মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মধ্যপাচ্যের দেশ ইরান। দীর্ঘ সময়ে ধরে অর্থনৈতিক অবরোধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভেতরে-বাইরের নানা সংকট মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। গড়ে তুলেছে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ সামরিক জোন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো উপায়ে ইরানকে হুমকি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি আবারো ইরানের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। মার্কিন ওয়েবসাইট পলিটিকো কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ‘জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার পর প্রতিশোধ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হত্যা করতে চেয়েছিল ইরান।‘
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাচনী প্রচারণায় তার সমর্থকদের সমাবেশে বিদ্রুপ করে বলেছেন, ‘ইরানের পক্ষ থেকে কোনো আঘাত এলে আমরা এক হাজার গুন বেশি আঘাত হানবো।‘ এই হুমকির জবাবে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার বদলা নেয়া হবেই। এ ক্ষেত্রে কোন ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই।‘ চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি ইরাক সরকারের আমন্ত্রণে দেশটি সফরে গেলে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্স-এর তৎকালীন কমান্ডার জেনারেল সোলায়মানিকে হত্যা করে সন্ত্রাসী মার্কিন সেনারা। এরপর ইরান ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় এতে বহু মানুষ আহত হয় বলে আমেরিকা স্বীকার করেছে তবে ইরান বলেছে জেনারেল সোলেমানি হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া এখনো বাকি রয়েছে এবং এর প্রতিশোধ নেয়া হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত জায়গায় ইরান সোলাইমানি হত্যা কান্ডের প্রতিশোধ নেবে।
বাস্তবতা হচ্ছে , ইরান শত্রুর কোন হুমকিকে পরোয়া করে না বরং যেকোনো পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার স্বার্থে ইরান পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না। ট্রাম্পের হুমকির জবাবে আইআরজিসি প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামির বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, এ অঞ্চলে আমেরিকার তৎপরতার উপর ইরানের পূর্ণ নজরদারি রয়েছে। আইআরজিসি প্রধান বলেন বিশ্ব অঙ্গনে আমেরিকার উপস্থিতি ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে এর কারণ হচ্ছে নতুন নতুন পরাশক্তির আবির্ভাব এবং এক্ষেত্রে ইসলামিক ইরানের শক্তিশালী অবস্থান।
ওয়াশিংটনের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক বিশ্লেষক আন্তোনি ক্রোদযম্যান ইরানের শক্তিশালী সামরিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ওই দেশটির বিরুদ্ধে যে কোনো সামরিক আগ্রাসন চালানো হলে তেহরান ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প ঘটিয়ে ছাড়বে। কারণ পশ্চিম এশিয়ায় যে কোনো মার্কিন স্বার্থে আঘাত হানার মত সামরিক শক্তি ইরানের রয়েছে।
যাইহোক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হুমকির জবাবে আইআরজিসি প্রধানের বলিষ্ঠ বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, যারা মনে করে ইরানি জাতিকে হুমকি দিয়ে দাবিয়ে রাখতে পারবে তারা ভুলের মধ্যে রয়েছে। পার্সটুডে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।