Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গবেষণার পর জানা যাবে হলুদ পদ্মফুলের আসল রহস্য

বুড়িচং (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:১৭ এএম

হলুদ রংয়ের পদ্ম ফুল ফুটেছে জলাশয়ে। যা দেখে বিমোহিত সবাই। ফুটন্ত ওই পদ্মগুলো হলুদ রংয়ের বিধায় অনেকেই এগুলোকে বিরলপ্রজাতির পদ্মফুল বলে আখ্যায়িত করেছেন। যা বিশ্বে প্রথমবারের মতো বাংলাদশে ফুটেছে বলে অনেকে ধারণা করছেন। সূত্রে জানা যায়-পদ্মফুলগুলো দেখতে ঠিক হলুদ নয় তবে অনেকটা হলুদের মতো। যাকে অফহোয়াইটও বলা যেতে পারে। এমনই এক পদ্ম ফুলের দেখা পাওয়া গেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ১ নং রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রাম বিলে। যেন অসংখ্য পাঁপড়ির একটি তোড়া সবুজ পাতা ভেদ করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পদ্মফুলগুলো।চারিদিকের সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের পাশাপাশি যা ভ্রমন পিপাসু ও উৎসুক জনতার মন কেড়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রেখে আসছে।
আর এসমস্ত পূর্ণ ফোটা হলুদ পদ্মের পাশে ফুটেছে একটি গোলাপি পদ্মও। যদিও পাঁপড়ির দৈর্ঘ্য গোলাপি পদ্মেরই বড়।সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন- বিশ্বে মূলত দুই ধরনের পদ্ম ফুল দেখা যায়। এশিয়ান বা আমেরিকান পদ্মে একটি ফুলে পাপড়ি থাকে ১২ থেকে ১৮টি। সেখানে বুড়িচংয়ের দক্ষিণগ্রামের এই হলুদ পদ্মে পাপড়ি সংখ্যা ৬০টিরও বেশি। ভেতরের পাপড়ি পুংকেশরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই ফুলে পুংকেশরের সংখ্যাও প্রায় তিনশএ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ ও বেঙ্গল প্লান্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট যৌথভাবে নতুন জাতের হলুদ পদ্ম নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। গবেষকদের মতে, বিশ্বের মধ্যে এটা পদ্মের নতুন এক জাত। গবেষকদের মতে, উদ্ভিদ বিজ্ঞানে হলুদ পদ্ম হবে অনন্য সংযোজন নতুন এই জাতের পদ্মের ছবিসহ কিছু তথ্য-উপাত্ত যুক্তরাষ্ট্রে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির নামকরণ বিভাগ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় হারবেরিয়ান জাদুঘর ইংল্যান্ডের কিউ গার্ডেনে পাঠিয়েছেন গবেষকরা। আন্তর্জাতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে উদ্ভিদবিজ্ঞানে হলুদ পদ্ম হবে অনন্য সংযোজন। এমনকি হবে আলাদা নামকরণও। উল্লেখ্য, গত বছর তথা ২০১৯ সন থেকে বুড়িচং উপজেলার ১ নং রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণগ্রামে এ পদ্ম ফুলের প্রথম খবর দেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত ও টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়। এর পর থেকে কুমিল্লার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক, ইউএনও বুড়িচং মো. ইমরুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা ও জনপ্রতিনিধিরা দক্ষিণগ্রামের ওই বিলে সরেজমিনে পদ্মফুল এর নতুনত্ব ঘুরে দেখেন।এবং এলাকাটিতে মাত্রাতিরিক্ত উৎসুক ভ্রমন পিপাসু জনতার চাপ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তারপরও এ মৌসুমে বৃষ্টিপাতে বিলের পানি বৃদ্ধি পেলে প্রকৃতিগতভাবেই বেড়ে ওঠে নানা রংয়ের নয়নাভিরাম এসব পদ্মফুল।যা লোক সমাগম ও প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীর সুন্দরকে আরো বাড়িয়ে তুলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিস্ময়কর

২৬ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ