পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সারা বিশ্ব ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিলেও পাকিস্তান কখনও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না যা নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের আকাক্সক্ষার বাইরে যায়। ফিলিস্তিনি জনগণের ইচ্ছার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না জানিয়ে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান সরকার কখনো ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে মৌলিক নীতির সঙ্গে আপোস করবে না। তিনি বলেন, যখন ফিলিস্তিনি পক্ষগুলো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নিচ্ছে না তখন আমরা কিভাবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করি? অপরদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের পর এবার লাদাখ এবং গুজরাটকে নিজেদের বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার এক সভায় এমনটাই দাবি করেন পাকিস্তানের কর্মকর্তারা। পাকিস্তানের নতুন ম্যাপ ৫ আগস্ট প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ম্যাপে জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং পশ্চিম গুজরাটের কিছু অংশ পাক এলাকা হিসাবে দেখানো হয়েছে। তবে এই প্রথম এটি কোনো আন্তর্জাতিক বৈঠকে ভারতের উপস্থিতিতে উপস্থাপন করা হল। যখন দিল্লি আর বেইজিং-এর সংঘাত নিয়ে দুই দেশেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি, তখন পাকিস্তান ভারতের জন্য নতুন চিন্তার উদ্রেক করলো। ‹সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য দেশগুলির আয়োজনে ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার। এই মিটিংয়ে পাকিস্তানের নতুন এই ম্যাপ দেখার পর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার (এনএসএ)-র এই ভার্চুয়াল মিটিং থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বের হয়ে যায় ভারত। এই মিটিংয়ে পাকিস্তান তাদের দেশের যে নতুন ম্যাপটি তুলে ধরে তাতে দেখা যায়, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং গুজরাটের কিছু অংশ অবলীলায় পাকিস্তানের সেই মানচিত্রে রয়ে গেছে। প্রসঙ্গত, যে মানচিত্রটি পাকিস্তান দেখিয়েছে তা আগস্ট মাসের ৪ তারিখে তৈরি করেছিল। মিটিংয়ে পাকিস্তানের এরকম আচরণ স্বভাবতই ভালভাবে নেয়নি ভারত। তাই ভারত রেগেমেগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। পাকিস্তানের এই আচরণকে এক্সারসাইজ ইন পলিটিক্যাল অ্যাবসারডিটি বলে উল্লেখ করল নয়াদিল্লি। এই ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, এনএসএ-র এই মিটিংয়ে পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে একটি কাল্পনিক মানচিত্র তুলে ধরেছে। যে কোনও আলোচনার আসরে এই ধরনের কাজ তো মিটিংয়ের ম‚ল লক্ষ্যটিকেই ব্যাহত করে। তা ছাড়া মিটিংয়ের হোস্টের পক্ষেও এটা বেশ অবমাননাকর ব্যাপার। ঘটনা হল, আসল মানচিত্র যা-ই হোক, আর পাকিস্তান যে মানচিত্রই বৈঠকে তুলে ধরুক তার তুল্যম‚ল্য বিচার নিয়ে পাকিস্তানের তরফে কোনও স্পষ্ট ও স্বচ্ছ বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ভারতকে সমালোচনা করতেও ছাড়েনি তারা। পাকিস্তান জানায়, যে-ফোরামের কাজই সহযোগিতার আবহ তৈরি করা সেই রকম একটি মঞ্চ থেকে ভারতের এই ভাবে বেরিয়ে যাওয়াটা বেশ বাজে একটা ব্যাপার। আল-জাজিরা, রয়টার্স, নিউজ এজেন্সি, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।