নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে সৈয়দপুর থানায় মামলাটি করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত আবু সাঈদ ওরফে সবুজকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মো. আবু সাঈদ ওরফে সবুজ পূর্ব বোতলাগাড়ী ওয়াপদা নতুনহাট এলাকার মৃত. আইয়ুব আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী গ্রামের ওই ছাত্রী শহরের গোলাহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। তাকে স্কুলে ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়া আসার পথে প্রায় সময়ে উত্ত্যক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিতো সবুজ। ঘটনাটি ওই স্কুল ছাত্রী তাঁর মাকে জানায়। পরবর্তীতে তাঁর বাবা ও বড় বোন উত্ত্যক্তকারী সবুজকে ঘটনার বিষয়ে কথা বলে নিষেধ ও সর্তক করেন। কিন্তু তারপরও সবুজ ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা সাক্ষাৎ করে কথাবার্তা বলতো এবং ফুসলিয়ে বিয়েসহ নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও নিয়ে যেত। এ অবস্থায় গত ১৬ অক্টোবর বেলা আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী তাঁর বড় বোনের বাড়ি ঢেলাপীর পুলপাড়ায় বেড়াতে যায়। এ সময় তাঁর বড় বোন নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকের কাজে এবং দুলাভাই অটোরিকশা চালক বাড়ি বাইরে ছিলেন। আর তাদের অনুপস্থিতির সুযোগে আবু সাঈদ ওরফে সবুজ ওই ছাত্রীকে তাঁর বড় বোনের বাড়িতে একা পেয়ে ফুসলিয়ে ও বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ওই স্কুল ছাত্রীর বড় বোন তাঁর বাড়িতে ফিরে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। তাঁর চিৎকারে শুনে আশপাশের লোকজন দ্রুত ছুঁটে এসে আবু সাঈদ সবুজকে আটক করেন। পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে তাকে থানা পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়। এরপর গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে সৈয়দপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলা করা হয়। ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর বাবা মো. তরাব আলী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সৈয়দপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
সৈয়দপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের এবং আসামীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামী সবুজকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।