Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অপেক্ষা বাড়লো আশরাফুলের

প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ড্র’র দিনেও চট্টগ্রামে রোমাঞ্চ
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের ফাঁকে শুরু হওয়া এবারের জাতীয় লিগের আকর্ষণ ছিলো তিন বছর পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে আশরাফুলের ফেরা। এই লিগে ঢাকা মেট্রোর হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় ছিলোন কনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। তবে বৃষ্টি আর তা হতে দিলো কই! চারটি ম্যাচই ড্র’র বৃত্তে হয়েছে বন্দী। তবে এর মাঝেও আলো ছড়ানো এক ম্যাচই উপহার দিয়েছে চট্টগ্রাম।
রংপুর বিভাগকে দারুণ এক জয় এনে দেয়ার আশা দেখিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান। কিন্তু রোমাঞ্চকর ব্যাটিং করেও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি সময়ের সঙ্গে। সিলেটে শেষ দিন চা-বিরতির ঘণ্টাখানেক আগে যখন শেষ হলো চট্টগ্রামের ইনিংস, চতুর্থ ইনিংসে রংপুরের লক্ষ্য তখন ২৬৫। ম্যাড়ম্যাড়ে ড্র’কেই মনে হচ্ছিল সম্ভাব্য পরিণতি। আরিফুল হক ও মাহমুদুলের দারুণ ব্যাটিংয়ে সেই ম্যাচেই ফিরেছিল প্রাণ। শেষ পর্যন্ত রংপুর ৪৩ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৪ রান করার পর শেষ হয় ম্যাচ। ড্র হয় চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচটি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মাহমুদুল। ম্যাচ জয়ের মতো সেটাও থেকে গেছে অধরা। অপরাজিত ছিলেন ৮৯ বলে ৮৫ রানে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটিই এই অলরাউন্ডারের সর্বোচ্চ ইনিংস।
এর আগে ৫ উইকেটে ১৫১ রান নিয়ে দিন শুরু করে চট্টগ্রাম। দিনের শুরুতেই হারায় তারা ২ উইকেট। ইরফান শুক্কুরের ৪১ ও ৯ নম্বরে নেমে নূর হোসেন মুন্নার ৩৫ রানে এদিন তারা যোগ করতে পারে আর ১০০। শেষ পর্যন্ত ওই রান যথেষ্ট হয়ে যায় ড্র’র জন্য। সোহরাওয়ার্দী শুভর শিকারও ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে অভিষেকেই ম্যাচ সেরা মিশু।
চতুর্থ ও শেষ দিন সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে ড্র করেছে রাজশাহী। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ৫৭ রান নিয়ে খেলা শুরু করে সিলেট। রুম্মান আহমেদের ৪৪ ও অলক কাপালীর ৩৪ রানে ১৭৫ পর্যন্ত যায় দলটি। প্রথম ইনিংসে ১৯৯ রান করা রাজশাহী ২৪ রানের লিড পায় ফরহাদ রেজা (৩/৪৬) ও মুক্তার আলীর (৩/৫২) দারুণ বোলিংয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১২০ রান করে রাজশাহী। মাইশুকুর রহমান ৪২ রান করেন। ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন হামিদুল ইসলাম।
এদিকে, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ১২২ রান নিয়ে খেলা শুরু করে বরিশাল। চতুর্থ ও শেষ দিন সব মিলিয়ে খেলা হয় ৪১ ওভার। তাতে আরও ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে আরও ১২৬ রান যোগ করে অতিথিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট ২৪৮ রান করে বরিশাল। সোহাগ গাজী ৩৬ রান করেন। ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন আবু সায়েম। খুলনার মেহেদী হাসান মিরাজ, আল আমিন হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক দুটি করে উইকেট নেন। এর আগে প্রথম ইনিংসে খুলনা ৪২৪ ও বরিশাল ২৬১ রান করে।
আর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিন বৃষ্টির ফাঁকে খেলা হয়েছিল ১৫ ওভার। পরের তিন দিনের খেলাই ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার ম্যাচে তাই মাঠেই নামা হয়নি মোহাম্মদ আশরাফুলের। একমাত্র ইনিংসে ২ উইকেটে ৪৭ রান করে ঢাকা মেট্রো।

স ং ক্ষি প্ত স্কো র
চট্টগ্রাম-রংপুর
চট্টগ্রাম : ৩৬৮ ও ২য় ইনিংস: ২২৪/৫ (৪৩ ওভার) শুক্কুর ৪১, নূর ৩৫, মিশু ১৬, আলাউদ্দিন ২/৪৪, শুভাশিস ২/৪৯, সোহরাওয়ার্দী ৫/৫০। রংপুর : ৩৫৫ ও ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ২৬৫) ২২৪/৫ (৪৩ ওভার) সায়মন ২২, সোহরাওয়ার্দী ২৭, মাহমুদুল ৮৫*, আরিফুল ৬৩, মিশু ২/৪৮, তাসামুল ২/৫৮। ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যাচ সেরা : ইয়াসির (চট্টগ্রাম)।
ঢাকা মেট্রা-ঢাকা
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস : ৪৭/২ (১৫ ওভার) শুভ ১১, সাদমান ১৮*, আসিফ ১৫, মার্শাল ০*, শরিফ ২/১৮। ফল : ড্র।
বরিশাল-খুলনা
বরিশাল : ২৬১ ও ২য় ইনিংস : ২৪৮/৮ (৮৭ ওভার) শাহরিয়ার ৭২, ফজলে ২২, শহীন ২৫, আল-আমিন জুনি ২৫, সোহাগ ৩৬, সায়েম ৩০*, আল-আমিন ২/৬২, মিরাজ ২/৫২, নাহিদুল ১/৩। খুলনা ১ম ইনিংস : ৪২৪/৪ (৯৯.৩ ওভার), মেহেদি ৮৫, তুষার ৯১, মিঠুন ৩৩, নুরুল ২২, মিরাজ ৭৩, রাজ্জাক ৯৭, কবির ৩/৩২, রাব্বি ২/১০৮, সোহাগ ৩/১০৪। ফল : ড্র। ম্যাচ সেরা : রাজ্জাক (খুলনা)।
রাজশাহী-সিলেট
রাজশাহী : ১৯৯ ও ২য় ইনিংস : ১২০/৪ (৪৯ ওভার) মাইশুকুর ৪২, ফরহাদ ১০, হামিদুল ৩২*, সানজামুল ১৯*, কাপালী ১/১৭, শাহানুর ১/৪৩। সিলেট ১ম ইনিংস : ৫৭/৫ (২২ ওভার) ইমতিয়াজ ২৫, শানাজ ১০, কাপালি ৪ (ব্যাটিং), ফরহাদ ১/১১, মুক্তার ২/২১, সাকলায়েন ২/৬। ফল : ড্র। ম্যাচ সেরা : জায়েদ (সিলেট)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অপেক্ষা বাড়লো আশরাফুলের

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ