোদন দিতে পাারে। প্রশাসন অনুমোদন দেয়, তাই তাদের টাকা দেই। তারা তো আসল কাজের লোক। প্রশাসন যা করে তাই হয়। মিডিয়া আবার কি করতে পারে। জানা যায়, সরকারের পরিবেশ দফতরসহ বিভিন্ন দফতরে কাগজপত্র তৈরি ও অনুমোদন নিতে এসব ভাটা মালিকদের বেগ পেতে হয়। তাই এসব ঝামেলায় না গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গিয়ে এককালীন (এক বৎসর) এর জন্য মোটা উৎকোচ দিয়ে অনুমোদন নিয়ে ভাটা চলে। কথায় আছে, সরষেতেই ভূত। পরিবেশ নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চলছে খড়ি পোড়ানোর উৎসব

২৩ জানুয়ারি, ২০১৬
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ